Slide show স্লাইড শো প্রেজেন্টেশন এর কিছু টিপসবিভিন্ন সময়ে হাঠাৎ করেই প্রয়োজন হয়ে ওঠে একটি প্রেজেন্টেশনের। কোন একটি প্রোজেক্টের সারমর্ম দেখাতে বা মিটিং এ নিয়ে যাওয়া দরকার হতে পারে কাজের একটি ধারাবাহিক বিবরণ। অনেক সময় প্রেজেন্টেশন তৈরীর জন্য বেশি সময়ও পাওয়া যায় না
প্রেজেন্টেশন ডিজাইনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু বেপার মনে রাখলে সুন্দর ডিজাইনের জন্য সহায়ক হবে।
100 টাকা বোনাস দিচ্ছে Sohoj Affiliates এ একাউন্ট করলেই পাবেন
১. ডিজাইন
Slide show প্রেজেন্টেশনের অনেকগুলো বিল্ডইন ডিজাইন থাকে। আর এগুলো ব্যবহার করতে গেলে বেশ কিছু সিমাবদ্ধতায় পড়তে হয়। কনটেন্টের সাথে অনেক সময় সামঞ্জস্য হয় না। তাছাড়া কোন প্রোফেশনাল কাজ হলে আপনার বিল্ডইন ডিজাইনটা ক্লাইন্ট বুঝে ফেলতে পারে। তাই সহজে একটি থিম ডিজাইন করে নিন। ব্যাগ্রাউন্ড ছবি (যার মধ্যে প্রতিষ্ঠানের লগোটার জলছাপ দিতে পারেন) আর কয়েকটি কাছাকাছি রঙের ব্যাবহারে তৈরী করে নিতে পারেন একটি থিম।
২. রঙ
চোখে লাগে এরকম রং ব্যবহার করবেন না। রঙগুলোর মধ্যে একটা ধারাবাহিকতা বজায় রাখুন। ব্যাগ্রাউন্ডে সলিড রং অথবা গ্রাডিয়েন্টও ব্যবহার করতে পারেন।
৩. ছবি
Slide show প্রতিষ্ঠান ও কাজের ধরন অনুসারে ছবি সংযুক্ত করতে পারেন। আমি অবশ্য ক্লিপআর্ট জাতীয় ছবি ব্যবহার করে স্বাচ্ছন্দ বোধ করি। ট্রান্সপারেন্ট ব্যাগ্রাউন্ডের gif বা png ছবি ব্যবহার করুন। প্রতিষ্ঠানের কোন ছবি ব্যবহার করতে হলে সেগুলো ফটোশপে সম্পাদনা করে নিন। আর ভাল মানের ছবি ফ্লিকারে খুজে দেখতে পারেন।
৪. ফন্ট
ফন্ট ব্যবহারে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। দুইটি বেপার মনে রাখা দরকার
ক. লেখা যাতে পড়তে অসুবিধা না হয়, এক্ষেত্রে ফন্টের রং ও আকারের দিকে সচেতন থাকতে হবে।
খ. লেখার স্টাইলে যাতে একটা প্রফেশনাল ভাব বজায় থাকে।
৫. পাঠ যোগ্যতা
Slide show পাঠের বা বোঝার সুবিধা বা অসুবিধার বেপারটা বিবেচনায় রাখুন। অনেক সময় ব্যাগ্রাউন্ডের রঙের সাথে লেখার রংটা এমন ভাবে মিশে যায় যে বুঝা যায় না কি লেখা আছে।
মনিটরের স্ক্রিনের আকারের উপরেও বেপারটা নির্ভর করে। আপনি হয়তো জানবেন যে প্রেজেন্টেশনটি কোথায় ব্যবহৃত হবে। তাই সেই হিসেব করেই করতে পারেন ডিজাইনটি।
খুবই দ্রুত লিখেছি। আগামীতে প্রেজেন্টেশনের কনটেন্ট, টেবিল, চার্ট ও শব্দের বেপারে আলোচনা করতে পারি।
ভাল থাকুন।