
discussion of how much money can from YouTube
youtube ইউটিউব থেকে কত আয় করা যায় তার সোজাসাপ্টা আলোচনাহ্যালো বন্ধুরা, youtube ইউটিউব থেকে আয় করা যায় শুনে নিশ্চয়ই একটু ঘাবড়ে গেছেন। কিন্তু এটাই সত্যি যে, youtube ইউটিউব থেকে অনেক অর্থ আপনি আয় করতে পারেন। আজ আমি আপনাদের সমস্ত কিছু ক্লিয়ার করে বিস্তারিত ভাবে বোঝাবো
প্রথমে আমি একটি উদাহরণ দেই। আমরা সবাই কিন্তু টেলিভিশন দেখি। কিন্তু জানেন কি যে, টেলিভিশন কর্তৃপ
ক্ষের আয় হয় কিভাবে? তারা তো শুধু আমাদের অনুষ্ঠানই দেখিয়ে যায়। তাহলে ইনকাম করে কিভাবে?
টেলিভিশনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাঝে মাঝে বিভিন্ন কম্পানির অনেক প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ ঐ সকল কম্পানির কাছ থেকে টাকা নিয়ে থাকে তাদের বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য। টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ যত বেশি বিজ্ঞাপন প্রচার করবে ততই ইনকাম আসবে তাদের।
ফ্রিল্যান্সিং কি? freelancing ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গাইডলাইন!
youtube ইউটিউবিং কি: সবথেকে জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং সাইট সম্পর্কে কিছু কথা
ঠিক একই রকম ভাবে ইউটিউবে ইনকাম হয়। আপনি খেয়াল করে দেখবেন যে, আপনি যখন ইউটিউবে কোন ভিডিও দেখেন তখন ইউটিউবের নিচে একটা ছোট বিজ্ঞাপন বা অ্যাডের একটা ছবি আসে। আবার আপনার ভিডিও এর বাইরে ডান পাশেও মাঝে মাঝে একটা ছবি আকারে বিজ্ঞাপন বা অ্যাড আসে। আবার মাঝে মাঝে দেখবেন ভিডিও দেখার সময় ভিডিও এর মাঝ খানে অথবা ভিডিওটি শুরুর সাথে সাথে মাত্র কয়েক সেকেন্টের একটা বিজ্ঞাপন দেখায়। আপনি যখন যে চ্যানেলের ভিডিও দেখেন, আর ওই ভিডিওতে যখন আপনি এই অ্যাডগুলো দেখতে পান তখন ঐ চ্যানেলের বা ভিডিও এর মালিক টাকা পায়। এভাবে ভিডিও যত মানুষ দেখবে ততই মানুষ ঐ বিজ্ঞাপন গুলো দেখবে আর ততই টাকা ইনকাম হবে।
ঠিক এভাবেই youtube ইউটিউব থেকে টাকা আয় করা হয়। এবার ভাবছেন যে ঠিক কত টাকা পাবেন আপনি ইউটিউব থেকে, তাই তো? এবার আমি সেই বিষয়ে বিস্তারিত বলবো।
আসলে টাকা ইনকামটা ঠিক আপনার ভিডিওর ভিউ এবং বিজ্ঞাপনের উপর ডিপেন্ড করে। আপনার যতবেশি ভিউ হবে ততই ইনকাম হবে। তবে বিজ্ঞাপন হিসাবে টাকা আসে। যেমন আমাদের দেশের বিজ্ঞাপন দাতারা ইউটিউবে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য খুব কম টাকা গ্রাহকদের দেয়। কিন্তু অন্যান্য দেশের বিজ্ঞাপন দাতারা আমাদের দেশের বিজ্ঞাপন দাতাদের থেকে অনেক গুণ বেশি টাকা দেয়। এটা বোঝা যায় সি পি সি থেকে। আপনি আপনার অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে বুঝতে পারবেন যে কোন অ্যাডের সি পি সি কেমন।
সচারচর আমাদের দেশের বিজ্ঞাপন দাতারা কয়েক সেন্ট করে পেমেন্ট করে এক একটা বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য। তবে বাইরের দেশের কিছু বিজ্ঞাপন দাতা আছে যারা কয়েক ডলার পর্যন্ত পেমেন্ট করে এক একটা বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য। আমাদের বাংলাদেশের বেশির ভাগ চ্যানেলের ভিডিওতে বাংলাদেশি বিজ্ঞাপনই বেশি প্রচারিত হয়। কারণ আমাদের ভিডিও গুলো বেশির ভাগ বাঙালিদের জন্যই তৈরি করা হয়ে থাকে। তবে আপনার চ্যানেলের ভিডিও যদি ইন্টারন্যাশনালি হয়ে থাকে। মানে আপনার ভিডিও যদি হয় ইংলিশে অথবা ইংলিশ সাবটাইটেলে তাহলে বাইরের দেশের লোক সেই ভিডিও গুলো যখন দেখবে, তখন বাইরের বিজ্ঞাপন গুলো আপনার ভিডিওতে প্রচার করা হবে। তখন আপনার ইনকাম বেশি হবে।
তবে বাংলাদেশে একটা চ্যানেল খুলে আপনি মিনিমাম মাসে ৫০০০ টাকার বেশি ইনকাম করতে পারবেন। আমাদের দেশে অনেক youtube ইউটিউব চ্যানেল আছে যেগুলা শুধু বাঙালি কন্টেন্ট দিয়ে তৈরি করা। তারা মাসে প্রায় ৮ লক্ষ টাকারও বেশি ইনকাম করছে। সব কিছু ডিপেন্ড করবে আপনার ভিডিওর ভিউ এর উপর। যত ভিউ ততই ইনকাম।
এবার মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে, ইনকামের টাকা গুলা কোথায় আসবে আর পাবেন বা কিভাবে? আপনাকে এর জন্য কিছু কাজ করতে হবে।
আপনার চ্যানেল খোলার পর আপনাকে গুগলের অ্যডসেন্সে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। সেখানে আপনার youtube ইউটিউব চ্যানেলটি মনিটাইজ করে দিলেই অ্যাডসেন্স আপনার ভিডিও এর উপর অ্যাড শো করাবে। আর টাকা গুলো অ্যাড হবে অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্টেই। মূলত এখানে ডলার হিসাবে অ্যাড হয়। আপনি অ্যাডসেন্সে আপনার একটি অনলাইন ব্যাংক ম্যাথডের মাধ্যমে টাকা গুলো উইড্রো করতে পারবেন। টাকা গুলো সরাসরিই আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টেই আসবে।
আসা করি ক্লিয়ারলি সব ভাল করে বোঝাতে পেরেছি।
ইউটিউবিং কি: সবথেকে জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং সাইট সম্পর্কে কিছু কথা
ইউটিউবের নাম আমরা সকলেই শুনেছি। এই যুগে youtube ইউটিউব দেখে না এমন লোক খুব কমই আছে। আজ এই বিষয়ে কথা বলব।
ইউটিউবিং কি?
youtube ইউটিউব মূলত ভিডিও দেখার একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। আর ভিডিও তৈরি করে আয় করার মাধ্যমকে ইউটিউবিং বলে। ইদানিং আমাদের তরুন সমাজ এই দিকে বেশি ধাবিত হচ্ছে। কারণ ইউটিউব এমন একটা মাধ্যম যেখানে আপনার ভিডিও সারা দুনিয়ার মানুষ দেখতে পারবে। আর রাতারাতি অর্থ আয়ের পাশাপাশি সেলিব্রেটি হয়ে যাবে খুবই শীঘ্রই। ইউটিউবে প্রায় সব ধরনের ভিডিও পাওয়া যায়। শুধু মাত্র পর্ণোগ্রাফী বাদে। এখানে কমেডি ভিডিও, টিউটোরিয়াল ভিডিও, প্রাঙ্ক ভিডিও, মডেলিং, সিনেমা, গেমিং, স্পোর্টস, বিভিন্ন পণ্যের রিভিউ, নিউজ সহ প্রভৃতি ভিডিও আছে।
আপনি ভাবতে পারেন যে, কেমন ধরনের ভিডিও দিয়ে আপনি ইউটিউবিং শুরু করবেন। কিন্তু মজার ব্যাপার হল, আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলে এডাল্ট ভিডিও ছাড়া যে কোন ধরনের ভিডিও আপলোড করতে পারবেন। আমাদের তরুন সমাজ কেউ গান গেয়ে তার চ্যানেলে ছাড়ছে, কেউ বা কমেডি অভিনয় করে চ্যানেলে আপলোড দিচ্ছে আবার কেউ বা বিভিন্ন ট্রিক্স নিয়ে কাজ করে ছাড়ছে।
আসুন কি কি নিয়ে আপনি youtube ইউটিউবিং করতে পারেন তার কিছু ধারনা দেই।
১। কমেডি ভিডিও
আপনি যদি কমেডি করে মানুষ হাসাতে পারেন, তাহলে কমেডিও ভিডিওই হবে আপনার ইউটিউবিং এর জন্য বেস্ট উপায়। কারণ কমেডি ভিডিও যে কোন বয়সের মানুষ ভালবাসে। আপনি আপনার বন্ধুদের নিয়ে বিভিন্ন কমেডিও ভিডিও বানাতে পারেন। আমাদের দেশে সবচেয়ে কমেডি নির্ভর চ্যানেল বেশি চলে। ইউটিউবে এমন অনেক চ্যানেল আছে যারা একা একাই কমেডি ভিডিও তৈরি করে মানুষদের বিনোদন দিয়ে প্রচুর টাকা ইনিকাম করছে। তাই আপনি চাইলে কমেডি ভিডিও দিয়ে youtube ইউটিউবিং শুরু করতে পারেন।
ওয়েবসাইট টু মোবাইল এপ (android/ios) শিখে ফ্রীলান্সিং করুন
২। টিউটোরিয়াল ভিডিও
ধরুন আপনি কম্পিউটার বিষয়ে খুব ভাল জানেন। এখন আপনি স্ক্রিন রেকর্ডার দিয়ে কম্পিউটারের অনেক সমস্যা ও তার সল্যুশন বানিয়েও আপনি আপনার চ্যানেলে আপলোড দিতে পারেন। আমাদের দেশে টিউটোলিয়াল ভিত্তিক চ্যানেল গুলোরও অনেক বেশি ডিমান্ড। শুধু কম্পিউটার নয়, আপনি যে কোন ধরনের টিউটোরিয়াল বানাতে পারেন। আপনি যদি মোবাইল ফোন সম্পর্কে ভাল জানেন, তাহলে মোবাইল ফোনের অনেক ধরনের নতুন ফেচারের রিভিউ নিয়ে হাজির হতে পারেন বা সমস্যা সলভের ভিডিও নিয়ে কাজ করতে পারেন। তাছাড়া যে কোন ধরনের টিউটোলিয়াল নিয়ে ইউটিউবিং করতে পারেন।
৩। গানের ভিডিও
ভাল গান করতে পারনে এমন অনেক মানুষই আছে। আপনি যদি ভাল গান করতে পারেন তাহলে আপনি সেটা নিয়েও ইউটিউবিং শুরু করে দিতে পারেন। শুধু আপনার গান গুলো ভিডিও করে নিজের চ্যানেলে আপলোড দিতে হবে। আপনি নিজে ভাল গান গাইতে না পারলে সমস্যা নেই। আপনার এলাকায় এমন অনেকেই আছে যারা ভাল গান গাইতে পারে। আপনি তাদের গান ভিডিও করে ছাড়তে পারেন।
৪। মডেলিং
মডেল কে না হতে চায়। আপনি যদি ভাল অভিনয় করতে পারেন তাহলে তো কথাই নেই। এখন মডেলিং ভিডিও গানের ব্যপক জনপ্রিয়তা। আপনি কোন একটা গানের মডেলিং করে ইউটিউবিং করতে পারেন। একে মিউজিক্যাল ফ্লিম বলে। অর্থাৎ আপনি যদি কোন গানের সাথে মডেলিং বা অভিনয় করে সেটা গানের ভাষার সাথে ফুটিয়ে তুলে আপলোড করতে পারেন তাহলে আপনি নিজের অভিনয়ের জন্য ও চ্যানেলের জন্য অনেক জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারবেন। আপনি আপনার বন্ধু বান্ধবদের দিয়েও এই কাজ করাতে পারেন।
৫। পণ্যের রিভিউ
বাজারে প্রতিদিনই নতুন নতুন পণ্য আসছে। আপনি চাইলে সেই সকল পণ্যের ভাল দিক ও খারাপ দিক নিয়ে ভিডিও তৈরি করতে পারেন। এখন কেউ কোন পণ্য ক্রয় করার আগে youtube ইউটিউবে সেই পণ্যের রিভিউ দেখে নেয়। তারপর সেটা ক্রয় করার সিদ্ধান্ত নেয়। যেমন বাজারে নতুন একটা মডেলের মোবাইল ফোন আসল। আপনি সেটার ভাল দিক ও মন্দ দিক নিয়ে আলোচনা করতে পারেন আপনার ভিডিওতে। তাই আপনি চাইলে বিভিন্ন পণ্যের রিভিউ নিয়ে ইউটিউবিং করতে পারেন।
Mini Magnetic GPS Tracker
এছাড়া আপনি আপনার পছন্দমত যে কোন ধরনের ভিডিও মেক করতে পারেন। তবে সাবধান থাকতে হবে যেন চ্যানেলে কোন এডাল্ট ভিডিও না থাকে। কারণ youtube ইউটিউব কোন এডাল্ট ভিডিও এপ্রুভ করে না। মনে রাখবেন, আপনার সাধের চ্যানেল এক নিমিষে বিনা নোটিসে চিরতরে বন্ধ করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে youtube ইউটিউব কর্তৃপক্ষ।