মোবাইল দিয়ে ফেসবুক Facebook মার্কেটিং
ডিজিটাল মার্কেটিং বেসিকস, ডিজিটাল মার্কেটিং কী? ডিজিটাল মাধ্যমে কোনো প্রোডাক্ট, সার্ভিস ও ব্র্যান্ডের প্রোমোশন চালানোই হলো ডিজিটাল মার্কেটিং। যেমন, আপনি ফেসবুক Facebook চালানোর সময় স্পন্সরড পোস্ট দেখতে পান। এ পোস্টগুলো ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যাম্পেইনের অংশ।
ফেসবুকের Sponsored পোস্টগুলো ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যাম্পেইন থেকে আসে
অবশ্য শুধু অ্যাডভার্টাইজিংয়ের মধ্যে ডিজিটাল মার্কেটিং সীমাবদ্ধ নয়। আপনি যখন গুগলে কোনো কিছু সার্চ করেন, তখন রেজাল্ট পেইজে যে লিংকগুলো দেখা যায়, সেগুলো ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমেই সম্ভব হয়।
SEO দিয়ে সার্চ রেজাল্টে র্যাংক করতে চায় ব্র্যান্ডগুলো
কি ভাবে অনলাইন থেকে ইনকাম করা যায় ?
ডিজিটাল মার্কেটিং কেন দরকার?
- প্রোডাক্ট ও সার্ভিসের সেলস বৃদ্ধি করতে
- প্রোডাক্ট, সার্ভিস ও ব্র্যান্ডের প্রোমোশন করতে
দরকার অনুযায়ী ছোট, মাঝারি ও বড় সাইজের ব্যবসাগুলো বিভিন্ন ডিজিটাল মার্কেটিং চ্যানেলে নিজেদের প্রোমোশন চালায়। এর বাইরে অন্যান্য ব্র্যান্ড, প্রতিষ্ঠান ও পার্সোনালিটি নিজেদের অনলাইন প্রেজেন্স ঠিক রাখতে ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবহার করেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং কত ধরণের?
ডিজিটাল মার্কেটিংকে মূলত ৭টি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা যায়:
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
Facebook, Instagram, Twitter-সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলে প্রোডাক্ট, সার্ভিস ও ব্র্যান্ডের প্রোমোশন চালানো হলো সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। কম সময়ে ও খরচে কাস্টমারদের কাছে প্রোমোশন করতে সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলগুলো অত্যন্ত জনপ্রিয়। আমাদের দেশের অধিকাংশ ব্র্যান্ড ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের জন্য এখনো সোশ্যাল মিডিয়ার উপর নির্ভর করে বেশি।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
Google, Bing, Yahoo-সহ বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্টে কোনো প্রোডাক্ট, সার্ভিস বা ব্র্যান্ডের র্যাংকিং ভালো করার জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (Search Engine Optimization) বা এসইও (SEO) দরকার হয়।
ইন্টারনেট ইউজাররা প্রতিনিয়ত সার্চ ইঞ্জিনে কোনো না কোনো সার্চ করেন। এসব সার্চ রেজাল্টের একেবারে প্রথম দিকে যেন আপনার প্রোডাক্ট, সার্ভিস বা ব্র্যান্ডের নাম চলে আসে, এসইওর মাধ্যমে সেটাই নিশ্চিত করতে পারবেন আপনি।
পে-পার-ক্লিক (PPC) অ্যাডভার্টাইজিং
সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্টে কোনো প্রোডাক্ট, সার্ভিস বা ব্র্যান্ডের র্যাংকিং সবসময় ভালো নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে সার্চ ইউজারদের কাছে সরাসরি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রোমোশন চালাতে পারবেন পে-পার-ক্লিক অ্যাডভার্টাইজিং দিয়ে। সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং (Search Engine Marketing) বা এসইএম (SEM) নামেও এটি পরিচিত।
কন্টেন্ট মার্কেটিং
ব্র্যান্ডগুলো অনেক সময় এমন সব কন্টেন্ট ব্যবহার করে, যেগুলো প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের সাথে সরাসরি সম্পর্কিত নয়। বরং কাস্টমার ও ইউজারদের আস্থা অর্জনের জন্য এমন কন্টেন্ট কাজে দেয়। এ আস্থাই পরবর্তীতে প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের সেলস বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। কন্টেন্টের এমন স্ট্রাটেজিক ব্যবহারই কন্টেন্ট মার্কেটিং হিসাবে পরিচিত। বাইরের ব্র্যান্ডগুলো, বিশেষ করে বিজনেস-টু-বিজনেস (B2B) ব্র্যান্ডগুলো, এমন মার্কেটিংয়ের জন্য বড় বাজেট রাখে।
ইমেইল মার্কেটিং
ইমেইলের মাধ্যমে প্রোডাক্ট, সার্ভিস বা ব্র্যান্ডের প্রোমোশন চালানোকে ইমেইল মার্কেটিং বলে। বাইরের দেশগুলোতে কাস্টমার বা ইউজারদের কনফিডেন্স অর্জনের জন্য এর ব্যবহার অনেক। তবে আমাদের দেশের ব্র্যান্ডগুলো এখনো ইমেইলের উপর কম জোর দেয়।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
অন্য কারো প্রোডাক্ট, সার্ভিস বা ব্র্যান্ডের প্রোমোশনে সাহায্য করে অর্থ উপার্জন করা যায়। এ ধরনের মার্কেটিংই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing)। যেমন, Amazon তাদের প্রোডাক্টগুলোর জন্য Amazon Associates নামে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রাম চালায়। এর বাইরে অন্য অনেক প্রোডাক্ট আর সার্ভিস কোম্পানিও সেলস কমিশন শেয়ার করে মার্কেটারদের সাথে।
Apple AirPods Pro
ব্লগিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
বর্তমানে ভিডিওর সাথে সাথে লেখা কনটেন্টের চাহিদাও আছে।
তাই আপনি আপনার মোবাইল ফোনটি দিয়ে লেখালেখি করে অনলাইনে ইনকাম করতে পারেন।
তবে এজন্য আপনাকে একটি ব্লগ ওয়েবসাইট খুলতে হবে।
কিছুদিন লেখালেখি করার পর আপনি গুগল এডসেন্সের জন্য এপ্লাই করবেন।
এপ্লাই করার পর সাইটটি এপ্রুভ হয়ে যাবে। এডসেন্সে এপ্রুভ হয়ে গেলে ইনকাম শুরু করতে পারবেন।
ব্লগ সেটাপ করতে ওয়ার্ডপ্রেস অথবা ব্লগার ডট কম ব্যবহার করে ওয়েবসাইটটি তৈরি করে নিন।
এরপর আস্তে আস্তে লেখালেখি করা শুরু করুন। ব্লগে মানসম্পন্ন লেখা থাকলে গুগল এডসেন্সের অ্যাপ্রুভাল পেতে কোন অসুবিধা হবে না।
এডসেন্স এপ্রুভ হয়ে গেলে আপনার ব্লগে এড দেখে ইনকাম শুরু করতে পারবেন।
তাছাড়া গুগল এডসেন্স ছাড়াও স্পন্সরড পোস্ট এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে বেশ ভালো পরিমাণে ইনকাম করা যায়।
তবে আপনার মোবাইল দিয়ে লেখালেখি বা ব্লগিং করে ইনকাম করার জন্য একটি ডোমেন এবং হোস্টিং কিনতে হবে।
তার জন্য কিছু খরচ আপনাকে বহন করতে হবে। যদিও আপনি ব্লগার ডট কমে হোস্টিং ফ্রিতে পেয়ে যাবেন।
ফেসবুক ই-কমার্স দ্বারা মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
আগে ই-কমার্স ব্যবসা করা বেশ কঠিন ছিলো। তবে বর্তমানে ফেসবুক Facebook মার্কেটপ্লেস ব্যবহার করে যে কোন পণ্য অনলাইনে মোবাইল ফোন দিয়ে বিক্রি করা সম্ভব।
বর্তমানে ফেসবুকে প্রচুর পরিমাণে ব্যবহারকারী আছে। এরা করতে কি হয়ে উঠতে পারে আপনার ই-কমার্স ব্যবসার কাস্টমার।
তবে এই ব্যবসা করতে আপনাকে কিছু টাকা পণ্য কিনতে এবং এড চালাতে বিনিয়োগ করতে হবে।
পণ্যগুলি ফেসবুক Facebook মার্কেটপ্লেস যোগ করুন এবং ফেসবুক ব্যবহারকারীদের শেয়ার করুন।
যারা আপনার পন্য কিনতে ইচ্ছুক হবে তারা আপনার যোগাযোগ করবে ফলে আপনার পন্য বিক্রি হতে বেশি দিন লাগবে না।
বর্তমানে অনলাইন শপিং এর জনপ্রিয়তার জন্য ফেসবুক Facebook মার্কেটপ্লেস গুলি থেকে বিক্রির পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে।
তাই আপনি এই বিষয়টি মাথায় রেখে মোবাইল দিয়ে অনলাইনে এই ওয়েবসাইটি শুরু করতে পারেন ।
(মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতি)
কিভাবে বাংলাদেশে থেকে PayPal পেপ্যালে অ্যাকাউন্ট খুলব ?
ফেসবুক Facebook মনিটাইজেশন দ্বারা মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
ইউটিউবের মতোই ফেসবুকেও অ্যাড লাগিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়। ফেসবুক পেজে ভিডিও বা আর্টিকেল পোস্ট করে আয় করা সম্ভব।
তবে ফেসবুক ভিডিও থেকে ইনকাম করতে যেই শর্তগুলি পূরণ করতে হবে তা হল-
- গত এক মাসের মধ্যে ৬ লক্ষ মিনিট ওয়াচ টাইম।
- দশ হাজার পেজ ফলোয়ার।
- সর্বনিম্ন পাঁচটি ফেসবুক ভিডিও।
এমনিতে আপনি ইউটিউবের জন্য যে ভিডিও তৈরি করবেন তা ফেসবুকে Facebook আপলোড করে দু জায়গা থেকেই ইনকাম করতে পারবেন।
এক্ষেত্রে আপনার ইনকাম ডবল হবে এবং সফলতাও আসবে।
ফেসবুক Facebook থেকে ইনকাম করার জন্য একাধিক পদ্ধতি আছে সেগুলি হল- instem ad, ফ্যান সাবস্ক্রিপশন, ব্র্যান্ডেড কনটেন্ট।
ফেসবুকের ভিডিও যেহেতু শেয়ার করে খুব সহজে ভাইরাল করা যায় তাই ফেসবুক Facebook পেজটাইজেশন করা খুবই সহজ