
Ramadan মাসে সেহরি ও ইফতার করার সময় শরীরের যত্ন নিতে কিছু সাধারণ ভুল এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। এই আর্টিকেলে সেহরি ও ইফতারে ভুলগুলো সম্পর্কে জানুন এবং সেগুলো কীভাবে এড়ানো যায়।
নিত্য নতুন ইনকামের নিউজ পেতে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জয়েন হতে পারেন Link |
১. সেহরি ও ইফতার: রোজার মূল অংশ
Ramadan মাসে সেহরি ও ইফতার দুটি গুরুত্বপূর্ণ সময়, যেগুলির মাধ্যমে মুসলিমরা দিনের রোজা পালন করেন। সেহরি হলো দিন শুরু করার আগে খাবার গ্রহণ, এবং ইফতার হলো সূর্যাস্তের পর খাবার গ্রহণ। কিন্তু এই সময়গুলোতে কিছু সাধারণ ভুল হয়ে থাকে, যা রোজাদারের শরীরের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
২. সেহরির সময় ভুল খাবার খাওয়া
সেহরি হলো রোজার শুরু আগের খাবার, তাই এটি এমনভাবে খেতে হবে যা সারাদিন শক্তি দেবে। সেহরির সময় কিছু ভুল খাবার গ্রহণের ফলে তৃষ্ণা এবং ক্লান্তি বেড়ে যেতে পারে। যেমন:
- খুব বেশি তেল বা মিষ্টি খাবার খাওয়া: সেহরিতে বেশি মিষ্টি বা তেলযুক্ত খাবার খেলে তা দ্রুত হজম হয়ে যায় এবং শরীর দ্রুত ক্ষুধার্ত হয়। এর ফলে সারাদিন তৃষ্ণা ও ক্ষুধার অনুভূতি হতে পারে।
- খুব বেশি কফি বা চা পান করা: কফি বা চা শরীর থেকে পানি বের করে দেয়, যার ফলে শরীরে পানি শূন্যতা হতে পারে, বিশেষত দিনের বেলা। সেহরিতে কফি বা চা খাওয়ার চেয়ে বেশি পানি ও পানি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত।
৩. সঠিক পরিমাণে পানি গ্রহণ না করা
সেহরিতে পর্যাপ্ত পানি না খাওয়া খুবই বিপজ্জনক হতে পারে। সারাদিন রোজা রাখার আগে শরীরকে সুস্থ ও সজীব রাখার জন্য পানি গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেহরিতে পর্যাপ্ত পানি খেলে তৃষ্ণার পরিমাণ কম হয় এবং শরীরের হাইড্রেশন বজায় থাকে। তাই, সেহরিতে কমপক্ষে ২-৩ গ্লাস পানি পান করুন।
৪. ইফতার করার সময় ভুল খাবারের নির্বাচন
ইফতার হলো রোজা ভাঙ্গার সময়, আর এই সময়েই সবার মনোযোগ থাকে খাবারের দিকে। তবে ইফতারেও কিছু ভুল খাবার খাওয়া হয়ে থাকে, যা রোজাদারের স্বাস্থ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে:
- খুব বেশি ভাজাপোড়া খাবার খাওয়া: ইফতারে অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাবার খাওয়া শরীরের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। এটি হজমের সমস্যাও তৈরি করতে পারে, যেমন অম্বল বা গ্যাসের সমস্যা।
- খুব বেশি মিষ্টি খাবার খাওয়া: ইফতারে অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার খাওয়া শরীরের শর্করা মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে দিতে পারে, যা স্বাস্থ্যগত সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। স্বাস্থ্যের জন্য ফল, শাকসবজি, এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার বেশি উপকারী।
৫. ইফতার শেষে দ্রুত খাবার খাওয়া
অনেকেই রোজা ভাঙ্গার পর দ্রুত অনেক খাবার খেয়ে ফেলেন। এটি শরীরের জন্য ভালো নয়। দ্রুত খাবার খেলে পেটের অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়, যা পরবর্তীতে হজমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। ইফতার করার সময় ধীরস্থিরভাবে খাবার খাওয়া উচিত এবং একবারে বেশি খাবার খাওয়ার পরিবর্তে অল্প পরিমাণে খাওয়া উচিত।
৬. অতিরিক্ত মিষ্টান্ন খাওয়া
রমজান Ramadan মাসে মিষ্টান্নের প্রতি আকর্ষণ অনেকেরই থাকে। তবে অতিরিক্ত মিষ্টান্ন খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর। ইফতার বা সেহরিতে খুব বেশি মিষ্টান্ন খাওয়া বিশেষ করে শর্করা ও ক্যালোরির অতিরিক্ত গ্রহণ ঘটায়। এটি মোটা হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায় এবং ব্লাড সুগারের সমস্যা তৈরি করতে পারে।
৭. শরীরের স্বাস্থ্য খেয়াল না রাখা
এছাড়া, রোজা রাখার সময় শরীরের স্বাস্থ্য খেয়াল রাখা উচিত। রোজা রাখার কারণে যদি শরীর দুর্বল হয়ে যায়, তবে প্রয়োজনীয় পুষ্টি না পাওয়ার কারণে শরীরের কার্যক্ষমতা কমে যেতে পারে। এজন্য, সেহরি ও ইফতারে সঠিক পুষ্টির সমন্বয় করা উচিত, যাতে সারাদিন শক্তি পাওয়া যায়।
৮. রাতের ঘুমের সময়ের ভুল
রমজান Ramadan মাসে অনেকেই সেহরি ও ইফতারের পর যথাযথ ঘুমের সময় পান না। সেহরি খাওয়ার পর সঠিকভাবে বিশ্রাম না নেয়া শরীরের দুর্বলতা বাড়িয়ে দেয়। বিশেষত রাত্রে পর্যাপ্ত ঘুম না হলে পরবর্তী দিনে ক্লান্তি বেড়ে যায় এবং কর্মক্ষমতা কমে যেতে পারে। তাই রোজার সময় দিনে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত।
৯. নিয়মিত শরীরচর্চা না করা
রমজান মাসে অনেকেই নিয়মিত শরীরচর্চা বাদ দিয়ে দেন, যেটি শরীরের জন্য ভাল নয়। সেহরি ও ইফতার পরবর্তী সময়ে হালকা শরীরচর্চা যেমন হাঁটা বা যোগব্যায়াম শরীরকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে। তবে ভারী শারীরিক পরিশ্রমের থেকে বিরত থাকা উচিত।
১০. সেহরি ও ইফতারে সময়ের প্রতি লক্ষ্য রাখা
রমজান Ramadan মাসে সেহরি ও ইফতার করা সময়সূচি গুরুত্বপূর্ণ। সেহরি খাওয়ার সময়টা খুব শেষ মুহূর্তে না রেখে একটু আগে খাওয়া উচিত, যাতে খাবার হজম হয়ে যায়। ইফতারও সময়মতো করা উচিত, যাতে শরীর কোনো ক্ষতির সম্মুখীন না হয়।