facebook ফেসবুক থেকে প্রতি মাসে কত টাকা আয় করা সম্ভব? যে কেউ facebook ফেসবুকে টাকা আয় করতে পারেন। জীবনের যে কোনও কিছুর মতো, আপনার প্রচেষ্টা প্রথমবার কাজ না করলে আপনাকে অধ্যবসায়ী হতে হবে এবং হাল ছেড়ে দেওয়া উচিত নয়। আপনি যদি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হন এবং আপনার যদি প্রচুর অধ্যাবসায় থাকে, তবে আপনিও ফেসবুকে টাকা আয় করতে পারেন।
facebook ফেসবুকে টাকা আয় করার পূর্বে আপনার প্রোফাইলটিকে অবশ্যই প্রফেশনালভাবে সাজানোটা গুরুত্বপূর্ণ। তাই শুরুতেই নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনার ফেসবুক প্রোফাইলটি বেশ প্রফেশনাল দেখাচ্ছে। প্রোফাইল পিকচার এবং কভার ফটো অংশে নিজের সত্যিকারের একটি ছবি রাখুন।
যদি আপনি এ কাজের জন্য কোন পেজ ব্যবহার করেন, তবে আপনার প্রতিষ্ঠানের লোগো ব্যবহার করতে পারেন। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যে, এতে যেন কোন অপ্রাসঙ্গিক ছবি না থাকে। যখন কেউ আপনার প্রোফাইল বা পেজে প্রবেশ করবে, তখন এসব বেসিক বিষয়গুলো দেখে তারা আপনার সেবার কোয়ালিটি পরিমাপ করবে।
১০০% হালাল উপায়ে, কিভাবে facebook ফেসবুক থেকে টাকা আয় করা যায় ?
এই পরামর্শগুলো সবার জন্যই প্রযোজন্য। এগুলো আপনার আপনার ফেসবুক প্রোফাইলের মান সবার কাছে তুলে ধরবে। ফেসবুকে প্রচুর স্প্যামার রয়েছে। যারা কখনোই প্রকৃত সেবা দেয় না। কখনই তাদের অনুসরণ করবেন না। এতে আপনার দীর্ঘস্থায়ী অর্থোপার্জনের সম্ভাবনা ক্ষীণ হবে।
আপনার সকল প্রশ্ন এই উওরে, ফেসবুক থেকে আয় করার 3 টি উপায়? আরও আছে , বাকিটা পরে আলোচনা করব।
- এফ-কমার্স।
- মার্কেটপ্লেস।
- ফাইবারের গিগ বিক্রি।
এগুলোকে কাজে লাগিয়ে আপনি facebook ফেইসবুক থেকে খুব সহজে আয় করতে পারেন।
১। এফ-কমার্স?
এফ-কমার্স হলো facebook ফেইসবুক-কমার্স এটা হলো মূল চাবিকাঠি ফেইসবুক থেকে আয় করার জন্য। ফেইসবুক থেকে আয় করার জন্য আপনার প্রয়োজন একটা ফেইসবুক পেইজ, এই পেইজ থেকে আপনি যেকোনো ব্যবসা শুরু করতে পারবেবন। ফেইসবুক পেইজ থেকে আপনি ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। প্রতিনিয়ত আমরা ফেইসবুকে দেখে থাকি আমাদের নিউজ ফিড বিভিন্ন পণ্যের স্পন্সর পোস্ট আমাদের সামনে এসে থাকে ৪০% অফ এই পণ্যের জন্য বিভিন্ন কোম্পানির শার্ট, মেয়েদের ড্রেস, বিভিন্ন গিফট আইটেম ইত্যাদি।
আমাদের নিউজ ফিড চলে আসে আমাদের পছন্দ হলে আমরা ক্রয় করে থাকি এইটা হলো ই-কমার্স ব্যবসা। এটা করতে আপনাকে কিছু পণ্যের জন্য ইনভেস্ট করতে হবে , প্রোডাক্ট মার্কেটিং জন্য কিছু ইনভেস্ট করতে হবে শুরু দিকে ফ্রিতে মার্কেটিং শুরু করতে পারেন। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো প্রোডাক্ট ডেলিভারি এবং ভালো কোয়ালিটি প্রোডাক্ট ডেলিভারি করা।
ভালো প্রোডাক্ট হলে আপনার কাছে সেই কাস্টমার আবার আসবে ক্রয় করার জন্য মনে রাখবেন আপনার ব্যবসাটি লং টাইমের জন্য হওয়া উচিত। এই ই-কমার্স থেকে আপনার ইনভেস্ট এবং মার্কেটিং এর উপর ভিত্তি করে লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ করতেছে এই পদ্ধতি অবলম্বন করে। বর্তমানে লকডাউনের সময় সবচেয়ে বেশি লাভবান হলো ই-কমার্স ব্যবসায়িরা। মানুষ এখন সবকিছু অনলাইনে অর্ডার করতে চাই। ২০২১ সালে আপনি ও ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান শুরু করতে পারেন । এই পোস্টটি দেখতে পারেন ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করার জন্য কি কি করা যেতে পারে।
২। মার্কেটপ্লেসঃ
মার্কেটপ্লেস বলতে কাজ করার জায়গাকে বুঝানো হয়।এই মার্কেটপ্লেসে সব ধরনের কাজ পাওয়ার যায়, কাজ করতে হলে নিজেকে দক্ষ এবং নিজেকে সঠিকভাবে ব্যবহার করে আয় করা। facebook ফেইসবুক সবচেয়ে বড় একটা মার্কেট প্লাটফর্ম হয়েছে। এই প্লাটফর্মে নিজেকে কাজে লাগাতে পারলে অনায়াসে ৩০-৫০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব।
কি করে দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আয় করবেন তাহলে পুরো পোস্ট পড়ুন অনায়াসে বুঝতে পারবেন। মনে রাখবেন ফেইসবুক পেইজে লাইক বাড়ানো মানে ফেইসবুক মার্কেটিং না, ফেইসবুক থেকে কোন পণ্য সেল করা হলো মার্কেটিং এর মূল অংশ। যদি আপনি সেল তৈরি করতে না পারেন তাহলে আপনার মার্কেটিং ভালো হচ্ছে না বুঝে নিতে হবে।
facebook ফেইসবুকে ঠিকে থাকতে হলে আপনাকে অবশ্য আপনার পেইজকে ভালোমতো সাজাতে হবে, রেগুলার কন্টেন্ট পাবলিশ করতে হবে। সঠিক মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে, আপনার টার্গেটেট অডিয়েন্সের কাছে গিয়ে পণ্য বিক্রি করতে হবে। নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে কি করে ফেসবুক মার্কেটপ্লেস থেকে আয় করবেন সেটা বিস্তারিত ভাবে পরবর্তী টপিক আলোচনা করিতেছি।
A9 Mini Wireless WIFI Camera, A9 মিনি ওয়্যারলেস ওয়াইফাই ক্যামেরা
৩। ফাইবারের গিগ বিক্রি:
ফ্রিল্যান্সিং অনেক কাজ কিন্তু facebook ফেইসবুক পাওয়া যায়। অনেক ক্লায়েন্ট ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে কাজ করায় না সরাসরি তাদের ফেইসবুক জব পোস্ট করে থাকে। আপনার একটি ফেইসবুক পেইজ থেকে বা নিজের ব্যাক্তিগত প্রোফাইল থেকে এই কাজ খুব সহজে করতে পারবেন। প্রথমে আপনার ফেইসবুক পেইজ বা ব্যাক্তিগত প্রোফাইল কে খুব সুন্দর করে সাজিয়ে নিন।একটা প্রোফেশনাল লোগো বা প্রোফাইল পিকচার ভালো মানের ফেইসবুক কভার ফটো, পেইজ ডিসক্রিপটশন ইত্যাদি। অবশ্যই আপনার লোগো এবং কভার ফটো একজন ভালো ডিজাইনারকে দিয়ে করিয়ে নিবেন। মনে রাখবেন আপনার ব্যান্ডিং হলো মূল বিষয় ব্যান্ডিং খারাপ হলে আপনাকে কেউ কাজ দিতে চাইবে না। এগুলো করার পরে আপনার পেইজে বা ব্যাক্তিগত প্রোফাইল আপনার নিশ রিলেটেড কনটেন্ট শেয়ার করুন। পুরো কনটেন্ট পড়তে এই আর্টিকেলটি পড়ুন ফেসবুক থেকে আয় করার উপায় পেয়ে যাবেন।
2 thoughts on “facebook ফেসবুক থেকে প্রতি মাসে কত টাকা আয় করা সম্ভব?”