ফেসবুক Marketing মার্কেটিং ( A 2 Z ) খুটিনাটি । মূল কথায় ফিরে আসা যাক, ২০১৯ সালে ফেসবুকের শুধু অ্যাডভার্টাইজিং রেভেনিউ ছিল প্রায় ৪০ মিলিয়ন ডলার! ফেসবুক তার রেভেনিউ আবার ইউজারদের (কন্টেন্ট ক্রিয়েটর, ডেভেলপার, পাবলিশার) সাথে শেয়ার করে। তো, সেই শেয়ার সহ ধরলে অ্যামাউন্টটা প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার!
নতুনরা একটু সমস্যায় পরতে পারেন, তবে চিন্তার কিছু নেই। আর আপনি যদি ফেসবুক মার্কেটিং এ নতুন হয়ে থাকেন তাহলে আজকের আর্টিকেল টি আপনার জন্য। কথা না বাডিয়ে তাহলে চলুন শুরু করি।
Freelancing ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন ?
ফেসবুক Marketing মার্কেটিং কি?
ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার প্রতিষ্ঠান বা প্রোডাক্ট এর পরিচিতি বা রিচ বাড়ানোকেই বলা হয় ফেসবুক Marketing মার্কেটিং। ফেসবুক Marketing মার্কেটিং এর মধ্যে যেসব ইনক্লুড থাকে:
- ফেসবুক এডস
- বিজনেস পেজ
- ফেসবুক মার্কেটপ্লেস
- ফেসবুক গ্রুপ
ফেসবুক মার্কেটিং কেন করবেন?
প্রথমত, বর্তমানে ৯০ বিলিয়ন এর অধিক ব্যবসা রয়েছে ফেসবুকে। প্রায় ১.৮৮ বিলিয়ন ইউজার প্রতিদিন ফেসবুক ব্যবহার করে এবং এদের মধ্যে শতকরা ১৭ জন তাদের বিজনেস বা প্রডাক্ট এর জন্য ফেসবুক ব্যবহার করে।
সহজ ভাষায় বলতে গেলে তথ্য প্রযুক্তির এই জুগে বেশির ভাগ মানুষ অনলাইন নির্ভরশীল এবং তারা অনলাইনের বেশির ভাগ সময় ফেসবুকেই ব্যয় করে। তাই পণ্য বা প্রতিষ্ঠান এর Marketing মার্কেটিং এর জন্য ফেসবুক বেশ ভুমিকা রাখে।
বিভিন্ন ধরণের ফেসবুক এডস
ফেসবুক আপনাকে বিভিন্ন ধরণের এডস বা বিজ্ঞাপন ব্যবহার করার সুবিধা দিয়ে থাকে। নিচে কিছু এডস বা বিজ্ঞাপন সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
ইমেজ এডস
স্ট্যাটিক ইমেজ এডস ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বাড়ানোর জন্য সবচেয়ে উপযোগী।
A9 মিনি ওয়্যারলেস ক্যামেরা ওয়াইফাই
এগুলা অবশ্যই জেপিজি বা পিএঞ্জি ফর্মেটে হতে হবে। ইমেজ এড এর হেডিং সর্বোচ্চ ৪০ ক্যারেক্টার এর মধ্যে হতে হবে। এবং আপনি ১২৫ ক্যারেক্টার এর একটি ক্ষুদে বার্তা ও দিতে পারবেন। এছাড়াও কল টু একশন তো থাকছেই। আর প্রতি $1 এ কন্টেন্টের উপর নির্ভর করে ৮০০-১৬০০ রিচ হয়। এড রেজুলেশন ১০৮০*১০৮০ দেয়া সবচেয়ে ভালো, এতে করে সব ডিভাইসে এড অপ্টিমাইজ হয়ে যায়।
ভিডিও এডস
ভিডিও এডস এর মাধ্যমে আপনি আপনার প্রডাক্ট দেখাতে পারবেন, গ্রাহক দের রিভিউ তুলে ধরতে পারবেন বা আপনার প্রডাক্ট অথবা ব্রান্ড কে প্রমোট করতে পারবেন। সাধারণত ভিডিও এডস এর এনগেইজমেন্ট ৬.০৯%, যা বেশ ইম্প্রেসিভ। কিন্তু প্রপার ভিডিও দিতে না পারলে গ্রাহক হারানোর সম্ভাবনা থাকে।
কালেকশন এডস
ইকমার্স ওয়েবসাইটের প্রডাক্ট দেখানোর জন্য কালেকশন এডস সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়। কালেকশন এডস এর সুবিধা থাকলে এর একটি সমস্যা আছে। কালেকশন এডস এ আপনাকে শর্ট হেডলাইন এবং ১২৫ ক্যারেক্টার এর শর্ট মেসেজে সীমাবদ্ধ থাকতে হবে। যার ফলে আপনি আপনার প্রডাক্ট বা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বেশি তথ্য শেয়ার করতে পারবেন না।
ফেসবুক বিজ্ঞাপন এর জন্য নির্দিষ্ট কোন খরচ নেই। আপনি আপনার ইচ্ছে মত করতে পারবেন। সর্বনিম্ন ১ ডলারে শুরু করে আপনি যত ডলার ইচ্ছে তত ডলারের বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন। সাধারণত ১ ডলারের বিজ্ঞাপনে প্রায় ৩ হাজার অডিয়েন্স রিচ পাওয়া যায়। তবে কন্টেট কোয়ালিটি ভালো হলে রিচ আরও বেড়ে যায়। ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিতে এখানে ক্লিক করুন।
ফেসবুক এডস এ বেশি রিচ পাওয়ার টিপস
আপনি যদি আপনার ফেসবুক এডস এ বেশি রিচ বা রেস্পন্স পেতে চান তাহলে এডস রান করার আগে নিচের বিষয় গুলো ফলো করবেন।
- ফাস্ট ইপ্রেশন সব ক্ষেত্রেই বিশেষ ভূমিকা পালন করে। সেটা প্রেম হোক বা ফেসবুকের বিজ্ঞাপন। তাই এডস এর জন্য সব সময় কোয়ালিটিফুল, হাই রেজুলেশনের এর ইমেজ ব্যবহার করবেন।
- সহজ ভাষায় আপনার টার্গেট ওয়ার্ড হাইলাইট করবেন। সবসময় অল্প শব্দের মধ্যে আপনার কথা গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করবেন।
- ব্যবহারকারীর দৃষ্টি আকার্ষণ এর সব সময় আপনার সিটিএ উল্লেখ করবেন।
- এসড গুলো সব সময় ভার্টিক্যাল এ করবেন। এতে মোবাইল সহ সকল ডিভাইসে খুব সুন্দর দেখা যাবে।
- ভিডিও এডস এ ইউজার টেস্টিমনিয়াল রাখার চেষ্টা করবেন। এতে আপনার বিজনেস এর প্রতি অডিয়েন্স এর ট্রাস্ট বেড়ে যাবে।
ফেসবুক বিজনেস পেজ
আপনি যদি ফেসবুকে ফ্রি Marketing মার্কেটিং করতে চান তাহলে আপনার একটা ফেসবুক পেজ থাকতেই হবে।
প্রথামিক ভাবে, ফেসবুক প্রজে আপনি আপনার প্রডাক্ট বা প্রডাক্ট রিলেটেড কন্টেন্ট শেয়ার করতে পারবেন, যা অডিয়েন্স গ্রো করতে সহায়তা করবে। এছাড়াও আপনার ব্যবসার ধরণের উপর ভিত্তি করে আপনি আপনি আপনার পেজে কিছু বাটন সেট করতে পারেন। যেমন,
- সেট আপ এপোয়েন্টমেন্ট
- এন্সার কোয়েশ্চেন
- ভিজিট ওয়েবসাইট/লার্ন মোর
- ডাউনলোড এপ
এছাড়াও আপনার ফেসবুক পেজের মাধ্যমে আপনি আপনারা বিজনের রিলেটেড নানা ধরণের ইভেন্ট চালু করতে পারবেন। ফেসবুক পেজ এর সবচেয়ে বড় সুবিধা আপনি খুব সহজেই আপনার বন্ধু বান্ধব বা পরিচিত দের কাছে আপনার বিজনেস সম্পর্কে অবগত করতে পারবেন।
ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে Marketing মার্কেটিং
আপনি যদি বড় বড় বিজনেস প্রতিষ্ঠান গুলোর দিকে লক্ষ করে তাহলে দেখতে পারবেন প্রত্যেক টা প্রতিষ্ঠান এর একটা করে অফিশিয়াল গ্রুপ বা ফ্যান গ্রুপ আছে। যে গ্রুপ টি ব্যবহার করে বিজনেস প্রতিষ্ঠান সরাসরি গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ করে বা গ্রাহকদের মতামত বা অভিযোগ গ্রহন করে। এছাড়াও আপনি ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে আপনি বেশ কিছু সুবিধা ভোগ করতে পারবেন:
- খুব সজজেই নতুন প্রডাক্ট এর প্রমোশন করতে পারবেন বিনামুল্যে।
- আপকামিং প্রডাক্ট সম্পর্কে পরামর্শ বা আইডিয়া নিতে পারবেন।
- গ্রাহক কোন ধরণের সার্ভিস নিতে চাচ্ছে তা খুব সহজেই জানতে পারবেন।
- সমালোচনার মাধ্যমে আপনার বিজনেস এর ত্রুটি এবং সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে জানতে পারবেন।
ফেসবুক গ্রুপের সব চেয়ে বড় সুবিধা এটি একটি ফ্রি কামিউনিটি সৃষ্টি করে এবং খুব সহজেই হাজার হাজার অডিয়েন্স এর এটেনশন করা যায়। এছাড়ও ফেসবুক গ্রুপ ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বুস্ট করতে অন্যতম ভূমিকা পালন করে।
ব্লগ blog সাইটে ভিজিটর পাওয়ার উপায়
উপসংহার
আপনি যদি আপনার বিজনেসে খুব সহজেই টার্গেট অডিয়েন্স গ্রো করতে চান বা আপনারা বিজনেস যদি অনলাই ভিত্তিক হয় তাহলে ফেসবুক Marketing মার্কেটিং এর বিকল্প নেই। বর্তমানে বাসার কাজের লোক থেক অফিসের বড় বাবা পর্যন্ত সবাই ফেসবুক ব্যবহার করে।
এই ছিলো ফেসবুক Marketing মার্কেটিং নিয়ে বিস্তারিত আর্টিকেল। আশাকরি আর্টিকেল টি আপনাদের ভালো লেগেছে। ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে বা সোসাল মিডিয়াতে শেয়ায় করতে পারেন। আমাদের আর্টিকেল বিষয়ে কোন অভিযোগ বা পরামর্শ থাকলে কমেন্টে বলতে পারেন বা আমাদের ফেসবুকে যোগাযোগ করতে পারেন। ভালো থাকবেন সবাই, ধন্যবাদ।