ডিজিটাল digital মার্কেটিং কি- এককথায় বলতে গেলে কোন প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের digital মার্কেটিং ডিজিটাল প্লাটফর্মে করাকেই ডিজিটাল digital মার্কেটিং বলা হয়। আমরা অফলাইনে বিভিন্ন প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের যে মার্কেটিং দেখে থাকি সেইম একই কাজ অনলাইনে করা হলো ডিজিটাল মার্কেটিং। আশা করি আপনাদের সবারই এই অফলাইন মার্কেটিং সম্পর্কে বেশ ভালো আইডিয়া আছে, কিন্তু অনলাইন মার্কেটিং টা এত সহজে বুঝবেন না। আমি আপনাদের সুবিধার্থে খুব সুন্দর করে সহজভাবে এখন আপনাদের পুরো বিষয়টা বুঝিয়ে বলব, যেহেতু আমি নিজে একজন ডিজিটাল মার্কেটার।
যারা ডিজিটাল digital মার্কেটিং এ কাজ করে তাদেরকে ডিজিটাল মার্কেটার বলা হয়। আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ করেছেন বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা ব্যপক আকারে বেড়ে গিয়েছে। এই সম্পর্কে যদি আপনার স্পষ্ট ধারণা না থাকে তাহলে এই কম্পিটিটিভ ওয়ার্ল্ডে টিকতে পারবেন না। প্রত্যেকটি বিজনেসের জন্য অনলাইনে আসা একেবারে অত্যাবশ্যকীয় হয়ে পড়েছে। অফলাইনে যারা digital মার্কেটিং করছে তাদের তুলনায় অনলাইন মার্কেটাররা একটি বিজনেস কে খুব দ্রুত প্রসারিত করতে পারছে।
আপনি যদি একজন বিজনেজ ওনার হন অথবা একজন মার্কেটার হন এই বিষয়টি জানা আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া প্রতিটি মানুষেরই ডিজিটাল digital মার্কেটিং সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা এবং এই বিষয়ে নূন্যতম ব্যাসিক দক্ষতাটুকু থাকা প্রয়োজন। কেননা, আপনি যদি চাকরির কথাও চিন্তা করেন, বর্তমানে অফলাইন প্রসেস থেকে অনলাইন নিয়েগ প্রসেসকেই প্রায় সব কোম্পানি বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। তাহলে চলুন বিস্তারিত জেনে নিই
ফেসবুক Marketing মার্কেটিং কিভাবে করা হয়?
ডিজিটাল digital মার্কেটিং এর ধারণা
একটি ব্যবসার সফলতা পুরোপুরিভাবে নির্ভর করে তার digital মার্কেটিং এর উপর। মার্কেটিং বলতে সাধারণত আমরা কোন পণ্য বা সার্ভিসের প্রচার প্রচারণাকেই বুঝি। কিন্তু না, এর অর্থ আরো অনেক গভীর। শুধুমাত্র প্রচার প্রচারণা দিয়েই digital মার্কেটিং এর প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যায় না। একটু ভাবুন, আমি আপনার কাছে আমার পণ্যের প্রচার করলাম, কিন্তু আমার এই পণ্য আপনি নিবেন না, আপনার কোন প্রয়োজন নেই। তাহলে এই মার্কেটিং কি আমার জন্য কোনভাবে লাভজনক হবে? কখনো না। সহজ কথায়, মার্কেটিং হলো ক্রেতার মন জয় করে তার কাছে কোন পণ্য বিক্রি করা। এবার আসুন অনলাইন মার্কেটিং সম্পর্কে বুঝার চেষ্টা করি,
যেহেতু বিষয়টা একটু জটিল, আমি উদাহরণের মাধ্যমে আপনাকে স্পষ্টভাবে বুঝাবো। ধরুন, আপনার একটি মোবাইল ফোনের দোকান আছে, তার পাশেই আপনার বন্ধুরও একটি মোবাইলের দোকান। তাহলে, আপনাদের দুজনের বিজনেসের মধ্যে সবসময় একটা কম্পিটিশন থাকবে এটাই স্বাভাবিক। এখন, আপনার বন্ধু ফেসবুকে একটি পেইজ খুলল তার দোকানের নামে এবং তার যত কাস্টমার আছে সবাইকে ওই পেজে এনগেইজ করে ফেলল, পাশাপাশি আপনার এলাকার যত মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে সবাই আস্তে আস্তে তার পেইজ ফলো করতে লাগল। আপনি দেখলেন হুট করে আপনার দোকানের কাস্টমার কমে গেল, যারা আপনার দোকানে আসত তারাও আপনার বন্ধুর দোকানে চলে যাচ্ছে। তাহলে এখানে ঘটনাটা কি ঘটল, ভাবুন
খুব সিম্পল ব্যপার, আপনার এলাকার অধিকাংশ মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে। আপনার বন্ধুর বিজনেসের অনলাইন প্রেজেন্স থাকায় তার দোকানে নতুন কোন মোবাইল ফোন আসার সাথে সাথে ফেসবুকে পেজে ছবি আপলোড করে দেয় এবং তার পেজের ফলোয়াররা খুব সহজে জানতে পারে। এদিকে আপনার অনলাইনে কোন এক্টিভিটি নাই। আপনার দোকানে তার থেকে ভালো পণ্য নিয়ে আসলেও আপনার কাস্টমার রা এত তাড়াতাড়ি কোন আপডেট পাচ্ছে না। তাহলে আপনি আপনার বন্ধুর সাথে কম্পিটিশনে টিকে থাকতে পারবেন?
তো এভাবেই, প্রতিটি বিজনেসের অনলাইন প্রেজেন্স এর গুরুত্ব অপরিহার্য হয়ে গেছে। অফলাইনে যেমন কাস্টমার পাওয়ার জন্য আপনাকে মার্কেটিং করতে হয়েছে, একইভাবে অনলাইনেও digital মার্কেটিং করা প্রয়োজন। আপনার বন্ধুর পেজটি এতদিনে সবাই চিনে গেছে, আর আপনি নতুন একটি পেজ নিয়ে এসেছেন। আপনার বন্ধুর পেজ থেকেই তারা পণ্য কিনবে, আপনার পেজে আসার আর কোন প্রয়োজন তাদের নেই। আপনি যে আপনার বন্ধুর থেকে ভালো সার্ভিস দিচ্ছেন, তা তো আপনার অডিয়েন্সদের বুঝাতে হবে, তাদের কাছে আপনার পেজটি রিচ করতে হবে। তাহলে বুঝতেই পারছেন ডিজিটাল মার্কেটিং এর ধারণা কিভাবে এসেছে। আপনার কনসেপ্ট আরো ক্লিয়ার করতে নিজে নিজে একটু ভাবুন।
অফলাইনে যেমন দেখেন, জনসমাগম বেশি আছে এমন জাগায় ৫০০টাকার একটা ব্যানার লাগিয়ে দিলে ওই জাগায় যত লোক আসবে সবার কাছে আপনার বিজনেস পরিচিত হয়ে যাবে। অনলাইনে কিন্তু বিষয়টা এরকম সহজ না। আবার ধরুন, আপনার বিজনেসের সব কাস্টমার মহিলা, যেখানে অধিকাংশ মহিলারাই বাইরে আসে না, তাদের জন্য আপনার ভিন্ন উপায় অবলম্বন করতে হয়। এক্ষেত্রে অনলাইন মার্কেটিং আপনাকে বেশি সুবিধা দিবে। আপনার ধারণা যখন আরো স্পষ্ট হবে তখন বুঝতে পারবেন অফলাইন মার্কেটিং এর তুলনায় অনলাইন digital মার্কেটিং অনেক বেশি ফলপ্রসূ এবং আপনার মার্কেটিং কস্ট তুলনামুলকভাবে কম।
ডিজিটাল digital মার্কেটিং এর পরিচিতি
ডিজিটাল মার্কেটং অনেক বিশাল একটা সেক্টর। সহজে বুঝার জন্য ৩টা ক্যাটাগরিতে চিন্তা করুন
স্মার্ট অফলাইন digital মার্কেটিং
ইলেক্ট্রনিক বিলবোর্ড এবং সাধারণ বিলবোর্ডের পার্থক্য ভাবুন। ঢাকা শহরের ব্যস্ততম রাস্তার পাশে আপনার একটি রেস্টুরেন্ট আছে। আপনি তার সামনে একটি ইলেক্ট্রনিক বিলবোর্ড লাগিয়ে দিলেন, যেটিতে একটার পর একটা খাবারের ছবি ভেসে আসছে। শুধু তাই নয়, কাস্টমারদের ফিডব্যাকও দেখানো হচ্ছে। এগুলো সাধারণ বিলবির্ডের তুলনায় বেশি কাস্টমারের মনোযোগ কেন আকর্ষন করবে না? তাহলে বুঝুন আপনার সেল কি পরিমাণে বাড়বে?
আপনি যখন মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপের দোকানে যান তখন দেখবেন, কিছু ডেমো ডিভাইস সাজানো আছে, যেগুলো কাস্টমাররা খুব মনোযোগী হয়ে দেখতেছে। আপনার যদি কোন ইলেকট্রনিক ডিভাইসের দোকান থাকে তাহলে, ডেমো ডিভাইস রাখা টা একটি গুরুত্বপূর্ণ ডিজিটাল digital মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি।
টিভি মার্কেটিং
ফোন মার্কেটিং
digital মার্কেটিং এর মূল উদ্দেশ্য হলো একে জনসম্মুখে তুলে ধরা এবং সেটিকে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে নিয়ে সঠিক গুণগত মান বৃদ্ধির মাধ্যমে তার আশাজনক লাভ অর্জন করা। মার্কেটিং বিভিন্ন উপায়ে করা হয়ে থাকে। আর যখন এই digital মার্কেটিং ইন্টারনেট এবং অত্যাধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তি যেমন কম্পিউটার, মোবাইল ফোন এবং অন্যান্য ডিজিটাল মিডিয়া ও প্লাটফর্ম এর সহায়তা নিয়ে প্রোডাক্ট এর প্রচার প্রচারণা করা হয়, সেটিকেই বলা হয় “ডিজিটাল মার্কেটিং “।
আমরা অনেকেই হয়ত ডিজিটাল digital মার্কেটিং শব্দটি শুনে থাকলেও জানিনা এর সঠিক ব্যবহার কিংবা তার কোনো প্রয়োগ। এছাড়া ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিস্তার সম্পর্কেও আমাদের অনেকেরই নেই কোনো ধারণা। আবার অনেকে এর ধারণা জানলেও কীভাবে এই ডিজিটাল মার্কেটিং এ আদর্শ হওয়া যায় তা নিয়ে নেই কোনো ধারণা। তাই চলুন আজ জেনে নেয়া যাক ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিস্তার, ব্যবহার এবং কীভাবে এই মার্কেটিং এ সফল হওয়া যায় তার কিছু সার কথা।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিস্তার এবং ব্যবহার:
ডিজিটাল মার্কেটিং খুব অল্প দুটি শব্দ হলেও এর ক্ষেত্র অনেক ব্যাপক। ডিজিটাল মার্কেটিং এর কিছু ক্ষেত্র সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক:-
1.Search Engine Optimization (SEO)
2. Search Engine Marketing (SEM)
3. Mobile Marketing
4. Social Media Marketing
5. Email Marketing
6. Digital Display Marketing
7.Affliate Marketing
8. Cost Per Action Marketing (CPA Marketing)
9.Content Marketing
এগুলো ছাড়াও ডিজিটাল digital মার্কেটিং এর আরো বেশ কিছু ক্ষেত্র রয়েছে। সত্য বলতে ডিজিটাল মার্কেটিং আসলে একক কোনো একটি বিষয় নয়। এর নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু ক্ষেত্র রয়েছে এবং প্রতিটি ক্ষেত্রই অনেক ব্যাপক। তাই এগুলো এক একটি বিষয় নিয়ে আলাদা ভাবে বিস্তারিত জানতে হবে। আর এই সবগুলো ক্ষেত্রের মিলিত রূপই হলো “ডিজিটাল digital মার্কেটিং “।
ডিজিটাল digital মার্কেটিং এর ক্ষেত্রগুলো নিয়ে সার কথাগুলি আলোচনা করা যাক:
1. Search Engine Optimization :
এই digital মার্কেটিং ক্ষেত্রকে সংক্ষেপে ‘SEO Marketing’ বলা হয়ে থাকে। Search Engine Optimization হলো এর মাধ্যমে কোনো website এর “Key Word” কে নির্দিষ্ট সার্চ ইঞ্জিন এ ‘Rank’ করানো হয়। ধরুন, আপনি গুগলে কোনো একটি বিষয় নিয়ে সার্চ করলেন । এখন আপনি নিশ্চয়ই লক্ষ্য করে থাকবেন যে সার্চ করার জন্য সম্পূর্ণ টাইপ করার আগেই গুগল থেকে আপনাকে বেশ কিছু প্রসঙ্গত বিষয়ে তুলে ধরা হয়। এবং অনেকাংশেই দেখা যায় আপনি সম্পূর্ণ টাইপ করার পূর্বেই আপনার নির্ধারিত টপিকটি আপনি পেয়ে যান। এবং সার্চ করার পর অনেকগুলো সাইট থেকেই আপনি রিভিউ দেখতে পারবেন । এর মাঝে সময় বাঁচানোর উদ্দেশ্যে আপনি নিশ্চয়ই যে রিভিউটি প্রথমে দেখাবে সেটিটেই ক্লিক করবেন। মূলত এইযে রিভিউ গুলির একটি ‘Serial’ বা ‘Ranking’ – এই কাজটিই করা হয় SEO Marketing বা Search Engine Optimization এর সহায়তায়। আর এর বিস্তৃতিই হলো ‘SEO Marketing’.
2.Search Engine Marketing (SEM):
Search Engine Marketing হলো এক ধরণের ‘Business Forum’ যেখানে মূল কাজ হলো ইন্টারনেট এর সহায়তায় কোনো একটি Website কে সার্চ ইঞ্জিন এ তার ‘Visibility’ বাড়ানোর মাধ্যমে উন্নয়ন ঘটানো। মূলত এখানে সেই website থেকে কিছু ‘Paid’ অ্যাডভারটাইজমেন্ট দেখানো হয়। এবং এই সম্পূর্ণ ক্ষেত্রটি হলো Searh Engine Marketing।
Facebook ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় 100% নিশ্চিত উপায়
3. Mobile Marketing:
Mobile Marketing একটি মালটি চ্যানেল digital মার্কেটিং প্লাটফর্ম যেটির উদ্দেশ্য হলো ‘Audience’ এর স্মার্টফোন এর নিকট পৌঁছে তাদেরকে বিভিন্ন ফোন, ট্যাবলেট কিংবা অন্যান্য ডিভাইসের ফিচার এর প্রচারণা। এটি করা হয় মূলত SMS, MMS , Mobile Application কিংবা ওয়েবসাইট দ্বারা ।
4. Social Media Marketing (SMM):
বর্তমানে এটি একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় digital মার্কেটিং প্লাটফর্ম । কেননা আমাদের সকলেই প্রতিনিয়তই স্যোশাল মিডিয়া তে সব সময় সঙ্গত থাকি। আর তাই Social Media Marketing অনেকেরই পছন্দসই প্লাটফর্ম । মূলত বিভিন্ন Social Media তে কোনো প্রোডাক্ট এর প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে digital মার্কেটিং করাই হলো ‘Social Media Marketing’।
5. Email Marketing:
ইমেইল এর সাহায্যে যখন কিছু সাংখ্যিক কাস্টমারকে কমার্সিয়াল মেসেজ দেয়া হয় সেটাই মূলত Email Marketing । ধরুন আপনি একজন কাস্টমার এর সাথে কাজ করছেন। সে সময়ে তার নিকট আপনি কমার্সিয়াল উদ্দেশ্যে যে কোনো মেসেজ তাকে পাঠালেই সেটি ইমেইল digital মার্কেটিং হিসেবে গণ্য হবে। এবং স্বাভাবিক ভাবেই এর উদ্দেশ্য হলো অ্যাডভারটাইজ এবং বিজনেস এর জন্য আবেদন।
6. Digital Display Marketing:
ইন্টারনেট এর সহায়তা নিয়ে যখন বিভিন্ন ওয়েবসাইট, অ্যাপস্ কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া তে ব্যানার, টেক্সট, ইমেইজেস, ফ্লাশ, ভিডিও অথবা অডিও এর মাধ্যমে গ্রাফিক অ্যাডভারটাইজ করাকে বলা হয় Digital Display Marketing । এর মূল উদ্দেশ্য হলো সাইট ভিজিটরদের নিকট কিছু ব্রান্ড মেসেজ এবং জেনারেল অ্যাডভারটাইজ প্রচার করা। তবে যেহেতু এক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির আশ্রয়ে কাজ করা হয় তাই এই ক্ষেত্রটি বেশ ব্যয়বহুল।
7. Affliate Marketing:
অন্য কোনো ক্লায়েন্ট এর প্রোডাক্ট প্রচারের মাধ্যমে তা সেল করার পর সেই ক্লায়েন্ট এর নিকট থেকে কমিশনের কিছু অংশের শেয়ার পাওয়ার মাধ্যমে যে মার্কেটিং বিজনেস করা হয় তাই-ই হলো Affliate Marketing। উদাহরণ স্বরূপ – ধরুন আপনি আপনার প্রোডাক্ট একজনকে দিলেন যেন সে আপনার প্রোডাক্ট এর যথাযথ প্রচার করিয়ে সেল করে। এবং সেটার যে সম্পূর্ণ কমিশন আপনি পাবেন তার কিছু অংশ সেই ক্লায়েন্ট এর সাথে শেয়ার করলেন। এক্ষেত্রে সেই ক্লায়েন্ট যে কমিশন পেল এটিই তার জন্য একটি Affliate Marketing ।
8. Cost Per Action Marketing :
CPA Marketing মূলত Affliate Marketing এর একটি ‘Style’ মাত্র। কিন্তু পার্থক্য হলো Affliate Marketing এ আপনি কাস্টমার রেজিস্ট্রার করানোর পর যদি তারা প্রোডাক্ট নিতে যদি সম্মতি না দেয় তাহলে আপনি কোনো কমিশন পাবেন না। আপনি তখনই কমিশন পাবেন যখন আপনি কাস্টমারের কাছে আপনার ক্লায়েন্ট এর প্রোডাক্ট সেল করাতে পারবেন। অন্যদিকে CPA Marketing এ আপনার প্রোডাক্ট সেল না হলেও সমস্যা নেই। এক্ষেত্রে আপনাকে শুধু আপনার Affliate এ কাস্টমারকে রেজিস্ট্রার করাতে হবে। আর রেজিস্ট্রার করালেই আপনি আপনার কমিশন পেয়ে যাবেন। যেহেতু এখানে প্রোডাক্ট সেল না করালেও কমিশন পাওয়া সম্ভব, তাই অনেকেই এই digital মার্কেটিং এর প্রতি বেশ উৎসুক।
9. Content Marketing:
Content Marketing হলো এমন একটি ক্ষেত্র যেটি কিছু সৃজনশীল সৃষ্টি এবং অনলাইন বিষয়বস্তু যেমন ভিডিও, ব্লগ এবং সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট এর মাধ্যমে কাজ করে থাকে। মূলত এটি কোনো একটি কন্টেন্ট কে কেন্দ্র করে রেলিভেন্ট, সৃজনশীল এবং জ্ঞান বিষয়ক তথ্য প্রদান করে যা কিছু লেখনীর মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। তবে এটি কোনো ব্রান্ড এর প্রচার করে না কিন্তু কোনো প্রডাক্ট বা সার্ভিস এর প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করে। বর্তমানে এটি ডিজিটাল digital মার্কেটিং এ একটি অনন্য জায়গা দখল করে রয়েছে।
ডিজিটাল digital মার্কেটিং একটি ব্যাপক বিস্তৃতি । এগুলো মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রধান ক্ষেত্র সমূহ। তবে এগুলো ছাড়াও ডিজিটাল digital মার্কেটিং এর আরো বেশ কিছু ক্ষেত্র রয়েছে।
অনেকেই ডিজিটাল digital মার্কেটিং এর সাথে পরিচিত হওয়া সত্ত্বেও কীভাবে এক্ষেত্রে সফল হওয়া যায় তা নিয়ে দ্বিধা দ্বন্দ্বে পড়েন। ডিজিটাল digital মার্কেটিং এ কীভাবে পারদর্শী হওয়া যায় তার কিছু উপায় সমূহ জেনে নেয়া উচিত । যেমন-
1. আপনার website কে নিয়মিত আপডেটেড রাখুন এবং আপডেটেড ও ইফেকটিভ কন্টেন্ট যোগ করুন।
2. আপনার website এ কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স এর ব্যবস্থা রাখুন।
3. লোকাল SEO এর অ্যাডভান্টেইজ নিয়ে website কে ডেভেলপ করুন।
4. Google এ একটি ‘My Business’ প্রোফাইল রাখুন।
5. একটি ‘Online Reputation Management ‘ তৈরি করুন।
6. SEO এবং SEM এর সুবিধা নিয়ে এর সঠিক ব্যবহার করুন।
7. একটি শক্তিশালী এবং সার্বক্ষণিক ‘Call to action’ নিয়ন্ত্রণ করুন।
8. Online এ আপনার পারফরম্যান্স কে ট্র্যাক করুন এবং আপগ্রেড করুন।
9. কোনো কিছু করার পূর্বে একটি নিজস্ব ম্যাপ আউট করুন।
A9 Mini Wireless WIFI Camera, A9 মিনি ওয়্যারলেস ওয়াইফাই ক্যামেরা
ডিজিটাল digital মার্কেটিং একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় প্লাটফর্ম । বর্তমানে অনেকেই এই প্লাটফর্ম কে নিজেদের পেশাইসেবে বেছে নিচ্ছে । তাই দেরি না করে নিজের স্কিল ডেভেলপ করে আপনিও এই প্লাটফর্ম এর সদস্য হয়ে যান। নিশ্চয়ই সাফল্য আপনার ঘরেই কড়া নাড়ছে!
1 thought on “ডিজিটাল digital মার্কেটিং কি ? এবং কেন প্রয়োজন ?”