বাংলাদেশ থেকে affiliate অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কাজের সম্ভাবনা
বাংলাদেশ থেকে affiliate অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কাজের সম্ভাবনা দ্বারা প্রভাবিত হয় কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপায়ের মধ্যে:
১. বিশ্বব্যাপী বা ব্যাংকের মাধ্যমে প্রবেশ: affiliate অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং একটি অনলাইন কাজ যা ব্যাংকের মাধ্যমে প্রবেশ দ্বারা নিয়মিত অর্থ লাভ করতে সম্ভব। বাংলাদেশের একটি প্রসিদ্ধ বা বিশ্বব্যাপী একটি affiliate অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্কে সদস্য হওয়ার মাধ্যমে ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে পণ্য বা পরিষেবার বিজ্ঞাপন করে আয় করা সম্ভব।
আরো পড়ুন
- কি ভাবে অনলাইন থেকে ইনকাম করা যায় ?
- স্ক্রিল Skrill– অর্থ লেনদেনের সহজ ও নিরাপদ পদ্ধতি
- ফরেক্সে forex কিভাবে আয় করা যায়?
- কিভাবে বাংলাদেশে থেকে PayPal পেপ্যালে অ্যাকাউন্ট খুলব ?
- আপওয়ার্ক Upwork সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই ?
২. সম্পূর্ণ সময়ের কাজ বা পার্ট-টাইম কাজ: affiliate অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ব্যক্তিগত সময়ের জন্য অনুমোদিত অথবা পার্ট-টাইম কাজ হিসেবে কাজ করতে সম্ভব, যা বেশ কিছু ব্যক্তির জন্য খুব উপযোগী হতে পারে। ব্যক্তিগত সময়ের প্রবেশ করার জন্য affiliate অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারদের অনেকে ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে যেখানে তাদের কাজ করার জন্য মাসিক প্রস্তুতি করার প্রয়োজন হয় না।
৩. বিতর্ক ও প্রতিস্পর্ধা: affiliate অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ আপনি প্রতিস্পর্ধামূলক বাজারে কাজ করতে পারেন, যাতে আপনি উন্নত উত্পাদ বা পরিষেবা প্রচার করার জন্য প্রতিযোগিতামূলক মূল্য বা সুবিধা অবলম্বন করতে পারেন। এতে আপনি আপনার স্কিল ও দক্ষতা উন্নত করতে পারেন এবং বিতর্কগুলির মাধ্যমে স্বল্প সময়ে আয় করতে পারেন।
আপওয়ার্ক Upwork অ্যাকাউন্ট সাসপেনশান। কারন ও প্রতিকার
৪. ব্যক্তিগত উন্নতি: অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কাজের মাধ্যমে আপনি ব্যক্তিগত উন্নতি করতে পারেন এবং আপনার নেটওয়ার্ক এবং কাস্টমারের সাথে প্রস্তুতি তৈরি করতে পারেন। এটি আপনার ব্যক্তিগ
আমরা যদি বিশ্বব্যাপি বহুল পরিচিত এম্যাজান স্টোর ইবে স্টোর ব্রাউজ করি তাহলে দেখব যে এখানে বিভিন্ন ধরনের পণ্য কেনা যায়। এখন এই এম্যাজান বা ইবের পণ্য যদি আপনি নিজের জন্য না কিনে কোন মাধ্যমে সেল করে দিতে পারেন তাহলে সেটাই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
সহজ affiliate এফিলিয়েট হচ্ছে তেমনি একটা প্লাটফর্ম যা Sohojbuy.com এর প্রডাক্ট নিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করার সুযোগ করে দিয়েছে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বা অ্যাফিলিয়েশন হচ্ছে এমন একটি মার্কেটিং সিস্টেম যার মাধ্যমে আপনি আনলাইনে ঘরে বসে আয় করতে পারেন। প্রথমেই আসুন আমরা জানতে চেষ্টা করি অ্যাফিলিয়েশন বিষয়টি কি: অ্যাফিলিয়েশন হচ্ছে একটি মার্কেটিং সিষ্টেম যা বিশ্বের বিভিন্ন কোম্পানি ব্যাবহার করে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি?
অর্থাৎ এম্যাজান বা ইবের পণ্য আপনি যদি কোন মাধ্যমে সেল করিয়ে দিতে পারেন তাহলে তারা আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমানে কমিশন দিবে, যেমন এম্যাজান স্টোরের ১০০০ ডলারের পণ্য আপনি সেল করিয়ে দিলে আপনাকে কমপক্ষে ৪০ ডলার কমিশন দিবে। এভাবে বিশ্বের প্রায় সব কোম্পানিই তাদের পণ্যের বিক্রির উপর কমিশন দেয়, আর সেটাই হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। এম্যাজান অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ জয়েন করার লিংক পাওয়া যাবে এখানে
অমরা অনেকেই হয়ত নিজেদের ওয়েবসাইটের জন্য ডোমেইন হোস্টিং ক্রয় করি, বিশ্বব্যাপি বহুল পরিচিত একটি হোস্টিং কোম্পানি হচ্ছে হোস্টগেটর hostgator.com এখন যদি আপনি হোস্টগেটর এর হোস্টিং আপনি কোন মাধ্যমে সেল করাতে পারেন তাহলে প্রতিটি সেলে হোস্টগেটর আপনাকে কমিশন দিবে আর এই ধরনের মার্কেটিং করাই হচ্ছে affiliate অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
আমরা যদি বাংলাদেশের একটি ওয়েবসাইট টেমপ্লেইট তৈরি করে এমন একটি কোম্পানি জুমশেপার joomshaper.com এর ওয়েবসাইট ভিজিট করি তাহলে দেখব যে এখান থেকে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের জন্য থিম/টেমপ্লেইট, প্লাগিন্স কেনা যায়। এখন এই থিম/টেমপ্লেইট, প্লাগিন্স যদি আপনার মাধ্যমে সেল হয় তাহলে জুমশেপার আপনাকে কমিশন দিবে আর এই কমিশন পাওয়ার জন্য মার্কেটিং করাই হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
এভাবে বিশ্বের পায় প্রতিটি কোম্পানিরই affiliateঅ্যাফিলিয়েট পণ্য রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি আয় করতে পারেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হলে কি কি প্রয়োজন?
affiliate অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং মূলত অনলাইন মার্কেটিং তাই আপনাকে কম্পিউটার, ইন্টারনেট এবং ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে। ইন্টারনেট মার্কেটিং সম্পর্কে (সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশন, ইমেইল মার্কেটিং, স্যোসাল মিডিয়া মার্কেটিং) ভাল ধারণা নিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরূ করলে ভাল হবে|
ভাল ইংরেজি জানলে আর ঠিকমত অধ্যবসায় করলে ৫ থেকে ৭ মাসের ভিতরেই আপনি দক্ষ affiliate অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হতে পারবেন। affiliate অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শেখার জন্য যেসব বিষয় আপনাকে শিখেতে হবে তা হল:
- সাবলীল ইংরেজি লেখার ক্ষমতা।
- ব্লগ তৈরি ও তা রক্ষনাবেক্ষণ জানা।
- ব্লগ প্রমোশনের বা মার্কেটিংয়ের জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) শিখতে হবে।
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং জানতে হবে।
- ইমেইল মার্কেটিংয়ের দক্ষতা থাকতে হবে।
affiliate অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করবেন?
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অনেকভাবে করা যায় যেমন – কোন একটি রিভিউ সাইট তৈরি করে তারপর সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশন এর মাধ্যমে ভিজিটর জেনারেট করে অথবা স্যোসাল মিডিআ মার্কেটিং বা ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে।
প্রোডাক্ট রিভিউ সাইট affiliate অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর অন্যতম একটি মাধ্যম। একটা জরিপে দেখা যায়ঃ
- ৮৩% ভোক্তা বলেছেন প্রোডাক্ট রিভিউ তাদের পার্সেচ ডিশিসনকে প্রভাবিত করে
- ৭০% ক্রেতা কেনার আগে অনলাইনে প্রোডাক্ট রিভিউ খুজে
- প্রায় অর্ধেকেরও বেশিভাগ ক্রেতা প্রোডাক্ট রিচার্সের অংশ হিসাবে সার্ভে এবং ভোক্তাদের রিভিউ পড়ে থাকেন
- প্রায় ১০ জনের মধ্যে ৯ জন মার্কিনি কেনার আগে কোনও না কোনো সময় প্রোডাক্ট রিভিউ পড়ে থাকেন।
সাধারণত দেখা যায় যে একজন ক্রেতা একটি পন্য কেনার পূর্বে তা সম্পর্কে অনলাইনে পণ্যটি সম্পর্কে জানতে চান। যেমন একজন ব্যাক্তি একটি Folding Bike কিনতে চান, সাধারণত বাইকটি কেনার পূর্বে সে এটি সম্পর্কে জানার চেষ্ঠা করে্ন। তখন তিনি হয়ত গুগল বা ইয়াহু সার্চ ইন্জিনে সার্চ দেয় “Best Folding bike”, “Folding bike review”, “Folding bike price”, “Folding bike price in usa” এসব কিওয়ার্ড লিখে।
নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড এর জন্য আপনার প্রোডাক্ট রিভিউ সাইটটি যদি আপনি বিভিন্ন সার্চ ইন্জিনের প্রথমে নিয়ে আসতে পারেন তাহলে আপনি প্রোডাক্ট affiliate অ্যাফিলিয়েট এর মাধ্যমে ভাল পরিমান টাকা আয় করে পারবেন। কয়েকটি অ্যাফিলিয়েটমার্কেটিং সাইট:
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর অনেক বড় বড় সাইট বা নেটওয়ার্ক রয়েছে যাদের কাছ থেকে সাইনআপ করে আপনি বিভিন্ন অ্যাফিলিয়েট প্রোডাক্ট সেল করতে পারেন। বিশ্বের বড় কয়েকটি অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্ক হচ্ছে
GT20 Smartwatch Silicon Belt Combo Offer ( ১টি কিনলে ১টি ফ্রী)
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কোথায় শিখবেন:
affiliate অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শিখতে ইন্টারনেট মার্কেটিং এর অনেক কিছু জানতে হবে এবং প্রচুর পড়াশোনা করা দরকার। ইন্টারনেটে সার্চ করে বিভিন্ন রাইটারের লেখা পড়ে, তাদের পিডিএফ বই পড়ে বা ভিডিও দেখেও আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শিখতে পারেন। তবে ইন্টারনেট থেকে শিখতে প্রচুর সময় নষ্ট হতে পারে সরাসরি গাইডলাইনের অভাবে।
কারন আপনি ভাল রিসোর্স কোথায় আছে জানেন না এবং ইন্টারনেটে সার্চ করে সবকিছু পাওয়া অনেক দূরুহ ব্যাপার। হাতে কলমে শেখার জন্য affiliate অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রফেশনালি কেউ করছে তার কাছ থেকে বা ভালমানের কোন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটেরও দারস্থ হতে পারেন, যাঁরা দ্রুত আপনাকে একজন সফল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হতে সাহায্য করবে।
বাংলাদেশ থেকে affiliate অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
অনলাইনে টাকা আয়ের সবচেয়ে বড় যে উপায়, সেটিই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। ২০১১ সালের হিসাব অনুযায়ী, শুধু অ্যাফিলিয়েট মাকের্টিংয়ের মাধ্যমে মার্কেটাররা আয় করছেন ৪০ হাজার কোটি টাকা। বিশাল এই বাজারের ১ শতাংশও যদি আমরা ধরতে পারি তাহলে প্রতি বছর দেশে আসবে ৪০০ কোটি টাকা। এই জায়গাটিতে পৌঁছনো খুব একটি কঠিন বলে মনে করেরনা বাংলাদেশের ব্লগার ও affiliate এফিলিয়েট মার্কেটার নাসির উদ্দিন শামীম।
কাজ করার পর আপনার পাওনা টাকা Money কিভাবে একাউন্টে আনবেন ?
আবার ব্লগ লিখে affiliate অ্যাফিলিয়েট মাকের্টিংয়ের ওয়েবসাইটে গুগল অ্যাডসেন্সসহ বিভিন্ন অ্যাড নেটওয়ার্কের মাধ্যমেও নিজের সাইট থেকে আয় করা যায়। এখান থেকেই আমাদের তরুণদের কোটি টাকা আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশে এখন অনেক অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার, গুগল অ্যাডসেন্স পাবলিশার রয়েছেন যারা ব্লগ লিখে আয় করছেন ৩ থেকে ৫ হাজার ডলার পর্যন্ত। বাংলাদেশি তরুণরাই যে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় করছেন তা আমি নিজেও জানতাম না এতদিন।
সম্প্রতি ব্যাংকে আমার চেক জমা দিতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক অফিসারের মুখেই শুনেছি একজন তরুণের গল্প, যে কিনা প্রতিমাসেই ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার ডলারের গুগল অ্যাডসেন্স চেক জমা দেয়।
দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে অন্যরাও এখন বিশাল এই বাজারে প্রবেশ করতে পারেন। আমাদের মধ্যে এখন সচেতনতা দরকার এবং সেইসঙ্গে উদ্যোগ।