YouTube এর নীতি এবং গাইডলাইনের মধ্যে আপনার কনটেন্ট তৈরি করুন। যেমন, কোনো প্রতিযোগিতার ফলাফল হ্যাকিং, অবহেলিত বিষয়গুলির প্রচার বা অবহিত তথ্যের প্রচার করা মানা হয়।
YouTube এ বেশি রিচ হওয়ার জন্য কন্টেন্ট তৈরি করতে হলে কিছু প্রধান উপায় মনে রাখা উচিত। নিম্নলিখিত পরামর্শগুলি অনুসরণ করা যাক:
টার্গেট অডিয়েন্সের জন্য কন্টেন্ট তৈরি করুন:
আপনার কন্টেন্ট তৈরি করার আগে প্রাথমিক লক্ষ্য কোন ধরনের পাবলিকের কাছে আপনার ম্যাসেজ পৌঁছাতে চান তা ধরা প্রয়োজন। আপনার টার্গেট অডিয়েন্সের চাহিদা ও আগ্রহের ভিত্তিতে কন্টেন্ট পরিকল্পনা করুন।
মৌলিক এবং আকর্ষণীয় কন্টেন্ট:
YouTube এ আপনার ভিডিও আকর্ষণীয় এবং মৌলিক হতে হবে। যদি আপনি কোনও নতুন ধরনের ভিডিও তৈরি করেন, তাহলে তা নিশ্চিত করুন যে এটি আপনার পাবলিকের কাছে অনুপ্রেরণা তৈরি করবে এবং তারা এটি ভাগ করতে ইচ্ছুক হবেন।
ভিডিওর স্বার্থে ভাল স্ক্রিপ্ট ও প্রেজেন্টেশন:
ভিডিও তৈরি করার সময় ভাল স্ক্রিপ্ট এবং প্রেজেন্টেশন গুরুত্বপূর্ণ। কন্টেন্ট সঠিক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে দাখিল করা উচিত যাতে আপনার পাবলিক স্বাভাবিকভাবে সাম্প্রতিক কন্টেন্টে নিয়ে চিন্তা করতে পারেন। উচ্চ গুণগত মানের ভিডিও তৈরি করুন যাতে তা দৃশ্যমান হয় এবং শুনে আকর্ষণীয় লাগে। ভাল গ্রাফিক্স, শব্দের মান, ছবি, সম্প্রচার সংক্রান্ত বিবরণ ইত্যাদি সঠিক করে নিতে হবে।
সাম্প্রতিক ট্রেন্ডের সাথে মেলানো:
আপনার ভিডিও কে সাম্প্রতিক ট্রেন্ড অনুযায়ী তৈরি করুন। এটি আপনাকে অনুকরণীয় এবং সাম্প্রতিক রাখতে সাহায্য করবে এবং আপনার ভিডিওর দৃশ্যদানের সংখ্যা বাড়ানোর সাহায্য করবে।
প্রফেশনাল পরিবেশ ও উপকরণ ব্যবহার করুন:
YouTube এ কনটেন্ট তৈরির সময়ে প্রফেশনাল পরিবেশ ব্যবহার করুন এবং উপকরণ সঠিকভাবে ব্যবহার করুন। ভালো ক্যামেরা, মাইক্রোফোন, আলাদা লাইটিং সিস্টেম ইত্যাদি ব্যবহার করুন।
অনুপ্রাণিত হোন:
অন্যদের সাফল্যের উপর ভিত্তি করে নতুন কনটেন্ট তৈরি করুন, কিন্তু কপি না করুন। আপনার নিজস্ব ভাবনা ও আলোচনাগুলির উপর ভিত্তি করে আপনার নিজের স্টাইলে কনটেন্ট তৈরি করুন।
সময়ে বিনিয়োগ করুন:
কনটেন্ট তৈরির সময় এবং উন্নত সম্প্রদায় নিয়ে কাজ করুন। আপনি একটি প্রোজেক্টে যত সময় ব্যবহার করেন, তা থেকে তার মান বেশি হতে পারে।
সম্প্রদায়ের সাথে সম্পর্ক উন্নত করুন:
আপনার সাম্প্রদায়ের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করুন এবং তাদের মতামত ও পরামর্শ গ্রহণ করুন। তাদের প্রতিক্রিয়া আপনার কনটেন্ট তৈরি প্রক্রিয়ার জন্য মূল্যবান হতে পারে।
আরো পড়ুন
- Youtube ইউটিউব এসইও – A টু Z গাইডলাইন
- ইউটিউবে YouTube কোন টপিকে ভিডিও বানালে সবচেয়ে বেশি ভাইরাল হবে?
- কেন YouTube ইউটিউব থেকে অনলাইনে আয় করা সহজ!
- কিভাবে market-placeমার্কেট প্লেস এর বাহিরে ক্লায়েন্ট পাবো ?
- IPL লাইভ কিভাবে দেখবেন 2024
ভিডিও সম্প্রদায়ের সাথে বিন্দুবিন্দু যোগাযোগ:
আপনার দর্শকের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ ও প্রতিক্রিয়া দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার দর্শকদের মতামত ও পরামর্শ প্রদান করা এবং তাদের সাথে একটি সম্প্রদায় গঠন করা আপনার চ্যানেলের জনপ্রিয়তা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।
SEO প্রাথমিকতা:
আপনার ভিডিও টাইটেল, বিবরণ, ট্যাগ এবং থাম্বনেইল সঠিক এবং আকর্ষণীয় হতে হবে। SEO প্রাথমিকতা মেটাডেটা আপনার ভিডিওকে সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে সনাক্ত করতে সাহায্য করে থাকে।
YouTube এ কনটেন্টে ভিউ বাড়াতে যে কাজগুলো করবেন না
YouTube এ নির্ধারিত কিছু নিয়ম-কানুনের মধ্যে দিয়ে আপনাকে কনটেন্ট আপলোড করতে হবে।YouTube মোটাদাগে দুটি প্রধান মানদণ্ডে তাদের নিয়মগুলো নির্ধারণ করে থাকে।
এ সব নিয়ম-কানুন লঙ্ঘন করলে ওই অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে ফেসবুক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। শাস্তিস্বরূপ ফেসবুক আপনার কন্টেন্টের রিচ কিংবা মানুষের কাছে পৌঁছানোর হার কমিয়ে দিতে পারে। আপনার কনটেন্ট মনেটাইজেশন বা সেগুলো থেকে টাকা আয়ের পথ বন্ধ করে দিতে পারে। এমনকি এসব নিয়ম লঙ্ঘনের কারণে আপনার অ্যাকাউন্টও বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
YouTube কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডস
YouTube প্ল্যাটফর্মে কী অনুমোদিত এবং কী অনুমোদিত নয়, সেগুলো এখানে বলা হয়। অর্থাৎ এর মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন কী ধরনের কনটেন্ট পোস্ট করা যাবে না। কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডস লঙ্ঘন করলে আপনার কনটেন্ট প্ল্যাটফর্ম থেকে সরানো হতে পারে এবং এর ফলে আপনার অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
কনটেন্ট ডিস্ট্রিবিউশন গাইডলাইনস
এই মানদণ্ডের অধীনে YouTube এ সমস্যাযুক্ত বা নিম্নমানের বিভিন্ন কন্টেন্টগুলোর প্রচার বা রিচ সীমিত করে দেয়। এটি আবার ৩টি মূল নীতির ওপর ভিত্তি করে কাজ করে, যেমন-
ব্যবহাকারীদের সরাসরি প্রতিক্রিয়া
ব্যবহাকারীরা যখন কোনো একটি নির্দিষ্ট কনটেন্ট দেখতে চায় না তখন এটি কার্যকর হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে অ্যাড ফার্ম, ক্লিকবেট এবং এনগেইজমেন্ট বেইটের মতো বিষয়গুলো।
উচ্চমানের এবং সঠিক কন্টেন্ট
প্ল্যাটফর্মের কনটেন্ট উচ্চ-মানের এবং সঠিক না হলে ফেসবুক সেটির প্রচার কমিয়ে দেয়। যেসব কনটেন্ট এই নীতির অধীনে পড়ে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে অমৌলিক সংবাদ, ভুল তথ্য, গুজব এবং এমন সব কনটেন্ট যেগুলোর প্রচার কৃত্রিমভাবে বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়।
নিরাপদ কমিউনিটি রক্ষা
YouTube তার ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে বেশ কঠোর। এই নীতির অধীনে যেসব কনটেন্ট পড়ে তার মধ্যে রয়েছে, যৌনতা বা সহিংস কোনো কন্টেন্টের লিঙ্ক এবং যেসব কনটেন্ট কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডস লঙ্ঘনের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।
‘কনটেন্ট ডিস্ট্রিবিউশন গাইডলাইন’ বারবার লঙ্ঘন করার ফলে কন্টেন্টের প্রচার বা রিচ কমে যায়।
নিয়ম ভঙ্গ করেছেন কি না যেভাবে বুঝবেন
আপনি যদি YouTube কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডের বিরুদ্ধে যায় এমন কন্টেন্ট পোস্ট করেন, তাহলে সেটি তারা সরিয়ে দেবে। সঙ্গে আপনাকে সেটি সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়া হবে এবং আপনার YouTube অ্যাকাউন্টে স্ট্রাইক প্রয়োগ হতে পারে। স্ট্রাইক প্রয়োগ হবে কি না তা নির্ভর করে কন্টেন্টের তীব্রতা, কোন প্রসঙ্গে এটি শেয়ার করা হয়েছিল এবং কখন পোস্ট করা হয়েছিল তার ওপর। আপনি পেজ কোয়ালিটি টুলে গিয়ে আপনার অ্যাকাউন্টের বর্তমান অবস্থা দেখতে পারবেন। যেখান থেকে আপনি আপনার অ্যাকাউন্টে কোনো কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড লঙ্ঘন হয়েছে কি না বুঝতে পারবেন।
Meat Kima maker No-12 review
কনটেন্ট নির্মাতা হিসেবে যে ৩টি বিষয় এড়িয়ে চলবেন
৩টি বিষয়ের কারণে কনটেন্ট নির্মাতাদের প্রায়শই ঝামেলায় পড়তে দেখা যায়। অনেকে মনে করেন এগুলোর মাধ্যমে বেশি দর্শক এবং ভিউ পাওয়া সম্ভব। তবে দীর্ঘমেয়াদে এগুলো আপনার ‘কনটেন্ট ক্রিয়েটর’ ক্যারিয়ারের ক্ষতি করবে।
এনগেজমেন্ট বেইট
অনেকসময়ই দেখা যায়, পোস্টে কেউ কেউ লাইক, শেয়ার, কমেন্ট বা ইন্টারঅ্যাক্ট করার জন্য অনুরোধ করেন। যেমন ধরুন, ‘১০ জন বন্ধুর সঙ্গে শেয়ার করার মাধ্যমে নতুন মোবাইল ফোন জিতে নিন’, ‘আপনার সঙ্গেও এমনটি ঘটে থাকলে পোস্টটি লাইক করুন’; অর্থাৎ লাইক, শেয়ার, কমেন্ট চেয়ে নেওয়ার প্রবণতাই হচ্ছে এনগেজমেন্ট বেইট। যা করলে আসলে YouTube রিচ কমিয়ে দেয়।
কন্টেন্টের মৌলিকতার অভাব
YouTube অরিজিনাল বা মৌলিক কন্টেন্টের ওপর বেশি জোর দেয়। অর্থাৎ যেটি আপনি নিজে কণ্ঠ দিয়ে, সম্পূর্ণ নিজ থেকে মৌলিকভাবে তৈরি করেছেন তার মূল্য ফেসবুকের কাছে বেশি। অন্যদের কনটেন্ট হালকা এডিট করে, কাটছাঁট করে কিংবা আগে থেকে বিদ্যমান কোনো কনটেন্ট নকল করে পোস্ট করলে YouTube সেগুলোকে মৌলিকতা লঙ্ঘন হিসেবে গণ্য করে।
ওয়াচবেইট
আমরা এই ধরনের কন্টেন্টের সঙ্গে অনেক বেশি পরিচিত। থাম্বনেইল, শিরোনাম বা টেক্সটগুলোয় চাঞ্চল্যকর বা বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে ভিউ নেওয়া হয় এগুলোর মাধ্যমে। ওয়াচবেইট কনটেন্টে ইচ্ছাকৃতভাবে তথ্য আটকে রাখা হয়। যার মাধ্যমে মনে হতে পারে কনটেন্টে চাঞ্চল্যকর কিছু আছে। ফলে দর্শক পুরো ভিডিওটি দেখার জন্য বসে থাকে। এতে করে দর্শককে আসলে বিভ্রান্ত করা হয়।
অপ্রয়োজনীয় অতিরঞ্জন ব্যবহার করে প্রায়শই বিভ্রান্তিকর প্রত্যাশা তৈরি করে এগুলো। যা শেষ পর্যন্ত দর্শককে প্রতারিত করে। তাই এসব কনটেন্ট প্রচার করলে YouTube ভিডিও কিংবা পেজ ডিমোট করতে পারে।
সমস্যায় পড়লে যা করবেন
কাজ করার সময় নানারকম সমস্যা তৈরি হওয়া স্বাভাবিক। এটি কাজেরই একটি অংশ। এক্ষেত্রে মনিটাইজেশনের যোগ্যতা, বুলিং, ভেরিফিকেশনের মতো বিভিন্ন সাধারণ সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য YouTube রয়েছে ক্রিয়েটর সাপোর্ট।
একজন কন্টেন্ট নির্মাতা হিসেবে নিরাপদে আপনার দর্শক এবং কন্টেন্টের রিচ বাড়ানোর জন্য ফেসবুকের কিছু নিয়ম-কানুন জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরি। YouTube এ জন্য কনটেন্ট নির্মাণের পূর্বে এর নিয়ম-কানুনগুলো সম্পর্কে জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরি। নিয়ম-কানুন সম্পর্কে উপযুক্ত জ্ঞান না থাকলে আপনি দীর্ঘমেয়াদিভাবে এই ক্ষেত্রে উন্নতি করতে পারবেন না।