
Ramadan রমজানের কিছু সহজ আমল রমজান মাস অত্যন্ত বরকত পূর্ণ। এই মাসের আমলে আল্লাহ তাআলা দিগুণ সওয়াব দান করেন। পবিত্র এই মাসে সাহরি, ইফতার ও তারাবিসহ কিছু বিশেষ আমল রয়েছে। তবে এসব ছাড়াও আরও প্রচুর আমল রয়েছে, যেগুলো বছরের অন্য সময়ের মতো Ramadan রমজানেও করা যায়; এতে বিপুল সওয়াব অর্জিত হয়।
ঘরোয়া ও ব্যক্তিগতভাবে যে কেউ স্বাভাবিকভাবেই এসব ইবাদত করতে পারেন। আল্লাহ নৈকট্য লাভে বহু দূর এগিয়ে যেতে পারেন। ফলে Ramadan রমজানের আমল নিয়ে খুব বেশি উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই। বরং স্বাভাবিক থাকুন ও সচরাচর আমলগুলোর পাশাপাশি সম্ভব হলে আরও কিছু আমল যোগ করতে পারেন। তবে স্বাভাবিক যেসব আমল করতে পারেন, সেগুলোর কিছু এখানে উল্লেখ করা হলো।
১. শারীরিকভাবে পবিত্র থাকুন অজুসহ।
২. জামাতের সাথে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ এবং তারাবি ও তাহাজ্জুদ আদায় করুন।
২. রোজা রাখুন ঈমান ও আশার সঙ্গে।
৩. সব প্রকার গুনাহমুক্ত থাকুন, বিশেষ করে চোখের হিফাজত করুন।
৪. জিকির, দরুদ, ইস্তেগফার ও প্রচুর পরিমাণে দোয়া করুন।
৫. কিছু সময় কোরআন তিলাওয়াত করুন, তাফসির পড়ুন ও মর্মোপলব্ধি করুন।
৬. যতটুকু সম্ভব দান-সদকা করুন।
৭. পরিবার ও অধীনস্তদের দায়িত্ব কমিয়ে দিন— যাতে তারা বেশি করে ইবাদাতে সময় দিতে পারে।
৮. কিছু সময় দাওয়াতি কাজ করুন। মানুষকে দ্বীনের পথে ডাকুন।
৯. দুয়েক দিনের ভেতর বাজারের সব কাজ শেষ করুন। ঈদসামগ্রীসহ ও অন্যান্য কেনাকাটা সম্ভব হলে আগেই করে রাখুন। যেন Ramadan রমজানে খুব কম সময় বাজারে গেলেও চলে।
১০. ইতিকাফের নিয়ত করুন।
১১. হালাল রুজিতেও সময় দিন।
Ramadan রমজান মাসে যে আমল গুলো করবেন
উল্লিখিত আমলগুলোর কথা নতুন দ্বীনে ফেরা ও সাধারণ দ্বীনদার ভাই-বোনদের জন্য। কেউ এরচেয়ে বেশি কিছু করতে পারলে আলহামদুলিল্লাহ। অনেক সময় এমন হয় যে, অনেক কিছু করব বলে কিছুই করা হয় না। শেষে দেখা যায়, সব পরিকল্পনা পরিকল্পাতে রয়ে গেছে; আর আদায় করা হয়নি।
তাই Ramadan রমজান মাস সহজভাবে নিয়ে ছোট ছোট কাজগুলো করার চেষ্টা করুন। পাশাপাশি অন্যান্য আমলেও মনোনিবেশ করতে পারলে Ramadan রমজান সার্থক হবে ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দিন, আমিন।
Ramadan রমজান রহমাত, বরকত ও নাজাতের মাস। এই মাস আল্লাহ তাআলা এক বিশেষ অনুকম্পা ও নিয়ামাত। অধিক পরিমাণে আমলের মাধ্যমে বিপুল সওয়াব অর্জন ও নেকি লাভের মৌসুম। এ মাসেই পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে।
আল-কোরআনে এসেছে, ‘রমজান মাস, যার মধ্যে কোরআন নাজিল করা হয়েছে— লোকদের পথ প্রদর্শক এবং হিদায়াতের সুস্পষ্ট বর্ণনারূপে এবং সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারীরূপে।’ (সুরা আল-বাকারাহ, আয়াত : ১৮৫)
Ramadan রমজান মাসের ফজিলত সম্পর্কে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘রমজান- বরকতময় মাস তোমাদের দুয়ারে উপস্থিত হয়েছে। পুরো মাস রোযা পালন আল্লাহ তোমাদের জন্য ফরয করেছেন। এ মাসে জান্নাতের দরজা উন্মুক্ত করে দেয়া হয়, বন্ধ করে দেয়া হয় জাহান্নামের দরজাগুলো। দুষ্ট শয়তানদের এ মাসে শৃংখলাবদ্ধ করে দেয়া হয়। এ মাসে আল্লাহ কর্তৃক একটি রাত প্রদত্ত হয়েছে, যা হাজার মাস থেকে উত্তম। যে এর কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হলো, সে (মহা কল্যাণ থেকে) বঞ্চিত হলো।’ (সুনান আত-তিরমিজি, হাদিস : ৬৮৩)
এ মাসে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল রয়েছে, যেগুলো পালন করার মাধ্যমে আমরা জান্নাতে যেতে পারি, জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেতে পারি। এখানে Ramadan রমজান মাসের আমল সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। তবে এ আমলগুলো করার জন্য শর্ত হলো দুইটি :
ইখলাস-নিষ্ঠার উপস্থিতি
একনিষ্ঠতার সঙ্গে কেবল আল্লাহ তাআলার জন্যে আমল করা। সুতরাং যে আমল হবে টাকা উপার্জনের জন্য, নেতৃত্ব অর্জনের জন্য ও সুনাম-খ্যাতি অর্জনের জন্য— সে আমলে ইখলাস থাকবে না। অর্থাৎ এসব ইবাদাত বা নেক আমলের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জিত হবে না; বরং তা ছোট শিরকে রূপান্তরিত হতে পারে।
পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আর তাদের কেবল এই নির্দেশ দেয়া হয়েছিল যে, তারা যেন আল্লাহর ইবাদত করে— তারই জন্য দ্বীনকে একনিষ্ঠ করে।’ (সুরা আল-বাইয়িনাহ, আয়াত : ০৫)
Ramadan ইবাদতের ক্ষেত্রে রাসুল (সা.)-এর অনুসরণ
সহি ও বিশুদ্ধভাবে আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর যেসব ইবাদতের কথা উল্লেখ আছে— সেগুলো পরিপূর্ণভাবে অনুসরণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো বাড়ানো বা কমানোর সুযোগ নেই। কারণ, ইবাদত হচ্ছে— যা আল্লাহর রাসুল (সা.) শিখিয়ে দিয়েছেন। কোরআনে এসেছে, ‘রাসুল তোমাদের জন্য যা নিয়ে এসেছেন, তা তোমরা গ্রহণ করো; আর যা থেকে সে তোমাদের নিষেধ করেছেন, তা থেকে বিরত হও।’ (সুরা হাশর, আয়াত : ০৭)
এ বিষয়ে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে এমন ইবাদত করল— যাতে আমাদের কোনো নির্দেশনা নেই; তা পরিত্যাজ্য হিসাবে গণ্য হবে।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৪৫৯০)
Ramadan রমজান মাসের গুরুত্বপূর্ণ আমলগুলো হলো-
রোজা Rosa অবস্থায় চুল অথবা হাতের নখ কাটা যাবে কী ?
সিয়াম পালন করা
ইসলামের পাঁচটি রুকনের একটি রুকন হলো সিয়াম। আর Ramadan রমজান মাসে সিয়াম পালন করা ফরজ। সেজন্য Ramadan রমজান মাসের প্রধান আমল হলো সুন্নাহ মোতাবেক সিয়াম পালন করা। মহান আল্লাহ বলেন, ‘সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে এই মাসটিতে উপস্থিত হবে, সে যেন তাতে সিয়াম পালন করে।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৫)
সিয়াম পালনের ফজিলত সম্পর্কে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ইখলাস নিয়ে অর্থাৎ একনিষ্ঠভাবে আল্লাহকে সন্তুষ্টি করার জন্য রমাদানে সিয়াম পালন করবে, তার অতীতের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।’ (সহিহ বুখারি : ২০১৪)
আরেক হাদিসে বলা হয়েছে, ‘যে কেউ আল্লাহর রাস্তায় (অর্থাৎ শুধুমাত্র আল্লাহকে খুশী করার জন্য) একদিন সিয়াম পালন করবে, তার দ্বারা আল্লাহ তাকে জাহান্নামের অগ্নি থেকে সত্তর বছরের রাস্তা পরিমাণ দূরবর্তীস্থানে রাখবেন।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৭৬৭)