ফ্রিল্যান্সিং freelancing করার জন্য জনপ্রিয় একটি মার্কেটপ্লেস হচ্ছে আপওয়ার্ক। ২০০৩ সালে চালু হওয়া এই মার্কেটপ্লেসটি পূর্বে ওডেস্ক নামে পরিচিত ছিল, ২০১৫ সালে অন্য আরেকটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস ইল্যান্সের সাথে একত্রিত হয়ে এটি আপওয়ার্ক নামে পরিচালিত হয়।
আপওয়ার্কে freelancing ফ্রিল্যান্সিং করবেন কিভাবে? – ১ম পর্ব
ফেসবুক Marketplace মার্কেটপ্লেসে কিভাবে লিস্টিং করলে বেশি রেসপন্স পাওয়া যায় ??
আপওয়ার্ক বা অন্য যেকোন
আপওয়ার্ক বা অন্য যেকোন ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে যদি আপ নি freelancing ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে চান তবে আপনাকে যেকোন একটি কাজে (যেমন – ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, আর্টিকেল রাইটিং, এসইও , এফিলিয়েট মার্কেটিং, এন্ড্রয়েড এপস ডেভলাপমেন্ট, সফ্টওয়্যার ডেভলাপমেন্ট ইত্যাদি) দক্ষ হতে হবে। সাধারণত সবগুলো ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসেই নিচের ক্যাটাগরির কাজগুলো পাওয়া যায়।
আপওয়ার্কে ফ্রিল্যান্সিং করবেন কিভাবে
freelancing ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে যদি আপ নি freelancing ফ্রিল্যান্সিং freelancingকাজ করতে চান তবে আপনাকে যেকোন একটি কাজে (যেমন – ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, আর্টিকেল রাইটিং, এসইও , এফিলিয়েট মার্কেটিং, এন্ড্রয়েড এপস ডেভলাপমেন্ট, সফ্টওয়্যার ডেভলাপমেন্ট ইত্যাদি) দক্ষ হতে হবে। সাধারণত সবগুলো ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসেই নিচের ক্যাটাগরির কাজগুলো পাওয়া যায়।
এসব বিষয়ের যেকোন একটিতে দক্ষ হলে আপনি freelancing ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন আর এসব বিষয়ে দক্ষতা না থাকলে প্রথমে যেকোন একটি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। দক্ষতা অর্জনের পরfreelancing ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন।
ধরে নিচ্ছি আপনি উপরে উল্লেখিত কোন একটি বিষয় খুব ভালভাবে জানেন অর্থাৎ কোন একটি বিষয়ে আপনার খুব ভাল অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাহলে আমরা দেখব আমরা অপওয়ার্কে কিভাবে freelancing ফ্রিল্যান্সিং করতে পারি। আপওয়ার্কে freelancing ফ্রিল্যান্সিং freelancing করার কয়েকটি ধাপ রয়েছে, যেমন –
১) কোন একটি কাজে দক্ষ হওয়া।
২) আপওয়ার্কে একাউন্ট/প্রোফাইল তৈরি করা।
৩) ন্যাশনাল আইডি এবং প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে প্রোফাইল ১০০% কমপ্লিট করা।
৪) আপনার স্কিলসেট/দক্ষতার কিছু পরীক্ষা দেয়া এবং কয়েকটি পোর্টফোলিয় রাখা।
৫) জব ভালভাবে বুঝে বিড/এপ্লিকেশন করা।
৬) প্রজেক্ট পাওয়ার পর ভালভাবে সম্পন্ন করা এবং সটিক সময়ে প্রজেক্ট ক্লায়েন্ট এর কাছে সাবমিট করা।
৭) প্রজেক্ট সাবমিটের পর রেটিং/ফিডব্যাক নেয়া।
৮) পেমেন্ট উত্তোলন।
#১ প্রথমে কোন একটি কাজে দক্ষতা অর্জন করা:
প্রথমেই আপনার ভাললাগে এমন কোন একটি কাজ শিখতে হবে। আপনি ইন্টারনেট থেকে গুগলে সার্চ করলে আপনার পছন্দের বিষয়ের টিউটরিয়াল পাবেন, সেখান থেকে শিখতে পারেন আথবা কোন একজনf reelancing ফ্রিল্যান্সারের কাছ থেকে শিখতে পারেন বা ভালো কোন প্রতিষ্ঠান থেকে পছন্দের বিষয়টি শিখে নিতে পারেন। মোটকথা হচ্ছে যেভাবেই হোক আপনাকে কোন একটি কাজে দক্ষ হতে হবে। সাধারণত দক্ষতা অর্জন করতে ৬ মাস থেকে ২ বছর পর্যন্ত লাগতে পারে এটি নির্ভর করবে যে আপনি কোন বিষয়ে দক্ষ হবেন।
প্রথমেই আপনার সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে আপনি কোন বিষয়ে দক্ষ হবেন। বিষয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে আপনাকে একটু রিসার্চ করতে হবে। আপনাকে দেখতে হবে যে freelancing ফ্রিল্যান্স মার্কেটে কোন বিষয়টি ডিমান্ডেবল। কোন বিষয়ে বেশী কাজ পাওয়া যায়, কোন বিষয়ের ভবিষৎ কেমন। এই রিসার্চগুলো আপনি গুগলে করে নিতে পারেন বা অভিজ্ঞ কোন freelancing ফ্রিল্যান্সারের সাথে পরামর্শ নিতে পারেন। মার্কেটপ্লেসগুলো ঘ্টলে দেখা যায় যে ওয়েব ডিজাইন,ওয়েব প্রোগ্রামিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, আর্টিকেল রাইটিং, এসইও , এফিলিয়েট মার্কেটিং, এন্ড্রয়েড এপস ডেভলাপমেন্ট, সফ্টওয়্যার ডেভলাপমেন্ট ইত্যাদির কাজ বেশি পাওয়া যায়। এসব বিষয়ের কোন একটি বা অন্য কোন বিষয় নির্বাচন করলে তার সাথে দেখবেন বিষয়টি আপনার পছন্দের কিনা।
পছন্দের বিষয় না হলে এখানে আপনি ভাল করতে পারেন না। সুতরাং আপনি বিষয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে কমপক্ষে তিনটি বিষয়ে [ মার্কেট ডিমান্ড + ভবিষৎ + নিজের পছন্দ/ভাললাগা ] গুরুত্ব দিতে পারেন। এক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতাও বিবেচনায় আসতে পারে।
বিষয় নির্বাচন করা এবং কাজে দক্ষ হওয়ার পর আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। বাংলাদেশে সংবাদপত্র, ডিজিটাল মিডিয়া, সরকারের আইটি বিভাগ, বিডিওএসএন, বেসিস এর প্রচারণা এবং বিভিন্ন কর্মকান্ডের ফলে freelancingফ্রিল্যান্সিং বর্তমানে অনেক পরিচিত, বেশিরভাগ মিডিয়াগুলো শুধুমাত্র ফ্রিল্যান্সারদের বিশাল সফলতা এবং আয়ের কথাই তুলে ধরে থাকে।
ফলে জনসাধারনের মনে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে একটি পজেটিভ ধারণা তৈরি হয়েছে আবার অনেকেই বিশাল আয়ের কথা চিন্তা করেই কিছু না বুঝেই বলে যে আমি freelancing ফ্রিল্যান্সিং শিখব, আসলে freelancing ফ্রিল্যান্সিং শেখার কিছুই নেই, ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে একটি প্রসেস, আপনি freelancing ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কাজ শিখতে পারেন এবং কাজ শেখার পর আপনি মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে জেনে সেখানে freelancing ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন।
#২ আপওয়ার্কে একাউন্ট/প্রোফাইল তৈরি করা:
আপওয়ার্ক হচ্ছে freelancing ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি মার্কেটপ্লেস। এখানে একাউন্ট খোলা খুবই সহজ। আপনি ফেসবুক, টুইটার, জিমেইল এ যেভাবে একাউন্ট অপেন করেন এখানেও মোটামোটি এরকমই। একাউন্ট তৈরির জন্য বাউজ করুন www.upwork.com তারপর নিচের চিত্র:১ এর মত হোমপেজটি আসবে, এখান থেকে SIGN UP বাটনে ক্লিক করুন। তারপর আরেকটি পেজ অপেন হবে চিত্র:২ এর মত, সেখান থেকে I’m looking for online work সেকশনের work বাটনে ক্লিক করুন। এটি হচ্ছে যারা ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করতে চায় তাদের জন্য।
work বাটনে ক্লিক করার পর নিচের মত আরেকটি সাইন আপ ফরম আসবে –
এখানে আপনি আপনার নাম, ইমেইল এড্রেস, কান্ট্রি, ইউজারনেম, পাসওয়ার্ড এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে তাদের টার্মস -পলিসি একসেপ্ট করে Get Started বাটনে ক্লিক করলেই আপনার একাউন্টটি তৈরি হয়ে যাবে। দে তারপর আপনার ইমেইল এড্রেস ভেরিফাই করতে হবে। আপওয়ার্ক থেকে আপনার দেয়া ইমেইলে একটি ভেরিফিকেশন লিংক যাবে এটিতে ক্লিক করলেই আপনার একাউন্টটি ভেরিফাই হয়ে যাবে।
A9 মিনি ওয়্যারলেস ক্যামেরা ওয়াইফাই
আপনি এই ফর্ম ফিলাপ না করেও আপনার ফেসবুক, লিংকটইন অথবা আপনার জিমেইল আইডি দিয়েও সাইন আপ করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে You can also sign up with Facebook, Linkedin, or Google. এর Facebook, Linkedin, or Google যেকোন একটি লিংকে গিয়ে আপনার একাউন্ট দিয়ে লগিন করলেই হবে।
[* বি.দ্র: সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বের সব বড় বড় স্যোসাল মিডিয়া, মার্কেটপ্লেস এবং অন্যান্য ওয়েবসাইটগুলো তাদের নিরাপওা এবং টার্মস – freelancingপলিসি জোরদার করছে তাই আপনার একাউন্ট খোলার সময় আপনার সঠিক নাম এবং সঠিকতথ্য দিয়ে সবসময় একাউন্ট খুলবেন। আপওয়ার্কে freelancing একাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ডে যে নাম আছে সেটি দিবেন এবং এই নামের সাথে আপনার ব্যাংক একাউন্টের নামের মিল থাকতে হবে ]
এই পর্বে এ পর্যন্তই, আমরা আগামী পর্বে দেখব কিভাবে আমরা একটি ভাল আপওয়ার্ক প্রোফাইল তৈরি করতে পারি যা আমাদেরকে ফিল্যান্স কাজ পেতে সহায়তা করবে। হ্যাপি freelancing ফিল্যান্সিং