মার্কেটপ্লেস Marketplace ছাড়াই অনলাইনে আয়ঃ ফ্রিল্যান্সিং এ নতুনদের মধ্যে মার্কেটপ্লেস এর বাইরে আয় করার চিন্তা টা প্রায় ই আসে না বললেই চলে। বাঙ্গালী হিসেবে আমরা যেহেতু অনেক বেশি হুযুগে, তাই আমরা Marketplace মার্কেটপ্লেস এর বাইরে ইনকাম এর চেষ্টা এবং পরিকল্পনা কোনটা করিনা বললেই চলে। আজ আমি আপনাদের সাথে এই বিষয় নিয়ে কিছু বলার চেষ্টা করবো। কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করি।
মার্কেটপ্লেস এর বাইরে ইনকাম কি আদৌ সম্ভব?
এই বিষয়ে আলোচনা করতে গেলে প্রশ্ন আসাটাই স্বভাবিক। আসলেই কি Marketplace মার্কেটপ্লেস এর বাইরে আয় করা সম্ভব? উত্তরে আমি বলতে চাই ‘হ্যা’। আপনার কাছে উত্তর যদিও ‘না’ মনে হয়, আসলেই তা সম্ভব কিনা তা নিয়েই আজকের মূল আলোচ্য বিষয়। আশাকরি ভাল কিছু আইডিয়া পাবেন মার্কেটপ্লেস ছাড়াই অনলাইনে আয় করার।
ডিজিটাল মার্কেটিংMarketing কি? ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রয়োজনীয়তা
মার্কেটপ্লেস এর বাইরে কিভাবে আয় করবো?
Marketplace মার্কেটপ্লেস এর বাইরে ইনকাম এর চিন্তা বা, পরিকল্পনা আসার সাথে সাথে আপকে কত গুলো পদ্ধতি বা, টেকনিক আয়ত্ব করে নিতে হবে। আর সেই টেকনিক গুলো যদি আপনি যথাযথ প্রয়োগ করতে পারেন তাহলে আপনি অবশ্যই সফল হবেন।
“ফ্রিল্যান্সিং বা, অনলাইন এমন একটি জগত, এমন একটি দুনিয়া যেখানে আপনি যদি আগ্রহ, চেষ্টা আর মনযোগ এর সাথে লেগে থাকেন তাহলে একদিন না একদিন আপনি অবশ্যই সফল হবেন এবং ইনকাম করতে পারবেন। ”
তো কি বুঝলেন? আসলে আপনার চিন্তা, আপনার আগ্রহ, আপনার কাজের প্রতি আন্তরিকতাই কেবল আপনার সফলতার চাবিকাঠি। সুতরাং লেগে থাকুন; সফলতা একদিন ধরা দিবেই। আশায় থাকুন; আশায় মানুষ বাঁচে।
মার্কেটপ্লেস এর বাইরে কিভাবে ক্লায়েন্ট পেতে পারি?
সাধারণত যারা ফ্রিল্যান্সিং করেন তারা মুলতঃ Marketplace মার্কেটপ্লেস নির্ভর। মার্কেটপ্লেস এর বায়ার বা, ক্লায়েন্ট এর দেয়া কাজ গুলোই তারা করে থাকেন। এটাই স্বভাবিক। কিন্তুঃ
“মার্কেটপ্লেস এ আপনি ক্লায়েন্ট এর সাথে যদি Marketplace মার্কেটপ্লেস এর বাইরে পেমেন্ট অথবা কাজ নেয়ার ব্যাপারে চ্যাটিং বা, ম্যাসেজ আদান-প্রদান করেন তাহলে আপনার ফ্রিল্যান্সার প্রোফাইল ব্যান হবার সম্ভাবনা ২০০%। সুতরাং এই কাজটি কখনোই করতে যাবেন না। এ ব্যাপারে আপনাকে কঠোর সাবধানতা অবলম্বন করা গুরু দায়িত্ব!”
এখন কথা হলো মার্কেটপ্লেস এর বাইরে কিভাবে ক্লায়েন্ট পেতে পারি? এজন্য আপনাকে কিছু পদ্ধতি ও ট্রিক্স অবলম্বন করতে হবে। এই লিখাটি পড়তে থাকুন, আশাকরি বুঝতে পারবেন খুব সহজেই।
মার্কেটপ্লেসের বাইরে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ পাওয়ার উপায়ঃ
এখন আসি Marketplace মার্কেটপ্লেসের বাইরে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ পাওয়ার উপায় নিয়ে। এজন্য আপনাকে এনালাইসিস করতে হবে। একটি জরিপে দেখা গেছে সারা দুনিয়ায় অনলাইন জগতে যত কাজ আছে তার কেবনল মাত্র ২১% কাজ ফ্রিল্যান্সিং সাইট অর্থাৎ মার্কেটপ্লেস গুলোতে হয়ে থাকে। তাহলে এখন প্রশ্ন আসাটা স্বাভাবিক যে বাকি ৭৯% কাজ কিভাবে হয়ে থাকে? কোথায় হয়ে থাকে? কারা কাজ গুলো কাকে দিয়ে করিয়ে নেয়? এটাইতো? হ্যা ঠিক তাই যদি চিন্তা করে থাকেন তাহলে বিষয় টা আপনার জন্য সহজ হয়ে গেলো।
মার্কেটপ্লেস এর বাইরে আয় করার জন্য কি কি পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে?
আমি মনে করি নিচের পদ্ধতি গুলো যদি কেউ সঠিক প্রয়োগ করতে পারে তাহলেMarketplace মার্কেটপ্লেস এর বাইরে ইনকাম করা তার জন্য অনেক সহজ এবং ফলপ্রসু হবে। তো চলুন ট্রিক্স গুলো জেনে নিই ধাপে ধাপে। মার্কেটপ্লেস এর বাইরে আয় করার জন্য নিচের পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করুনঃ
- Facebook Group, Facebook Page
- Follow Senior Freelancer
- Google Job Alert; Online Job Protal
- Personal Branding
- Blogging, Content Writing
ফেসবুক গ্রুপ, ফেসবুক পেইজঃ
আপনি যেহেতু অনলাইন দুনিয়ায় নিজেকে প্রতিষ্ঠার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সেহেতু আমি মনে করি আপনি অবশ্যই ফেসবুকে নিয়মিত এক্টিভ থাকেন এবং এক্টিভ থাকাটা খুবই জরুরি। এক্টিভ থাকার পাশাপাশি আপনার স্কিল অনুযায়ী ফেসবুকের সার্চ বক্সে সার্চ করুন। মনে করেন আপনি SEO এর কাজ শিখেছেন, তাহলে ফেসবুক সার্চ বক্সে ‘SEO’ লিখে সার্চ করুন, বাংলায়ও লিখে সার্চ করতে পারেন ‘এসইও’। দেখবেন অনেক ফেসবুক পেইজ, গ্রুপ ভিডিও, পোস্ট আসছে। যে সব গ্রুপে মেম্বার বেশি সে সব গ্রুপে এড হোন, যেসব পেইজে লাইক বেশি সেই সব পেইজে লাইক দিয়ে রাখুন। এতে কি লাভ হবে? গ্রুপে পেইজে অনেকেই জব পোস্ট করে থাকেন। সেখানে আপনি সরাসরি ম্যাসেজ বা, কমেন্ট এর মাধ্যমে কাজের জন্য এপ্লাই করতে পারবেন।
শুধুমাত্র আমার পেইজবুক পেইজ অপ্টিমাইজ করার ফলে Marketplace মার্কেটপ্লেস এর বাইরে কিভাবে ২০০ ডলার আয় করলাম তা নিয়ে পড়ুনঃ How I Earn $200 Out Of Marketplace ?
বর্তমানে মার্কেটপ্লেসের বাইরে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ পাওয়ার জন্য ফেসবুক গ্রুপ, ফেসবুক পেইজ অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম। একটু খেয়াল করলে বুঝবেন বা দেখে থাকবেন যাদের এজেন্সি আছে বা, যেসব ফ্রিল্যান্সার এর অর্ডার বেশি তারা ফেসবুক গ্রুপ পেইজে এসে পোস্ট দেয় কাজ করিয়ে নেয়ার জন্য। আরো ভাল রেজাল্ট পেতে বা, সরাসরি জব পোস্ট পেতে ‘We Are Hirirng’ লিখে সার্চ করুন, তাহলেই বুঝতে পারবেন।
ফলো করুন সিনিয়র ফ্রিল্যান্সার বড় ভাইদেরঃ
যারা ফ্রিল্যান্সিং করেন, তারা প্রায়ই ফেসবুকে এক্টিভ থাকেন এবং তাদের নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন পোস্ট, কমেন্ট এর মাধ্যমে। তাই চেষ্টা করবেন তাদের কে ফ্রেন্ড-রিকোয়েস্ট পাঠাতে,তাদের কে ফলো করতে। কেননা তারা প্রায়ই জরুরি দক্ষ লোক হায়ার করেন যখন তাদের কাজের চাপ বা, অর্ডার বেড়ে যায়। আপনি যদি তাদের লিস্ট এ থাকেন তাহলে তাদের পোস্ট দেখতে পাবেন এবং কাজের জন্য এপ্লাই করতে পারবেন সহজে। এছড়াও সিনিয়র ফ্রিল্যান্সার বড় ভাই যারা আছেন তাদের পরামর্শ, তাদের দিক-নির্দেশনা আপনার স্কিল এ এনে দিবে প্রফেশনালিজম।
গুগল জব এলার্ট এবং অনলাইন জব পোর্টালঃ
বর্তমানে গুগল আপনাকে কাজ পাওয়ার ব্যাপর টা অনেক সহজ করে দিয়েছে। আপনি যদি আপনার জিমেইল একাউন্ট এ Google Job Alert এ গিয়ে নোটিফিকেশন বেল আইকন টি অন করে রাখুন।
তাহলে আপনার মেইলে দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক আকারে আপনার আশেপাশে লোকেশন যত জব পোস্ট হবে তার সার্কুলার গুলো পেয়ে যাবেন। সেখান থেকে আপনি আপনার স্কিল অনুযায়ী কাজের জন্য এপ্লাই করতে পারবেন।
এছাড়াও অনলাইন জব পোর্টাল গুলো যেমন, LinkedInv, Hubstaff Talent, Indeed, Glassdoor এ প্রচুর ক্লাইন পাওয়া যায়। আপনি যদি আপনার প্রোফাইল ভাল করে অপ্টিমাইজ করতে পারেন বায়ার বা, ক্লায়েন্ট আপনাকে নিজ থেকেই যোগাযোগ করবে কাজ করিয়ে নেয়ার জন্য। আপনার স্কিল অনুযায়ী প্রোফাইল সাজিয়ে রাখুন, আপনার স্কিল-রিলেটেড টপিক নিয়মিত শেয়ার করুন, দেখবেন কাজের অফার পাবেন।
পার্সোনাল ব্রান্ডিংঃ
Marketplace মার্কেটপ্লেস এর বাইরে ইনকাম করার করার উপায় হিসেবে বলিষ্ঠ ভুমিকা পালন করে Personal Branding বা, Self Branding. অনলাইনে আপনার একটি প্রফেশনাল ব্রান্ড তৈরি করুন। সেটা কিভাবে করবেন? Personal Branding করতে কত টাকা খরচ হবে? নাহ! আপনি ফ্রিতেই করতে পারবেন পারস্যোনাল ব্রান্ডিং। সার্চ ইঞ্জিন কে জানিয়ে দিন, সার্চ ইঞ্জিন এর সাথে পরিচয় করিয়ে দিন আপনার নিজেকে এবং আপনার স্কিল কে। কিন্তু সেটা কিভাবে সম্ভব?
পারস্যোনাল প্রোফাইল খোলার পাশাপাশি আপনার সংক্ষিপ্ত Bio যুক্ত করে রাখুন Medium, About Me, Branding Yourself এ। শেয়ার করুন আপনার স্কিল, আপনার ইতোপূর্বে করা কাজ গুলো। যখন আপনার কাজের ছবি, প্রোফাইল পিকচার, ভিডিও, টেক্সট আপলোড করবেন চেষ্টা করবেন কিছু দরকারী কিওয়ার্ড যুক্ত করে নিতে যাতে যেই কিওয়ার্ড দিয়ে খুঁজলে আপনার ক্লায়েন্ট আপনাকে খুঁজে পায়; আপনাকে হায়ার করার জন্য সুবিধা হয়।
এছাড়াও নিজের কাজ গুলো নিয়ে একটি পোর্টফলিও সাইট তৈরি করুন। অনলাইনে নিজের উপস্থিতি জানান দিন আপনার সকল এক্টিভিটির মাধ্যমে।
কেননা মেক্সিমাম ক্ষেত্রেই দেখায় যায় কাজ নিয়ে কথা বলার আগে জানতে চায় কোন পোর্টফলিও আছে কিনা? যে কোন বায়ার বা, ক্লায়েন্ট আপনার কাজের পূর্ব অভিজ্ঞতা চাইবে হায়ার করার আগে। আপনার যদি সুন্দর একটি পোর্টফলিও থাকে তাহলে ক্লায়েন্ট আপনাকে দিয়ে কাজ করিয়ে নিতে বা, আপনাকে হায়ার করতে আগ্রহী হবে।
ব্লগিং, কন্টেন্ট রাইটিং শুরু করুনঃ
আপনি কাজ শিখেছেন, কাজ জানেন, সমস্যার সমাধান করা জানেন। কিন্তু ইদানিং হাতে কাজ কম। ফ্রি টাইম পাস করছেন। তাইতো? তাহলে শুরু করে দিন লেখালেখি। আপনার স্কিল অনুযায়ী লিখুন। শুধু শুধু বসে না থেকে সময় টাকে কাজে লাগাতে পারেন লেখালেখি করে। আমার মত যদি গরিব ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন, ডোমেইন, হোস্টিং কেনার টাকাও যদি না থাকে তাহলে ব্লগিং শুরু করে দিন ফ্রিতে ব্লগার এ। আপনি এই লিখাটি যেখানে পড়ছেন ফ্রিল্যান্সিং এ, এই ব্লগটিও আমি কেবল নিজের লিখালিখির জন্যই করা। সুন্দর ও মার্জিত একটি ব্লগার টেমপ্লেট বাচাই করে শুরু করে দিন ব্লগিং। কপি পেস্ট না করে ইউনিক কন্টেন্ট রাখুন ব্লগে। ব্লগে ইউনিক আর্টিকেল যখন ১২/১৪ টা হবে তখন এপ্লাই করুন এডসেন্স এর জন্য। ব্লগিং ও এডসেন্স মার্কেটপ্লেস এর বাইরে আয় করার আরেকটি সম্ভাবনাময় উপায়।
মার্কেটপ্লেসের বাইরে আয় করার দুইটি Exclusive টেকনিক জেনে নিনঃ
মার্কেটপ্লেসের বাইরে কাজ পাওয়ার একটি নিঞ্জা টেকনিকঃ
কাজ তো আপনি নিয়মিতই করছেন; হোক সেটা ক্লায়েন্ট এর, হোক সেটা নিজের, কিংবা হোক সেটা প্রাক্টিস এর উদ্ধ্যেশ্যে। কাজ করার সময় আপনি যদি ছোট্ট একটি ট্রিক্স বা, টেননিক এপ্লাই করেন আর সেটার মাধ্যমে যদি আপনার ইনকাম হয় বা, সেটার মাধ্যমে যদি আপনি Marketplace মার্কেটপ্লেস এর বাইরে থেকেও ইনকাম করতে পারেন তাহলে কেমন হয় ভাবুন তো একবার? কি সেই টেকনিক? কি সেই ট্রিক্স?
আপনি যখন কাজ করবেন কাজ করার সময় আপনার স্ক্রিন রেকর্ড করুন। ভয়েস দিতে পারলে আরো ভালো হয়। স্ক্রিন রেকর্ড শেষে ভিডিও টি আপলোড করুন ইউটিউবে।
এতে লাভ কি? লাভ আছে। ভিডিও আপলোড করে ভিডিও টাইটেল এবং ভিডিও ডেসক্রিপশন এ কিওয়ার্ড যুক্ত করুন যেটা দিয়ে ইউটিউবে মানুষ খুজলে আপনার ভিডিও দেখতে পাবে। অনেক ক্লায়েন্ট আছে যারা নিজেদের কাজ নিজেরা করে কিন্তু যখন কোন কাজে সমাধান বের করতে পারেনা তখন ধারস্থ হয় গুগল আর ইউটিউবের। গুগল, ইউটিউবে সার্চ করে যদি আপনার ভিডিও দেখেও যদি সে নিজের সমস্যা সমাধান করতে পারবে না তখন সে কমেন্ট করবে না হয় আপনার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করবে। এতে করে আপনাকে হায়ার করার সম্ভাবনা অনেক বেশি। আপনার যদি এতে সন্দেহ থাকে আপনি বড় বড় ফ্রিল্যান্সার, যারা সফল ফ্রিল্যান্সার আছেন তাদের কে জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন আসলে মার্কেটপ্লেসের বাইরে কাজ পাওয়ার এই ট্রিক্স টি কতটুকু যৌক্তিক এবং কতটুকু বাস্তবিক।
মার্কেটপ্লেসের বাইরে ইনকাম করার আরো একটি প্রো টিপসঃ
টুইটার তথা Advanced Twitter Search হতে পারে আপনার মার্কেটপ্লেসের বাইরে আয়ের আরো একটি প্রো টিপস। টুইটার এ গিয়ে আপনার একাউন্ট এ লগিন করুন। এরপর চলে যান Twitter Advance Search এ।
এখানে সার্চ অপশন এ গিয়ে আপনার স্কিল অনুযায়ী সার্চ করুন, সার্চ রেজাল্ট এ দেখতে পাবেন কাজ করানোর কারা জন্য ফ্রিল্যান্সার খুঁজছে? তাদের করা পোস্ট এ গিয়ে কমেন্ট এর মাধ্যমে আপনার অফার টি লিখুন। সাথে আপনার পোর্টফলিও সাইট এর লিংক ও দিতে পারেন। কোন বায়ার যদি আপনাকে কাজের জন্য যোগ্য মনে করে তাহলে আপনাকে knock করবে বা, হায়ার করে নিবে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে।
মার্কেটপ্লেস এর বাইরে কাজের ব্যাপারে সতর্কতাঃ
এ ক্ষেত্রে অনেকে আবার যদি দালাল, টাউট, বাটপার, ফ্রড এর পাল্লায় পড়েন তাহলে আপনার কাজ, আপনার পরিশ্রম এবং পারিশ্রমিক দুইটাই ভেস্তে যাওয়ার ভয় আছে। তাই আপনাকে একটু সচেতন থাকতে হবে। আপনি যার কাছ থেকে কাজ নিচ্ছেন বা, যেই ক্লায়েন্ট কাজ করছেন তার স্যোসাল মিডিয়া প্রোফাইল কেমন? সাজানো গোছানো বা, অপ্টিমাইজ কিনা তা যাচাই করুন। সাজানো গোছানো বলতে আমি বুঝাতে চাচ্ছি যে আপনার ক্লায়েন্ট সামাজিক যোগাযোগ এর প্রোফাইল এ তার সঠিক নাম পরিচয় আছে নাকি সব ভুয়া তথ্য অথবা হাইড করা কিনা? তার ফ্রেন্ড লিস্ট এ যারা আছে তারা স্যোসাল মিডিয়া তে পরিচিতি কিনা? ফ্রেন্ডলিস্ট এর লোকজন কি টাইপের এসব বিষয়ে আপনাকে ধারনা রাখতে হবে। এর পরে আসে আপনার পেমেন্ট। সে আপনাকে কিভাবে পেমেন্ট দিতে চাচ্ছে? তার পেমেন্ট মেথড কি? সে যেভাবে পেমেন্ট দিতে চায় সেভাবে আপনি পেমেন্ট নিতে পারবেন কিনা? কাজ করার আগে, কাজের পেমেন্ট কত? কাজের ডেডলাইন কতদিন? অর্থাৎ কত দিনের ভিতর কাজটি করতে হবে? এসব বিষয় আপনার কাজ শুরুর আগেই পরিকল্পনা করে নিতে হবে। এতে আপনি এবং আপনার ক্লায়েন্ট দুজনেই ক্লিয়ার থাকবেন।
মার্কেটপ্লেস এর বাইরে কাজের ব্যাপারে কাজ নেয়ার আগে নিচের পয়েন্ট গুলো খেয়াল রাখুনঃ
- আপনার কায়েন্ট এর স্যোসাল মিডিয়া প্রোফাইল গুলো দেখে নিন।
- ক্লায়েন্ট এর ফ্রেন্ড লিস্ট এ কারা বা কি টাইপের লোকজন আছে তা দেখে নিন।
- কাজ করার আগেই কাজের ডেডলাইন এবং কাজের পেমেন্ট নিয়ে কথা বলুন।
- ক্লায়েন্ট আপনাকে কিভাবে পেমেন্ট দিবে? পেমেন্ট মেথড জেনে নিন।
- দেখে, শুনে, বুঝে সিদ্ধান্ত নিন।
আজ এই পর্যন্ত ই। আপনার নিজের কোন মতামত, পরামর্শ জানাতে পারেন এ কমেন্ট এর মাধ্যমে। যদি মনে করেন Marketplace ‘মার্কেটপ্লেস এর বাইরে আয়‘ নিয়ে এই লিখাটি আপনার ফ্রেন্ডলিস্ট এর কারো উপকারে আসবে তাহলে শেয়ার করে দিন নিচের স্যোসাল মিডিয়া বাটন গুলো তে ক্লিক করে। ফ্রিল্যান্সিং গিক এর সাথেই থাকুন। ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন, নিরাপদে থাকুন। মহামারী করোনা ভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকতে মাস্ক ব্যবহার করুন।