ঘরে বসে onlineঅনলাইনে শেখা ও আয় করা সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে ইচ্ছুক মানুষের জন্য এবার টপিক ঘরে বসে online অনলাইনে আয় করার ১৫ টি উপায়।
এবার সে সকল উপায় সম্পর্কে একসাথে বলব যেগুলো ঘরে বসে কাজ করাকে সমর্থন করে। মোটামুটি যত ধরনের কাজ আছে যা অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে করা যায় সেই সকল বিষয় কভার করার চেষ্টা করব আর্টিকেল এর মাধ্যমে।
গুছিয়ে উপস্থাপন করার সুবিধার্থে ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার ১৫ টি উপায় গুলোকে মোট তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যেখান থেকে আপনি আপনার পছন্দের মিষ্টি অথবা পছন্দের স্পিসিফিক কাজটি বেছে নিয়ে সেটির উপরে আপনার প্লানিং গড়ে তুলতে পারেন।
উল্লেখ্য যে এখানে কোন কাজকে রেংকিং অনুযায়ী তালিকা করা হয়নি। বড় ক্রমান্বয়ে প্রতিটি কাজের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। তাহলে ইন্ট্রো পর্ব এখানেই শেষ করে চলে যাই মূল বিষয়ে
Freelancing ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন ?
ঘরে বসে online অনলাইনে আয় করার উপায়
যেমনটা বলেছিলাম এখানে কাজের ধরন অনুযায়ী এই তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে প্রথমটি হচ্ছে মিডিয়া বা কনটেন্ট, তারপরে আসবে ডিজিটাল মার্কেটিং সংক্রান্ত এবং সর্বশেষে টেকোলজি বিষয়ক কাজগুলো। শুরু থেকেই শুরু করা যাক..
মিডিয়া / কন্টেন্ট
এই ক্যাটাগরিতে কাজগুলো হয় খুবই ক্রিয়েটিভ। ব্যক্তি তার নিজের বুদ্ধিমত্তা ও চিন্তাভাবনা দিয়ে এই বিভাগের কাজগুলো সম্পাদন করে থাকে। প্রতিটি ব্যক্তির কনটেন্ট ভিন্ন হয়ে থাকে এবং যার যার পছন্দ অনুযায়ী এই ক্যাটেগরির কাজগুলো সিলেক্ট করতে হয়।
তবে প্রথমে একটি সতর্কবার্তা দিয়ে রাখা ভাল যে, এই ক্যাটেগরির কাজ গুলোর মধ্যে পছন্দ বাইরের কাজ করার ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময়ে সফলতা দেখা মিলে না। তাই অবশ্যই এই ক্যাটেগরির কাজ বাছাই এর আগে আপনার ব্যক্তিগত পছন্দের দিকে খেয়াল রাখবেন।
১. ভিডিও শুটিং
ভিডিও শুটিং! বোঝাই যাচ্ছে ভিডিও সংক্রান্ত কাজ। তবে এক্ষেত্রে কেবলমাত্র ভিডিও তৈরি করা বিষয়ক কাজ করতে হবে।
বর্তমান সময়ে ভিডিও কনটেন্ট তৈরি ও এর ব্যবহার সকল স্তরে দেখা যাচ্ছে। ইউটিউব এর কল্যাণে ভিডিও এখনই ইউজার প্রথম চয়েজ হয়ে গেছে। যেকোন সমস্যার সমাধানে প্রথম সার্চ গুগোল এ হলে দ্বিতীয় সার্চ হয় ইউটিউবে। আর এতেই সুযোগ হয়ে উঠেছে ভিডিও কনটেন্টের। এক্ষেত্রে ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করার প্রথম ধাপ হচ্ছে ভিডিও শুটিং।
তাই ব্যক্তিগত ও প্রতিষ্ঠানিক পর্যায়ে প্রয়োজন হচ্ছে ভিডিও শুটিং এজেন্সির। যাদের মূল কাজ বিভিন্ন ব্যবহারিক কাজে ভিডিও শুট করে দেওয়া।
ভিডিও শুটিং মূলত ঘরের বাইরে করতে হয় বলে মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এমনটা সবক্ষেত্রে হয় না। এমন অনেক প্রজেক্ট রয়েছে যেখানে ঘরে বসে Indoor শুটিং মাধ্যমে কাজ করা হয়। যেমন কোন পণ্যের বিজ্ঞাপনের জন্য ভিডিও শুটিং অথবা কোন ব্যক্তির জন্য ইউটিউব ভিডিও শুটিং ইত্যাদি
অনলাইনে বর্তমানে ভিডিও শুটিং কোর্স পাওয়া যায়। যার মাধ্যমে শিখতে পারবেন কিভাবে প্রপার ভাবে ভিডিও শুট করতে হয় এবং বাণিজ্যিকভাবে ব্যবসা করতে হয় ভিডিও শুটিং এর মাধ্যমে।
২. ভিডিও এডিটিং
মূলত ভিডিও শুট করার পরে যে কাজের সুযোগ হয়ে থাকে তা হচ্ছে ভিডিও এডিটিং। আমরা জানি কোন ভিডিওই শুধুমাত্র ভিডিও শুট করার পরে সেটাকে দেখানো হয় না। কার জন্য করতে হয় এডিটিং। তবে ভিডিও শুটিং এবং ভিডিও এডিটিংকে একই শ্রেণিতে বা একই জিনিস মনে করার কোনই কারণ নেই। দুইটি দুই রকম স্কিল এবং দুইটির জন্য দুই রকমের এক্সপিরিয়েন্স প্রয়োজন।
অনলাইন ভিত্তিক বিভিন্ন মার্কেট প্রাইস যেমন : আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার, ফাইভার এর মত বড় বড় প্ল্যাটফর্ম এ ভিডিও এডিটরদের ব্যাপক কাজের সুযোগ রয়েছে। এবং এই কাজটির জন্য বর্তমানে অনেক ভালো প্লাটফর্মে ভিডিও এডিটিং এর কোর্স পাওয়া যাচ্ছে। এটি এমন এক স্কিল যেটা ভবিষ্যৎ এর জন্য খুবই লিডিং ও কার্যকর।
৩. এনিমেশন
ভিডিওগ্রাফি পর মানুষকে আকর্ষিত করার জন্য যে কোন তিনটি সবচেয়ে বেশি কার্যকর সেটি হচ্ছে অ্যানিমেশন। 2D ও 3D অ্যানিমেশন এর মাধ্যমে যে সকল বিষয় বস্তু উপস্থাপন করা যায় যা স্বাভাবিক ভাবে মানুষের মধ্যমে করা কষ্টকর।
বর্তমানে বিভিন্ন ট্রেনিং এর ক্ষেত্রে, প্রেজেন্টেশন এর ক্ষেত্রে এনিমেশন ভিডিও তৈরি করা হয়। তাছাড়া কার্টুন এনিমি মুভি তৈরি অ্যানিমেশন ছাড়া কল্পনা করা যায় না।
তাছাড়া ওয়েব 3.0 এর নতুন দুনিয়ায় ভিসুয়ালিজেশন প্রযুক্তিতে অ্যানিমেশন এর ভূমিকা ব্যাপক। বর্তমান এবং ভবিষ্যতের দিক থেকে চিন্তা করলে অ্যানিমেশন হতে পারে আধুনিক যুগের সেরা পছন্দ ঘরে বসে আয় করার উপায় হিসেবে।
অ্যানিমেশনে দুনিয়ায় জাপান অনেকটাই এগিয়ে। আপনি যেকোন জাপানি অ্যানিমেশন দেখলে বুঝতে পারবেন যে কতটা সুন্দর ও ক্রিয়েটিভ ভাবে কন্টেন উপস্থাপন করা যায় এনিমেশন এর মাধ্যমে।
যেহেতু অ্যানিমেশন এর কাজ করতে কোথাও যেতে হয়না নিজের ঘরে বসে কম্পিউটার বা ল্যাপটপের মাধ্যমে করা সম্ভব তাই এটি রেখেছি এই তালিকার মধ্যে অন্যতম উপায় হিসাবে।
যেকোনো ট্রাস্টেড প্ল্যাটফর্ম থেকে অ্যানিমেশনের কাজ করার পর ফাইবার আপওয়ার্ক ফ্রিল্যান্সার এর মতো বড়-বড় ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মেও ফ্রিল্যান্সার হিসেবে যুক্ত হয়ে আয় করতে পারেন।
৪. গ্রাফিক্স ডিজাইনিং
আপনি যদি কাউকে জিজ্ঞেস ফ্রিল্যান্সিং এর কথা আর সে গ্রাফিক ডিজাইনিং এর কথা বলবে না এটা সম্ভবই না। কারণ বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ফ্রিল্যান্সিং খাতে জনপ্রিয় কাজ হচ্ছে গ্রাফিক্স ডিজাইন। বিগেনার দশজন ফ্রিল্যান্সার এর মধ্যে চারজনই গ্রাফিক্স ডিজাইন টি বেছে নেয় নিজের কাজ হিসেবে।
বর্তমানে যত অনলাইন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলো এগোচ্ছে ততোই গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের কাজ বেড়েই চলছে। পাশাপাশি এদের চাহিদা বেড়ে চলছে কারণ বর্তমান সময়ে ভার্চুয়াল লাইফে গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর প্রভাব খুবই ব্যাপক।
আপনি যদি সরাসরি কোনো প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ নাও করেন, কেবল ফ্রিল্যান্সার হিসাবে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করেন তবুও প্রচুর পরিমানে আয় করতে পারবেন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হয়ে।
আমি এমন ও গ্রাফিক্স ডিজাইনার কে দেখেছি যে মাসের লক্ষ টাকা আয় করে বাংলাদেশি হয়েও। তবে এই সেক্টরে টিকে থাকতে প্রয়োজন প্রচুর মনোবল ও কর্মদক্ষতা। প্রথমেই চিন্তা না করে যদি কাজ শিখার উপায় মনোযোগ দেওয়া হয় তাহলে অবশ্যই এই সেক্টরে আগানো সম্ভব।
প্রতিটা কাজের ন্যায় গ্রাফিক্স ডিজাইনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু অনলাইন ভিত্তিক কোর্স পাওয়া যায় বিভিন্ন পপুলার প্লাটফর্মে। আমি স্পেসিফিকভাবে কোন প্ল্যাটফর্মকে প্রমোট করতে চাচ্ছি না তবে আপনার আশেপাশে খোঁজ করলে অবশ্যই ভালো প্ল্যাটফর্ম পেয়ে যাবেন সেখান থেকে কোর্স করে নিজের স্কিল ডেভেলপ করতে পারবেন। তবে একান্তই যদি এই বিষয়ে সাজেশন চান তাহলে বলব আমার দেখা Mentorian প্লাটফর্মের গ্রাফিক্স ডিজাইন কোর্স গুলো খুব ভালো। এই প্ল্যাটফর্মের যে কোন কোর্স এর মধ্যে 60 পার্সেন্ট ডিসকাউন্ট পেটে এই প্রোমো কোডটি ব্যবহার করুন
৫. কপি রাইটং / কন্টেন্ট রাইটিং
যদিও কপিরাইটিং ও কনটেন্ট রাইটিং এক নয় তবে উভয় লেখালেখি বিষয় হওয়ার কারনে এবং এটি ক্রিয়েটিভ জিনিষ হওয়ার কারণে এই ক্যাটাগরিতে স্থাপন করেছি।
কনটেন্ট রাইটিং হচ্ছে যে কোন বিষয়ের উপর আর্টিকেল লেখা হতে পারে সেটা নিউজ অথবা ব্লগ পোস্ট, ভিডিও স্ক্রিপ্ট অথবা গল্প বা নাটক।
অন্যদিকে কপিরাইটিং হচ্ছে কোন পোস্ট এর ক্যাপশন বিজ্ঞাপনের উক্তি সমূহ বা এজাতীয় লেখা। যেহেতু প্রতিনিয়ত অনলাইন ও অফলাইন ভিত্তিক কোম্পানিগুলো বেড়েই চলছে সেহেতু কনটেন্ট রাইটিং ও কপিরাইটিং এর চাহিদা দিন দিন বাড়বে।
আপনার যদি লেখালেখি করতে ভালো লাগে ভীষণ অর্থ সংগ্রহ ও ক্রিয়েটিভ কিছু করতে পছন্দ করেন তাহলে নির্দ্বিধায় কনটেন্ট রাইটিং অথবা কপিরাইটিং এর সাথে আপনার ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন। ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার জন্য এর চেয়ে সহজ ও ভালো উপায় আর নেই।
যদিও কনটেন্ট রাইটিং এ কপিরাইটিং ক্রিয়েটিভ কাজ ও চিন্তা ভিত্তিক কাজ তবুও শেখার জন্য বেশকিছু বিষয় রয়েছে এখানে যা যে কোন কোর্স করার মাধ্যমে সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারবেন এবং এই সেক্টরে দক্ষ হতে পারবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং
একটা সময় ছিল যখন যেকোনো প্রতিষ্ঠানের তাদের পণ্য কাদুগদি বিজ্ঞাপন দেয়ার জন্য অনলাইন ভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম গুলোর দিকে বেশি ঝুঁকতো। যার কারণে সকল মার্কেটিং ছিল অনলাইন ভিত্তিক। তবে বর্তমান ডিজিটাল যুগেও এর চিত্র বদলে গেছে। বর্তমানে মানুষ টেলিভিশন থেকে বেশি ইউটিউব ও সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে সময় কাটান। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে মানুষ যেখানে বেশি দেখছে সেখানেই মার্কেটিং করা হবে। সেখান থেকেই সৃষ্টি ডিজিটাল মার্কেটিং নামক টার্মের। আসুন জেনে নিই ডিজিটাল মার্কেটিং ভিত্তিক কোন কোন কাজগুলো করার মাধ্যমে ঘরে বসে অনলাইনে আয় করা সম্ভব হবে।
১. ফেসবুক মার্কেটিং
এটা আমরা সবাই জানি যে বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও ট্রেন্ডিং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম আছে ফেসবুক। মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ প্রতিদিন ফেসবুক ব্যবহার করে। আর এত পরিমাণে মানুষ যেখানে একত্রিত হয় সেখানে মার্কেটিংয়ের কাজ করা হবে না এটা কল্পনাই করা সম্ভব নয়।
সে সকল মানুষকে আকৃষ্ট করার জন্য ফেসবুক মার্কেটিং নামক টার্ম টি উঠে এসেছে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্তর্ভুক্ত ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে ফেসবুক ইউজারদের বিভিন্ন উপায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পণ্য দ্রব্য ও সেবা কেন্দ্রিক বিজ্ঞাপন দেখানো সেগুলো গ্রহণে উৎসাহিত করা হয়।
নিজে থেকে একটু চিন্তা করুন এটা সম্ভবত আপনার সাথে ও হয়েছে যে আপনি কোন একটি পণ্য বা সেবা গ্রহণ করার কথা ভাবছেন এবং যখনই ফেইসবুক এর নিউজফিড ঘুরছেন তখন অনেকটা সেই রকমের পণ্য বা সেবা এর বিজ্ঞাপন আপনার সামনে উপস্থাপিত হয়েছে। এটি হয়েছে ফেসবুক মার্কেটিং এর কারণে। এছাড়াও আরও অনেক অনেক বিষয় রয়েছে যার মাধ্যমে আপনাকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দেখানো হচ্ছে ফেসবুকের সাহায্য।
এগুলো মূলত করছে কারা আর কেনইবা করছে এই প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে “অর্থ আয়ের জন্য” জি হ্যাঁ ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে বড় এমাউন্টের আয় করা সম্ভব এবং এটি অনলাইন ভিত্তিক কাজ মানে আপনি ঘরে বসে online অনলাইনে আয় করার জন্য ফেসবুক মার্কেটিং এর কাজ গুলো বেছে নিতে পারেন।
তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই অবশ্যই ফেসবুক মার্কেটিং ভিত্তিক কোর্স করা বাধ্যতামূলক কারণ আপনি কি করবেন সেটা আগে জানতে হবে তারপরে সেই কাজের উপর দক্ষতা অর্জন এবং সেটি করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
ব্লগ blog সাইটে ভিজিটর পাওয়ার উপায়
২. মিডিয়া বাইয়িং ( বুস্টিং )
বুস্টিং হচ্ছে এমন একটি সার্ভিসের মাধ্যমে আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করা আপনার কনটেন্ট কে অনেক মানুষের কাছে রিচ করানোর জন্য করা হয়। ফেসবুক সহ আরো অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এমনকি স্বয়ং গুগলের সাথে চুক্তি করে বুস্টিং করার মাধ্যমে আপনার প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানান দিতে পারবেন লাখ লাখ মানুষের কাছে।
এই তো বললাম বুস্টিং কি এবং এর মাধ্যমে কি হয় তবে বুস্টিং এর মাধ্যমে আপনি ভাই কিভাবে করবেন? খুব সহজ, যাদের বুস্টিং প্রয়োজন রয়েছে তাদেরকে বুস্টিং সেবা দেওয়ার মাধ্যমে আপনি আয় করতে পারবেন।
এবার কথা হচ্ছে, বুস্টিং করার জন্য আপনাকে কেন তারা অর্থ প্রদান করবে? কারণ হচ্ছে – বুস্টিং করার জন্য যে সকল জিনিস প্রয়োজন আপনি সে সকল জিনিস অ্যারেঞ্জ করে সহজে তাদের কে বুস্টিং সার্ভিসটি দিবেন। তাছাড়া অনেকেই রয়েছে যারা সঠিকভাবে বুস্ট করতে পারে না, তারাও আপনার গ্রাহক।
মূলত যে কোন পোস্ট বা প্রতিষ্ঠানের আর্টিকেল পোস্ট করতে প্রয়োজন হয় ডলারে যা প্রোভাইড করে থাকে বিভিন্ন ভিসা ও মাস্টার কার্ড তা ছাড়াও আরও বেশ কিছু ডিজিটাল আর্থিক লেনদেনকারী মুদ্রা রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে বুস্টিং সার্ভিস গ্রহণ করা হয়। যাদের রেশন কার্ড ডিজিটাল বোধ করেননি তারা অবশ্যই আপনার কাছ থেকে বুস্টিং পড়াতে আসবে। আর এর মাধ্যমে আপনি একটি বুস্টিং ব্যবসা এজেন্সি করে তুলতে পারেন যার মাধ্যমে ঘরে বসে অনলাইনে আয় করতে পারবেন।
৩. এস ই ও
আপনি যখন যে কোন বিষয়ে জানার জন্য গুগলের সার্চ করেন তখন অবশ্যই সেই বিষয়ে সমাধান গুগোল এস করা প্রথম দুই থেকে তিন পেজ এর মধ্য থেকে কোন ওয়েবসাইট থেকে জেনে নেন। এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় গুগলের প্রথম পেইজে শো করা ওয়েবসাইট গুলোর মধ্য থেকে যে কোন একটি ওয়েবসাইটে ইন্টার করে আপনার কাঙ্খিত জিনিসটি গ্রহণ করেন।
এখানে লক্ষ করুন, প্রতিটি সার্চ রেজাল্ট গুগল প্রথমত দশটি পেজ দেখায়। কিন্তু আপনি প্রায় সময়ই গুগলের প্রথম পেজ সর্বোচ্চ দুই থেকে তিনটা পেজ দেখার মাধ্যমেই আপনার কাঙ্খিত রেজাল্ট জেনে যান। কিন্তু এর পরের পেইজের কন্টেন্ট গুলো রয়েছে সেগুলো আপনি দেখেন না।
এক্ষেত্রে একটা ওয়েবসাইটের ক্রিয়েটর হিসাবে সবাই যাবে গুগলের প্রথম পেজ অথবা প্রথম দুই থেকে তিন দেশের মধ্যে থাকতে। যাতে করে ভিসিটর তার ওয়েবসাইটটিতে আসুক। আর এই কাজটি যার মাধ্যমে করা হয় তার নাম কি এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর কাজ হল আপনার ওয়েব সাইটের কনটেন্ট গুগলের প্রথম পেজে নিয়ে আসা যাতে করে ভিসিটর সহজেই আপনার ওয়েবসাইটে আসে।
দেখুন, দিন দিন যতই ওয়েবসাইটের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ততো বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যাবে। আর এই কাজে যদি আপনি এক্সপার্ট হয়ে যান তাহলে আপনার চাহিদা হবে আকাশচুম্বি। খুব বেশি আয় করা সম্ভব সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করার মাধ্যমে। ঘরে বসে আয় করার জন্য এবং ভবিষ্যৎ কেন্দ্রিক প্লাটফর্ম তৈরি করার ক্ষেত্রে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের এক্সপার্ট হওয়া জুড়ি নেই।
৪. কন্টেন্ট প্লানিং
পূর্বেই বলেছি কনটেন্ট রাইটিং সম্পর্কে তবে কনটেন্ট প্ল্যানিংটা কি? এটা অনেকটা ম্যানেজমেন্ট এর মত কাজ করে। একটা প্রতিষ্ঠান এর ম্যানেজার যেভাবে সকল কাজগুলোকে সাজিয়ে-গুছিয়ে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করে বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে কাজ বুঝিয়ে দেয়, কনটেন্ট প্ল্যানিংটা ঠিক একই রকম তবে সেটা হয় অনলাইন ভিত্তিক প্ল্যাটফর্মের জন্য।
অনেকটা ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট বলা যেতে পারে অনলাইন ভিত্তিক প্লাটফর্মের জন্য এটা হতে পারে কোন কোম্পানির ফেসবুক বা সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট প্ল্যানিং অথবা তাদের ওয়েবসাইটের কোন কন্টাক্ট প্ল্যানিংয়ের। তবে যেটাই হোক না কেন এই বিষয়ে যদি দক্ষতা অর্জন করা যেতে পারে তাহলে ঘরে বসে online অনলাইনে আয় করা যাবে কন্টেন প্লানিং এর কাজ করে কারণ এখানে আপনাকে কোনভাবেই অফিসে যেতে হচ্ছে না।
তবে মূল বিষয় হচ্ছে এটা কোনো স্পেসিফিক কোনো কাজ নয়। এটা সময় ও প্রতিষ্ঠানের চাহিদার ওপর ভিত্তি করে পরিবর্তনশীল। তাহলে বলা যায়, যদি অনলাইন দুনিয়া সম্পর্কে আপনার over-all নলেজ ভালো থাকে তাহলে আপনি এই কাজ করার মাধ্যমে ও ঘরে বসে অনলাইনে আয় করতে পারবেন।
৫. ইমেইল মার্কেটিং
ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিভিন্ন মার্কেটিং পন্থার মধ্য থেকে ইমেইল মার্কেটিং খুব বেশি জনপ্রিয় কারন প্রতিটা প্রতিষ্ঠান ইমেইলের মাধ্যমে তাদের পরিচয় বহন করে এবং প্রফেশনাল ভাবে তৈরী প্রতিটা প্রতিষ্ঠানই তাদের সাবস্ক্রাইবারদের প্রতিটা আপডেট দেওয়ার জন্য ইমেইলের মাধ্যমে বার্তা পাঠিয়ে থাকে।
ইমেইল মার্কেটিং এমন একটি কৌশল যার মাধ্যমে আপনার পণ্য বা সেবার জন্য গ্রাহক আপনি ঘরে বসেই পেয়ে যাবেন আপনাকে কোথাও কে মার্কেটিং করতে হবে না। আপনার পণ্য বা সেবা টি গ্রহণ করার জন্যই কাস্টমার নিজে থেকে আপনার ওয়েবসাইট বা আপনার প্লাটফর্মে আসবে এবং গ্রহণ করবে।
এটা হয় এভাবে যে স্বাভাবিক ভাবে আমরা যদি একটি ইমেইল কাউকে পাঠাতে যাই তবে সেটা কেবল একজন অথবা কয়েকজনকে পাঠানো সম্ভব হয়। আর যদি আপনি ইমেইল মার্কেটিংয়ের কৌশল গুলো ব্যবহার করে আপনার প্রোডাক্টের বা সেবার গোছানো একটি ইমেইল তৈরি করে পাঠাতে চান তাহলে এক টাইম এর মধ্যেই সেটা হাজার হাজার মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারবেন। এতে করে আপনার প্রোডাক্ট এর বার্তাটি অল্পসময়ের মধ্যেই হাজার হাজার মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে।
বর্তমানে অন্যসব ইমেইল মার্কেটিংয়ের বেশকিছু কোর্স পাওয়া যাচ্ছে অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে। আপনি যেকোনো একটি থেকে শিখে উক্ত কাজটি করতে পারবেন আর বলাবাহুল্য যে এর চাহিদা বর্তমান সময়ে অন্যান্য মার্কেটিং উপায়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
টেক
এখানে টেক বলতে টেকনোলজি কে বোঝানো হয়েছে। টেকনোলজি উন্নয়নের কারণে যে সকল কর্মসংস্থান গুলো সৃষ্টি হয়েছে এবং ঘরে বসে online অনলাইনে আয় করার মতো অবস্থান তৈরি হয়েছে, সেই সকল বিষয়গুলো নিয়ে নিম্নে কয়েকটি ধারায় বিস্তারিত আলোচনা করব।
১. ওয়েব ডিভিলপমেন্ট
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট মূলত ওয়েব ডিজাইনার-এর করা চিত্র অনুসারে ক্লাইন্টের ওয়েবসাইট পূর্ণাঙ্গভাবে গঠন করা হয় কার্যকলাপ। বর্তমানে একটি জনপ্রিয় পেশা। যে ব্যক্তি সংক্রান্ত কাজ করে তাকে কি বলা হয়।
একটি পূর্ণাঙ্গ ওয়েবসাইট তৈরি থেকে শুরু করে সেটি ইন্টারনেটে লাইক করার পর্যন্ত যে সকল কাজ করা হয় সেগুলো কে একত্রে web development বলে। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর তিনটি ধাপ রয়েছে যার মধ্যে একটি হচ্ছে ফ্রন্ট এন্ড ওয়েব দেভেলোপমেন্ট দ্বিতীয়টি হচ্ছে বাস এন্ড ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং সর্বশেষ কাজ ওয়েব মাস্টারিং।
সম্পূর্ন ভাবে ওয়েব ডেভলপমেন্ট এর কাজ শিখতে তিন থেকে ছয় মাস পর্যন্ত সময় লেগে যায় যা কোর্স হিসেবে যাবে পাওয়া যায়। কোর্স করার মাধ্যমে উক্ত বিষয়ে এক্সপার্ট হওয়ার এবং পরবর্তী পর্যায়ে বিভিন্ন মার্কেট থেকে এই রিলেটেড কাজগুলো করে নিতে পারবেন এবং এর মাধ্যমে আয় ঘরে বসে করতে পারবেন।
২. অ্যাপ
অ্যাপ এর মাধ্যমে আয় করার পদ্ধতি মূলত দুই ধরনের হয়ে থাকে। প্রথমত ডেভেলপমেন্ট তৈরি করার মাধ্যমে আর দ্বিতীয় হল অ্যাপ ব্যবহার করার মাধ্যমে আয়।
তবে আয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ফ্লেক্সিবিলিটি পাওয়া যায় যদি অ্যাপ তৈরি করা অথবা অ্যাপ ডেভলপমেন্ট এর উপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়।
বর্তমানে সেই সকল প্রতিষ্ঠানের যেটা কিনা অনলাইন ব্যাংক তাদের নিজস্ব অ্যাপ লঞ্চ করা শুরু করছে প্রতিনিয়ত ও প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি অ্যাপস এর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে অ্যাপস তৈরি করার জন্য লোকবলের প্রয়োজন হচ্ছে যা কেবলমাত্র অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট স্কিলের সাথে যুক্ত লোকদের দ্বারাই সম্ভব।
বর্তমান ও ভবিষ্যৎ চাহিদার ওপর ভিত্তি করে ঘরে বসে আয় করার উপায় হিসেবে অ্যাপ হতে পারে সেরা পছন্দ গুলোর মধ্যে একটি। তাহি অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট সংক্রান্ত স্কিল উন্নয়ন করার মাধ্যমে উক্ত সেক্টরে আয় করার সুযোগ তৈরি করতে পারেন।
আরেকটি উপায় হচ্ছে অ্যাপ ব্যবহার করার মাধ্যমে আয় করা। তবে সে ক্ষেত্রে একটা সমস্যা রয়েছে যা হচ্ছে এটি কখনই কোনভাবে প্রফেশনাল ভাবে আয়ের উৎস হতে পারে না। তাই সর্বোত্তম উপায় হচ্ছে অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট শেখা এবং সেটির আলোকে কাজ করা।
৩. গেম ডিভিলপমেন্ট
মোবাইল বড় বড় বিশেষ করে আমাদের তরুণ সমাজ প্রতিনিয়ত গেম খেলার বিষয়ে আগ্রহী হয়ে উঠছে বিশেষ করে অনলাইন ভিত্তিক যেসকল গেম মোবাইলে বা কম্পিউটারের মাধ্যমে খেলা হয় সেগুলো। এইসব গেম তৈরি করেন কারা? কি তাদের উদ্দেশ্য কে তৈরি করার ক্ষেত্রে?
অবশ্যই সেখানে অর্থ সংক্রান্ত ব্যাপার রয়েছে। যারা গেম তৈরি করে এবং ইউজার যখন গেলে তখন তাদের আয় হয়। এখানে গেম তৈরি করে কিভাবে আয় করা হয় সেই বিষয়ে বলা হচ্ছে না, এখানে বলছি গেম ডেভেলপমেন্ট স্কিল এর কথা।
বর্তমান এবং পরবর্তী প্রজন্ম গেম এর ওপর ব্যাপকভাবে আকৃষ্ট হতে যাচ্ছেন। আর সেইসাথে প্রয়োজন করছে নতুন নতুন গেম তৈরি করা তাহলে গেম তৈরি করা বিষয়ক স্কিল ডেভলপমেন্ট এর মাধ্যমে আয় কেন করা যাবে না?
তুমি কতক্ষণ অপেক্ষা করুন ভবিষ্যতে ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার ইচ্ছা গেম ডেভেলপমেন্ট সংক্রান্ত কোর্স উক্ত কাজে যোগ দিতে পারেন। একটি ছাগল অনলাইন ভিত্তিক কাজ এবং বর্তমানে অনলাইন ভিত্তিক বিভিন্ন প্লাটফ্রম তৈরি হয়েছে যেখানে গেম ডেভালোপারদের কাজে যুক্ত করা হয়।
৪. ডাটা এনালাইসিস
ডাটা এনালাইসিস বা ডাটা এন্ট্রির কাজ হচ্ছে অনলাইনে আয় করার জন্য সবচেয়ে সহজ এবং সহজে শুরু করা যায় এমন কাজ। খুব বেশি স্কিল ডেভলপমেন্ট এর প্রয়োজন হয় না। ওয়েব সংক্রান্ত বেশ কিছু বেসিক ধারণা থাকলে এই কাজ করে করা যায়।
এখন প্রশ্ন উঠতে পারে কোন কোন কাজ আসলে ডাটা এন্ট্রি ডাটা এনালাইসিস এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। সে কাজ গুলো হচ্ছে :
- ক্যাপচা এন্ট্রি
- শুনে শুনে লেখা
- ইমেজ প্রসেসিং করা
- বিভিন্ন ধরনের মাইক্রো জব
- গ্রেট সিস্টেম ডাটা এন্ট্রি
- ডাটা ফরমেটিং
- কপি পেস্ট জব
- ইমেজ টু টেক্সট ডাটা এন্ট্রি
- ফরমেটিং ও এডিটিং
- রি ফরমেটিং ও কারেকশন
সহ আরো বেশ কিছু কাজ রয়েছে ডাটা এনালাইসিস এর অন্তর্ভুক্ত। এর মধ্যে যেকোনো একটি অথবা একাধিক কাজের ধারণা নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোর সাহায্যে এই কাজ গুলো করার মাধ্যমে ঘরে বসে online অনলাইনে আয় করতে পারবেন।
তবে এই কাজটিকে প্রফেশনালি করার জন্য প্রথমে যদি কোন প্লাটফর্ম থেকে ডাটা এন্ট্রি বা ডাটা এনালাইসিস সংক্রান্ত ছোটখাটো কোর্স করা যায় তাহলে খুব বেশি ভালো হবে এই কাজগুলো বুঝতে ও করতে।
পরিশেষে, অর্থ উপার্জন কখনই সহজ নয়, হোক সেটা অফলাইন কিংবা অনলাইন, প্রোপার পরিশ্রম, মেধা ও স্কিলের প্রয়োজনীতা রয়েছে সব স্থানেই। তবে অপচুনিটির দিক তেকে বর্তমানে অনলাইনে বেশি যা ঘরে বসে অনলাইনে আয় সংক্রান্ত এই আর্টিকেলে তুলে ধরলাম।