অনলাইন থেকে চাইলে অনেক ভাবে ইনকাম করা যায় এর মধ্যে ভালো এবং প্রফেশনাল ভাবে আয় করা যায় এরকম 10 টা আয় করার সেরা মাধ্যম নিয়েছি তা নিচে উল্লেখ করা হলো। আশা করব এখান থেকে আপনি ভালো একটা ধারণা পাবেন, এবং কাজ করার আগ্রহ বাড়বে। যদি ভালো লাগে একটা কমেন্ট করবেন এবং শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
-
ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করুন
-
ফ্রিল্যান্সিং সাইট ব্যবহার করুন
-
ই-কমার্স ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
-
ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট সেবা প্রদান করুন:
-
ডেটা এন্ট্রি করে অনলাইন ইনকাম
-
ফেসবুকে লাইক, কমেন্টে শেয়ার করে টাকা আয়-
-
ছবি ও ফুটেজ বিক্রি করে অনলাইনে ইনকাম
-
ইউটিউবিং করে আয়
-
ভিডিও দেখে অনলাইন ইনকাম
-
ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে অনলাইনে ইনকাম
আরো পড়ুন
- কিভাবে বাংলাদেশে থেকে PayPal পেপ্যালে অ্যাকাউন্ট খুলব ?
- কাজ করার পর আপনার পাওনা টাকা Money কিভাবে একাউন্টে আনবেন ?
- অর্থ লেনদেনের সহজ ও নিরাপদ পদ্ধতি, স্ক্রিল Skril .
১. ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করুন?
আপনি চাইলে ওয়েবসাইট বা ব্লগিং করে আপনি প্রচুর পরিমাণ ইনকাম করতে পারেন যা আপনার ধারণার বহিরে। এইখান থেকে আপনি তিনটি উপায়ে আরনিং করতে পারবেন।
প্রথম হচ্ছে সার্ভিস প্রোভাইড করে, সার্ভিসটা কি? আপনি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব ডিজাইন, এবং আর্টিকেল লিখা, এই কাজগুলো আপনি নিজে শিখে মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে পারবেন, অথবা অন্য আরেকজন কে কাজ করে দিয়ে, তার থেকে টাকা উপার্জন করবেন। আরেকজনকে যে কাজ করে দিবেন ওটাই হলো সার্ভিস। যদি ভালো রাইটার হন, আর্টিকেল লিখতে পারেন তাহলে প্রচুর পরিমাণ ইনকাম করতে পারেন শুধু আর্টিকেল লিখেই , এটা কে আপনি প্রফেশন হিসেবেও নিতে পারেন।
দ্বিতীয় হচ্ছে গুগল এডসেন্স থেকে, এই কাজ করতে হলে আপনাকে প্রথমে ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনতে হবে। (ডোমিন হোস্টিং কেনার জন্য বিস্তারিত জানতে এখানেই ক্লিক করুন) তারপর ওয়ার্ডপ্রেস, অথবা, এইচটিএমএল, সিএসএস, জাবাস্ক্রিপ, এগুলোর মাধ্যমে ওয়েবসাইট দার করাতে হবে। ভালো মানের আর্টিকেল লিখে google এডসেন্স এর জন্য আবেদন করতে হবে। এডসেন্স পাইলে ইনকাম শুরু হয়ে যাবে। এভাবেই এডসেন্স থেকে ইনকাম করা যায়।
তৃতীয় হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে, এফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে কোন একটি কোম্পানির প্রোডাক্ট যেকোনো মাধ্যমে বিক্রি করে কিছু কমিশন পাওয়াই হলো এফিলিয়েট মার্কেটিং। প্রোডাক্ট সেল করে কমিশন আনার জন্য কোন একটা কোম্পানির এফিলিয়েট এসোসিয়েশন একাউন্ট খুলতে হবে। ( আমি সাজেস্ট করব সহজ এফিলিয়েট বিস্তারিত জানতে এখানেই ক্লিক করুন)। ওই অ্যাকাউন্ট থেকে প্রোডাক্ট লিঙ্ক পাবেন ওই লিংক আপনার আর্টিকেলের মধ্যে বসিয়ে দিবেন, ওই আর্টিকেল এমনভাবে লিখবেন কেউ পড়লে ওই লিংকটিতে ক্লিক করে কিনতে বাধ্য হয়। তাহলেই আপনি কমিশন পাবেন। এভাবেই এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে হয়।
২. ফ্রিল্যান্সিং সাইট ব্যবহার করুন
ফ্রিল্যান্সিং সাইট ব্যবহার করে আপনি আপনার কাজ সম্পর্কে একটি পেশাগত প্রোফাইল তৈরি করতে পারেন এবং প্রকৌশলী, উদ্যোক্তা, লেখক বা অন্য যেকোনো ধরনের কাজের জন্য আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা দেখাতে পারেন।
কিছু ফ্রিল্যান্সিং সাইটের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো:
- Upwork
- Freelancer
- Fiverr
- Guru
- PeoplePerHour
Upwork, Freelancer, Fiverr, Guru, এবং PeoplePerHour হল প্রসিদ্ধ ফ্রিল্যান্সিং সাইট যেখানে ফ্রিল্যান্সাররা তাদের পেশার কাজ করে টাকা উপার্জন করতে পারেন। এই সাইটগুলো বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে কাজ প্রদান করে যেমন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজাইন এবং স্বেচ্ছাসেবক সেবা, লেখার সেবা, ট্রান্সলেশন এবং অনুবাদ সেবা ইত্যাদি।
Upwork একটি বড় ফ্রিল্যান্সিং সাইট যেখানে একটি বিশাল উপাত্ত উপস্থিত রয়েছে। ফ্রিল্যান্সারদের কাজ পাওয়া সহজ এবং ক্লায়েন্টদের একটি বিশাল উপাত্ত নিয়ে কাজ প্রদান করা যায়।
Freelancer একটি অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেখানে ক্লায়েন্টগুলি উদ্যোগীদের জন্য সেবা চাই। এই সাইটে আপনি উপাত্ত ভিত্তিক সেবা পাওয়ার সুযোগ পাবেন এবং ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে কাজ পেতে পারেন।
Fiverr একটি স্বেচ্ছাসেবক মার্কেটপ্লেস যেখানে ফ্রিল্যান্সাররা নিজেদের প্রদত্ত সেবাগুলি বিক্রয় করতে পারেন। এই সাইটটি স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য খুবই পরিচিত এবং সহজে ব্যবহার করা যায়। এখানে আপনি ভিভিডি, স্পোকেন ওয়ার্ড, গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং প্রযুক্তি সহ বিভিন্ন ধরনের সেবা পেতে পারেন।
Guru একটি অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেখানে ফ্রিল্যান্সাররা নিজেদের পেশাগত দক্ষতাগুলি বিক্রয় করতে পারেন। এটি ব্যবহারকারীদের সহজ এবং ফ্রেশ কাজ খুঁজতে সহায়তা করে এবং বিভিন্ন সেবাগুলি প্রদান করে যেমন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজাইন, মার্কেটিং এবং সামগ্রী লেখা ইত্যাদি।
PeoplePerHour একটি অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেখানে ফ্রিল্যান্সারদের সেবা প্রদান করতে হয়। এই সাইটে ক্লায়েন্টগুলি কাজের সময়সূচী, দাম এবং কাজের ধরণ অনুযায়ী ফ্রিল্যান্সারদের নির্বাচন করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সাররা প্রফাইল তৈরি করতে পারেন এবং কোনও ক্লায়েন্ট সম্পর্কে মন্তব্য ও রেটিং দিয়ে উন্নয়ন করতে পারেন। এছাড়াও, ফ্রিল্যান্সাররা একটি বিজ্ঞাপন পোস্ট করতে পারেন এবং এর মাধ্যমে ক্লায়েন্টদের নোটিশ দিয়া যাই।
কাজ করার পর আপনার পাওনা টাকা Money কিভাবে একাউন্টে আনবেন ?
৩.ই-কমার্স ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
ই-কমার্স হল ইলেকট্রনিক কমার্সের সংক্ষিপ্ত রূপ, অর্থাৎ ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিক্রয় করা পণ্য এবং সেবা কে বুঝায়। এর মাধ্যমে ব্যবসা বা কোনো ব্যক্তি তাঁর সর্বশেষ পণ্য বা সেবা অনলাইনে প্রদর্শন করে সেটি বিক্রয় করতে পারেন। একটি ই-কমার্স সাইট একটি বিজনেসের জন্য একটি অনলাইন শখ বা একটি শখের জন্য একটি ইনকাম সূত্র হিসাবে ব্যবহৃত হতে পারে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল এমন একটি ব্যবসায়িক মডেল যেখানে একজন ব্যক্তি অন্য ব্যক্তির উৎপাদন বা পণ্য বিক্রি করতে সাহায্য করে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারদের জন্য একটি উপযোগী মডেল হল ইংরেজিতে CPA হিসাবে পরিচিত। একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হিসাবে, আপনি কোন পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রদান করে বিক্রি স্থানের উপর ক্লিকস প্রদানের বিনিময়ে, বিজ্ঞাপন প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান আপনাকে একটি কমিশন প্রদান করে।
এই প্রণোদনা দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার বিভিন্ন পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রদান করে সেগুলো প্রতিষ্ঠানের বিক্রি স্থানে পোস্ট করে এবং ক্লিকস সাধন করতে পারেন। একটি উদাহরণ হল একটি ব্লগ যেখানে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রদান করবে এবং বিজ্ঞাপন প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান তাদের ক্লায়েন্টদের পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রদান করবে এবং ক্লিকস সাধন করলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারকে কমিশন দেওয়া হবে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং একটি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, যেখানে প্রতিষ্ঠান ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার উভয় পক্ষের জন্য একই লাভবান হতে হয়। প্রতিষ্ঠানগুলি সাধারণত আগ্রহী হয়।
৪. ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট সেবা প্রদান করুন
ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট সেবা প্রদান করা যেতে পারে এই উপায়ে-
- ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট একটি পরিষেবা প্রদানকারী কোম্পানি অথবা ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করে সেবা প্রদান করা যেতে পারে।
- অনলাইন ওয়েবসাইট বিক্রেতাদের মাধ্যমে ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট সেবা প্রদান করা যেতে পারে।
- অভিজ্ঞতা এবং কাজের উপর নির্ভরশীলতা: প্রথমে দেখতে হবে যে প্রদানকারী কতদিন ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট করে এবং তার কাজের স্তর কেমন। একটি ভাল প্রদানকারী যার পাশে সঠিক অভিজ্ঞতা এবং বিশেষ দক্ষতা রয়েছে তাকে নির্বাচন করা উচিত।
- ক্রেডিবিলিটি এবং রেফারেন্স: অন্যান্য গ্রাহকদের মতামত ও সম্পর্কে জানতে পারেন এবং তাদের রেফারেন্স প্রয়োজন হলে চেক করতে পারেন। এটি প্রদানকারীর ক্রেডিবিলিটি নির্ধারণ করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
- অনলাইন মার্কেটপ্লেস এবং একই ধরনের ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট সেবা খুঁজে পাওয়া যায়।
- স্বতন্ত্র ওয়েবসাইট এবং ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট সেবা খুঁজে পাওয়া যায় একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করে।
যেকোনো উপায়ে ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট সেবা প্রদান করা সম্ভব,
৫. ডেটা এন্ট্রি করে অনলাইন ইনকাম
ডেটা এন্ট্রি হল একটি প্রচলিত কাজ যা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং সরকারী প্রতিষ্ঠানে করা হয়। এই কাজটি হাতের কাজ এবং অনলাইনে দুই উভয়ে করা যেতে পারে। ডেটা এন্ট্রি করে অনলাইন ইনকাম করতে হলে কিছু প্রশিক্ষণ এবং প্রয়োগ দরকার।
এই কাজে অনেক সংখ্যক প্রতিষ্ঠান থেকে কাজ পাওয়া যায়। একজন ডেটা এন্ট্রি অপারেটর হিসাবে কাজ করার জন্য কোন প্রশিক্ষণ বা ডিগ্রি প্রয়োজন নেই। আপনি বাসায় থেকে কাজ করতে পারেন এবং সময়কে সঠিকভাবে ব্যবহার করে ইনকাম উপার্জন করতে পারেন।
ডেটা এন্ট্রি করে অনলাইন ইনকাম উপার্জন করতে পারেন অনেক উপায়ে। একটি উপায় হল অনলাইন ডেটা এনট্রি সাইট হিসাবে কাজ করা।
৬.ফেসবুকে লাইক, কমেন্টে শেয়ার করে টাকা আয়-
ফেসবুক দুনিয়ার সবচেয়ে বড় সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মের মধ্যে একটি। এখানে লিখিত, ভিডিও এবং ছবি পোস্ট করে সম্পর্কে জানিয়ে দিতে পারেন আপনার বন্ধুদের স্ট্যাটাসে বা ফেসবুক গ্রুপে। এছাড়া ফেসবুকে কমেন্ট করতে পারেন, পোস্ট করতে পারেন, এবং অন্যান্য ব্যাপারে কাজ করতে পারেন। এখন সময়কাল দিনে দিনে ফেসবুকে টাকা উপার্জনের সুযোগ বাড়ছে। ফেসবুকে আপনি যেমন আপনার প্রয়োজন মতো কিছু শেয়ার করতে পারেন, তেমনি আপনি এখন ফেসবুকে লাইক করে, কমেন্ট করে, শেয়ার করে টাকা উপার্জন করতে পারেন। ফেসবুকে টাকা উপার্জন করার কিছু উদাহরণ নিচে দেওয়া হলঃ
ফেসবুক পেজে লাইক করে ইনকাম করুন:
একটি পেজে লাইক করে আপনি আপনার পছন্দের ব্র্যান্ডের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন এবং তাদের সাথে
ফেসবুকে টাকা আয় করার সম্ভাবনা কমপক্ষে সম্ভব হলো। তবে ফেসবুকে টাকা আয় করার কিছু পদক্ষেপ আছে যেগুলো ব্যবহার করে আপনি ফেসবুকে আপনার আয় বাড়াতে পারেন। এই পদক্ষেপগুলো হলো:
সেলস গৃহস্থালি: ফেসবুকে সেলস গৃহস্থালি নামক বিষয়টি অনেক জনপ্রিয় হয়েছে। এখানে আপনাকে পণ্য বা সেবা বিক্রি করতে হবে এবং এটি প্রকাশ করতে হবে ফেসবুকে। আপনার প্রকাশিত সেলস পোস্টগুলো আপনার বন্ধুদের এবং একই স্থানে থাকা আন্তর্জাতিক গ্রুপের সাথে শেয়ার করতে পারেন। এছাড়াও ফেসবুকে আছে একটি ফিচার নামক মার্কেটপ্লেস যেটি আপনার বিজনেস পোস্টগুলো আরো দীর্ঘসূত্রে দেখাতে পারে। মার্কেটপ্লেস ফিচারে আপনি একটি ফেসবুক স্টোর তৈরি করতে পারেন এবং আপনার পন্য বিক্রি
৭. ছবি ও ফুটেজ বিক্রি করে অনলাইনে ইনকাম
অনলাইনে ছবি ও ফুটেজ বিক্রি করে ইনকাম করা হলো নতুন একটি উপায়। এটি সম্ভব হয় যেখানে প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার বা ভিডিওগ্রাফার হিসেবে আপনার কাজ থাকবে বা আপনার কাছে উচ্চ মানের ছবি এবং ভিডিও থাকবে। সেই ছবি এবং ভিডিও গুলি অনলাইনে বিক্রি করে আপনি অনেক টাকা উপার্জন করতে পারেন।
আপনি যদি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করেন তবে আপনার পাসে একটি DSLR ক্যামেরা থাকতে হবে। আপনি ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে ছবি তুলে থাকতে পারেন যেমন পেয়ারা, নেচার, শহর জীবন, প্রতিমন্ত্রী এবং বিভিন্ন কিংবদন্তি। এছাড়াও কিছু প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার সাইট আছে যেখানে ছবি বিক্রি করা যায় তারা এখানে আপনার ছবি সাবমিট করে অনেক উপার্জন করে থাকেন।
ভিডিও বিক্রি করার জন্য আপনার কাছে ভিডিও সম্প্রতি ভালো মানের থাকতে হবে, ভিডিও গুলি অনলাইনে বিক্রি করে আপনি অনেক টাকা উপার্জন করতে পারেন।
আপওয়ার্ক Upwork সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই ?
৮. ইউটিউবিং করে আয়
ইউটিউবিং হলো ইউটিউব ওয়েবসাইটে ভিডিও আপলোড করে পরিচালনা এবং টাকা উপার্জন করার একটি পপুলার মাধ্যম। একজন ইউটিউবার হতে হলে প্রথমে একটি ইউটিউব অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে এবং সেখানে ভিডিও আপলোড করতে হবে। এরপর ইউটিউব প্রতিদিন পরিদর্শকের সংখ্যা এবং আপলোড করা ভিডিওগুলোর মাধ্যমে সম্পূর্ণাঙ্গ আয় উপার্জন করা যায়।
ইউটিউবিং করে টাকা উপার্জন করার কিছু উপায় নিম্নরূপ:
১. মনে করি আপনার ইউটিউব চ্যানেলে কমেডি ভিডিও আপলোড করা হচ্ছে। এই ভিডিওগুলো দেখার জন্য অনেকে আপনার চ্যানেলে প্রতিদিন আসবে এবং পরিচালনা করবে। এই ভিডিওগুলো প্রচার হলে আপনি আপনার চ্যানেলে রিভিনিউ জেনারেট করতে পারেন।
২. একটি আইডিয়া হলো শিক্ষামূলক ভিডিও আপলোড করা।
৯. ভিডিও দেখে অনলাইন ইনকাম
ভিডিও দেখে অনলাইন ইনকাম করা একটি সুবিধাজনক উপায়। আজকের জীবনে ইন্টারনেট প্রায় সবার হাতে আছে এবং সবাই এর ব্যবহার করে থাকেন। ইন্টারনেটে বিভিন্ন ভিডিও প্লাটফর্ম রয়েছে যেখানে দর্শকদের সামনে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও উপস্থাপন করা হয়। দর্শকদের বুঝতে হলে এই ভিডিওগুলি ভাষা ও সহজবোধ্যতার সাথে উপস্থাপিত হতে হবে। ভিডিও দেখে ইনকাম করার জন্য আপনাকে প্রথমেই একটি ভিডিও চ্যানেল তৈরি করতে হবে।
ভিডিও চ্যানেল তৈরি করার পর একটি উন্নয়নশীল ও জনপ্রিয় চ্যানেল হওয়ার জন্য ভিডিও কন্টেন্টগুলি আপলোড করতে হবে। ভিডিও কন্টেন্ট আপলোড করার সাথে সাথে চ্যানেলটি প্রচলিত হবে এবং এর পরিবর্তে একটি জনপ্রিয় চ্যানেল হতে পারে। এছাড়াও ইউটিউব প্লেটফর্মে বিজ্ঞাপনে আপনি আরও বেশি আয় করতে পারবেন।
১০.ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে অনলাইনে ইনকাম
ডিজিটাল মার্কেটিং হল ইন্টারনেট এবং অনলাইন মাধ্যমে পণ্য বা পরিষেবা বিক্রি করার জন্য বিভিন্ন প্রচারণামূলক পদক্ষেপ গ্রহণের একটি পদক্ষেপ। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে মার্কেটাররা অনলাইনে আসল কাস্টমারদের পরিচিত করিয়ে তাদের পণ্য বা পরিষেবা কেনাকাটা করে থাকেন। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি প্রতিষ্ঠানের প্রচারণা, পণ্য বা পরিষেবা বিক্রি এবং মার্কেটিং সম্পর্কিত বিভিন্ন কাজ করতে পারেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি অনলাইনে ইনকাম করতে পারেন এবং সেটি করতে নিম্নলিখিত উপায় সম্পর্কে ধারণা নেওয়া জরুরী:
১। ওয়েবসাইট তৈরি করুন: আপনার কোন প্রতিষ্ঠান থাকলে আপনার কাছে নিজের ওয়েবসাইট থাকা উচিত। ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে আপনি আপনার পণ্য বা পরিষেবা বিক্রি করতে পারেন।
এছাড়াও আপনি ওয়েবসাইট দিয়ে আপনার কাস্টমারদের প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করতে পারেন এবং আপনার ব্র্যান্ড এর সম্পর্কে মানুষকে জানাতে পারেন। আপনি ওয়েবসাইট তৈরি করতে অনেক টুল ও প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে পারেন যেমন WordPress, Wix, Squarespace ইত্যাদি।
২। সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করুন: সমাজিক মাধ্যম একটি মাধ্যম যেখানে আপনি আপনার ব্র্যান্ড এর প্রচার করতে পারেন এবং কাস্টমারদের সাথে সম্পর্ক বিক্ত করতে পারেন। আপনি সামাজিক মাধ্যম ওয়েবসাইট লিংক পোস্ট করতে পারেন, প্রকাশ করতে পারেন পণ্য এবং পরিষেবার ছবি এবং ভিডিও, এবং কাস্টমার রিভিউ ও ফিডব্যাক শেয়ার করতে পারেন।
৩। ইমেল মার্কেটিং: ইমেল মার্কেটিং একটি উপযোগী উপায় যা আপনার কাস্টমারদের সরাসরি আপনার পণ্য বা পরিষেবা সম্পর্কে জানাতে পারেন।‘
পোষ্টটি যদি ভালো লাগে একটা কমেন্ট করবেন এবং শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ