
বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান ও বিস্তৃতির কারণে বিভিন্ন জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়ে কিছু পার্থক্য দেখা যায়। এই পার্থক্য সাধারণত পূর্ব থেকে পশ্চিম ও উত্তর থেকে দক্ষিণে অবস্থানের ভিত্তিতে হয়ে থাকে। (Ramadan )
সঠিক সময়ে সেহরি ও ইফতার পালন রোজাদারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তাই প্রতিটি জেলার মুসলমানদের উচিত তাদের নিজ নিজ এলাকার সময়সূচি অনুসরণ করা।
সেহরি ও ইফতারের সময় নির্ধারণের ভিত্তি Ramadan
ইসলামে সেহরি ও ইফতারের সময় নির্ধারণ করা হয় যথাক্রমে সুবহে সাদিক (ভোরের প্রথম আলো) ও সূর্যাস্তের ভিত্তিতে। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময়ে পার্থক্য থাকার কারণে সেহরি ও ইফতারের সময়েও পার্থক্য দেখা যায়।
বিভিন্ন জেলার সময় পার্থক্য
ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ সাধারণত ঢাকাকে কেন্দ্র করে সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি প্রকাশ করে। দেশের অন্যান্য জেলার জন্য এই সময়ের সঙ্গে সর্বোচ্চ ৯ মিনিট পর্যন্ত যোগ বা বিয়োগ করে সময় নির্ধারণ করা হয়। এটি নির্ভর করে জেলার ভৌগোলিক অবস্থানের উপর।
উদাহরণস্বরূপ সময় পার্থক্য Ramadan
- ঢাকা: প্রথম রোজায় সেহরির শেষ সময় ৪:২৭ মিনিট, ইফতার ৬:১৯ মিনিটে।
- ঠাকুরগাঁও: একই দিনে সেহরির শেষ সময় ৪:৩২ মিনিট, ইফতার ৬:২৮ মিনিটে।
এখানে দেখা যায়, ঢাকার তুলনায় ঠাকুরগাঁওয়ে সেহরি ও ইফতারের সময়ে কিছু পার্থক্য রয়েছে।
সময় পার্থক্যের কারণ
বাংলাদেশের পূর্ব-পশ্চিম বিস্তৃতি প্রায় ৮৮০ কিলোমিটার। পৃথিবীর ঘূর্ণন ও সূর্যের অবস্থানের কারণে পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তের মধ্যে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময়ে পার্থক্য হয়। পূর্ব দিকে সূর্য আগে ওঠে ও আগে অস্ত যায়, ফলে পূর্বাঞ্চলে সেহরি ও ইফতার সময় কিছুটা আগে হয়। পশ্চিমাঞ্চলে এটি কিছুটা পরে হয়।
সঠিক সময় অনুসরণের গুরুত্ব Ramadan
সঠিক সময়ে সেহরি ও ইফতার পালন রোজার শুদ্ধতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রতিটি জেলার মুসলমানদের উচিত তাদের নিজ নিজ এলাকার সময়সূচি অনুসরণ করা। এতে রোজার বিধান সঠিকভাবে পালন করা সম্ভব হবে।
উপসংহার Ramadan
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়ে পার্থক্য থাকা স্বাভাবিক। এটি ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে হয়ে থাকে। প্রতিটি মুসলমানের উচিত তাদের নিজ এলাকার সময়সূচি অনুসরণ করে সঠিক সময়ে সেহরি ও ইফতার করা, যাতে রোজার বিধান সঠিকভাবে পালন করা যায়।