
বাড়িতে বসেই ইন্টারনেট এর মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে চান? তাহলে নিশ্চয় Freelancing শব্দটি আপনার কাছে পরিচিত। Freelancing এর খুঁটিনাটি তথ্য আজকের ব্লগে পাবেন।
Freelancing সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য জানতে চান? যদি হ্যাঁ, তাহলে এই নিবন্ধে আপনাকে সম্পূর্ণ তথ্য দিতে যাচ্ছি যেমন ফ্রিল্যান্সিং কি? ফ্রিল্যান্সিং থেকে কিভাবে টাকা উপার্জন সম্ভব,তাহলে আসুন এই ধরনের আরও প্রশ্নের উত্তর জেনে নেই।
আপনাদের অবগতির জন্য বলে রাখি, ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি প্লাটফর্ম যার মাধ্যমে আপনি অনেক টাকা আয় করতে পারেন, যদি আপনি এটি সঠিকভাবে করেন, তাহলে আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হবেন, আপনার প্রয়োজন শুধু অনেক তথ্য।
এই আর্টিকেল এর বিষয় বস্তু সমূহ
|
Freelancing কি ?
ফ্রিল্যান্সিং হল এক ধরনের স্ব-কর্মসংস্থান, যেখানে ব্যক্তিরা কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য কাজ না করে নিজের জন্য কাজ করে। ফ্রিল্যান্সাররা সাধারণত একক নিয়োগকর্তার স্থায়ী কর্মচারী হিসাবে কাজ করার পরিবর্তে একটি প্রকল্প বা চুক্তির ভিত্তিতে একাধিক ক্লায়েন্টকে তাদের পরিষেবা দেয়।
ফ্রিল্যান্সিংয়ে লেখা, গ্রাফিক ডিজাইন, প্রোগ্রামিং, পরামর্শ এবং আরও অনেক কিছু সহ বিভিন্ন পেশা এবং শিল্প অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
সারা বিশ্বের লোক নিজেদের প্রয়োজন মতন ফ্রিল্যান্সার নিয়োগ করে, এর ফলে আপনার কাজ পাওয়ার সুযোগ অনেকটাই বেড়ে যায়। মনেরাখবেন আপনি যত ভালোভাবে সার্ভিসগুলি প্রোভাইড করবেন তার ওপর আপনার রেটিং বা জনপ্রিয়তা নির্ভর করবে। রেটিং ভালো থাকলে আপনি অনেক কাজ পাবেন এবং টাকাও বেশি পাবেন।
ফিল্যান্সিং করতে কি কি প্রয়োজন?
ফ্রিল্যান্সিং করতে কি কি প্রয়োজন – এটা নিয়ে তর্কের শেষ নেই। অনেকেই বলেন যে, আপনার যদি কোনো কাজে দক্ষতা থাকে এবং সেটি আপনি সম্পন্ন করতে সক্ষম হন, তবে ফোনেও ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব। তবে মোবাইল ফোনে ফ্রিল্যান্সিং এর ব্যাপারিটি নির্ভর করে কি ধরনের কাজের কথা বলা হচ্ছে তার উপর।
বর্তমানে কমবেশি বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিছু সাধারণ উপাদান প্রয়োজন হয়। ফ্রিল্যান্সিং করতে যা যা লাগেঃ
- কম্পিউটার বা ল্যাপটপ
- স্মার্টফোন
- ইন্টারনেট কানেকশন বা মডেম
- কাজের দক্ষতা
- কাজে লাগানোর মত সময়
Best Stainless Steel Hotpot QQ Lunch Box 1200m
একজন Freelancer কি?
একজন Freelancer হলেন একজন ব্যক্তি যিনি প্রতি-কাজ বা প্রতি-টাস্কের ভিত্তিতে অর্থ উপার্জন করেন, সাধারণত একজন স্বাধীন ঠিকাদার হিসেবে স্বল্পমেয়াদী কাজের জন্য।
একজন ফ্রিল্যান্সার একটি ফার্মের একজন কর্মচারী নয় এবং তাই বিভিন্ন ব্যক্তি বা সংস্থার দ্বারা একই সাথে বিভিন্ন কাজ সম্পন্ন করার স্বাধীনতা থাকতে পারে যদি না চুক্তিবদ্ধভাবে একটি নির্দিষ্ট প্রকল্প সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত একচেটিয়াভাবে কাজ করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়।
Freelancing করার সুবিধা
ফ্রিল্যান্সিংয়ের অনেক সুবিধা রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:–
- Flexibility: ফ্রিল্যান্সারদের তাদের নিজস্ব সময়সূচী সেট করার এবং আগ্রহের প্রকল্পগুলিতে কাজ করার ক্ষমতা রয়েছে।
- আয়ের উপর নিয়ন্ত্রণ: Freelancer দেরপ্রথাগত কর্মচারীর চেয়ে বেশি অর্থ উপার্জন করার সম্ভাবনা রয়েছে, কারণ তারা তাদের পরিষেবার জন্য উচ্চ হারে চার্জ নিতে পারে এবং একসাথে একাধিক ক্লায়েন্টের সাথেও করতে পারে।
- বিভিন্ন ধরণের কাজ: Freelancing-এ ব্যাক্তিরা বিভিন্ন ধরণের প্রকল্পে কাজকরতে পারে, যা তাদের আরও বেশি কাজের সন্তুষ্টি এবং কৃতিত্বের অনুভূতির দিকে নিয়ে যেতে পারে।
- কাজের স্বাধীনতা:Freelancing-এ Freelancer রা তাদের নিজস্ব বস হতে পারে, যা তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিতে এবং তাদের কর্মজীবনের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে দেয়।
- বিভিন্ন কাজের দক্ষতা:Freelancing ব্যক্তিদের নতুন দক্ষতা বিকাশ এবং মূল্যবান অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ দেয়।
- ট্যাক্স ডিডাকশন: freelancer রা তাদের ট্যাক্স থেকে কিছু ব্যবসায়িক খরচ কমাতে পারে, যা তাদের সামগ্রিক ট্যাক্স কমাতে সাহায্য করতে পারে।
- অবস্থানের স্বাধীনতা: Freelancer বিশ্বের যেকোন জায়গা থেকে কাজ করতে পারে, যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের কাছে ইন্টারনেট অ্যাক্সেস থাকে।
- নেটওয়ার্কিং: Freelancing অন্যান্য পেশাদারদের সাথে নেটওয়ার্ক করার সুযোগ দেয়, যা নতুন ক্লায়েন্ট এবং কাজের সুযোগের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
- বাড়িতে বসে ইনকাম এর সুযোগ : বাড়িতে বসেই আপনি আপনার নিজের ইচ্ছেমতো নিজের সময় মতো বাড়ির সব কাজ সামলে ইনকাম করতে পারবেন।
- পড়ালেখার পাশাপাশি কাজের সুযোগ:এই পেশাটি আপনি চাইলে ফুল টাইমও (Full Time) নিতে পারেন আবার পার্ট টাইম (Part Time) হিসাবেও কাজ করতে পারেন। তাই ছাত্র থাকা অবস্থায়ও এই কাজ আপনি করতে পারবেন বিনা ঝামেলায়।
- নিজের মন মতো কাজের পরিবেশ:আপনি চাইলেই নিজের ইচ্ছা মতো ওয়ার্কস্টেশন (Workstation) বানিয়ে নিতে পারবেন কাজ করার জন্য। আপনার কাজের জায়গা আপনি নিজেই তৈরি করতে পারবেন।
- নিজের বেতন নিজে ঠিক করা:আপনার নিজের পেমেন্ট রেট (Payment Rate) আপনি নিজে বেছে নিতে পারবেন। প্রায় প্রত্যেকটা মার্কেটপ্লেসেই নিজের পেমেন্ট রেট উল্লেখ করার সুযোগ রয়েছে। আপনি যত বেতনে কাজ করতে চান সেটি অনুযায়ী কাজ পাবেন এখানে।
facebook ফেসবুক রিলস্ কি? রিলস্ থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করবো?
Freelancing-এ কি কি কাজ করতে হয় –
Freelancing-এ বিভিন্ন ধরণের কাজ হতে পারে, এটি নির্ভর করে কি বিষয়ে আপনার দক্ষতা আছে তার উপর। বর্তমান কালের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলির মধ্যে অন্যতম হলো –
- কন্টেন্ট রাইটিং(Content Writing)
- সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন(SEO)
- ভিডিও এডিটিং(Video Editing)
- ওয়েবসাইট ডেভলপমেন্ট(Web Development)
- গ্রাফিক ডিজাইনিং(Graphics Designing)
- Mobile App ডেভলপমেন্ট (Mobile App Development)
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং(Social Media Marketing)
- ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital Marketing)
কনটেন্ট রাইটিং (Content writting) কি ?
Content writting হল বিপণন, শিক্ষা এবং বিনোদন সহ বিভিন্ন উদ্দেশ্যে লিখিত সামগ্রী তৈরি এবং প্রকাশ করার প্রক্রিয়া। বিষয়বস্তু লেখকদের অবশ্যই বিষয়গুলি গবেষণা করতে, একটি পরিষ্কার এবং সংক্ষিপ্ত শৈলীতে লিখতে এবং ব্যাকরণ এবং বানান ত্রুটিগুলির জন্য তাদের কাজ সম্পাদনা করতে সক্ষম হতে হবে।
Content writting (কন্টেন্ট রাইটিং) হল ওয়েব কন্টেন্টের পরিকল্পনা, লেখা এবং সম্পাদনা করার প্রক্রিয়া, সাধারণত ডিজিটাল মার্কেটিং এর উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট শ্রোতাদের সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে। শ্রোতাদের চ্যালেঞ্জগুলি সমাধান করে, আপনি লক্ষ্য শ্রোতাদের জন্য মান এবং গুরুত্ব তৈরি করেন এভাবে বিশ্বাস স্থাপন করেন; একটি ব্র্যান্ড নির্মাণের একটি প্রয়োজনীয়তা।
এতে ব্লগ পোস্ট এবং নিবন্ধ লেখা, ভিডিও এবং পডকাস্টের স্ক্রিপ্ট, সেইসাথে নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্মের বিষয়বস্তু যেমন টুইটারে টুইটস্টর্ম বা Reddit-এ টেক্সট পোস্ট অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন(SEO) কি?
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (Search Engine Optimization) এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে যে কেউ সার্চ ইঞ্জিন ব্যাবহার করে একটি ওয়েব সাইটকে বিনামূল্যে সকলের কাছে পৌছে দিতে পারে।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (Search Engine Optimization) – কে সংক্ষেপে SEO এসইও বলে। ইন্টারনেটের ব্যবহার যত বাড়ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (Search Engine Optimization) বা এসইও এর জনপ্রিয়তা তত বাড়ছে।
অনেকে একে ফ্রিল্যান্সিং কাজ হিসেবে ব্যবহার করছেন। এছাড়া যারা ব্লগ পরিচালনা করছেন তাদের ব্লগের পরিচিতি বাড়ানোর প্রয়োজন তো আছেই। ইন্টারনেটে ব্যবসা বাণিজ্য করে টিকে থাকার জন্য এসইও (SEO) এর গুরুত্ব অপরিসীম।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের প্রধান প্রধান উদ্দেশ্য গুলোর মধ্যে রয়েছে-
- একটি সাইটকে সকলের কাছে সহজে পৌছে দেওয়া।
- ওয়েব সাইটের জন্য প্রিয়তা বৃদ্ধি করা।
- সাইটের ভিজিটর বা ট্রাফিক বৃদ্ধি করা।
- বিভিন্ন ধরনের অনলাইন থেকে আয় করার পণটাটফরম হিসেবে কাজ করে।
- তথ্য বিনিময় ও প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার শক্ত ভিত হিসেবে কাজ করে।
ভিডিও এডিটিং(vedio Editing) কি?
সাধারণভাবে ভিডিও এডিটিং বলতে ভিডিও কাট, ট্রিম ও ক্লিপসমূহকে সিকোয়েন্স আকারে সাজিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ ভিডিওতে রুপান্তরকে বুঝায়। এছাড়াও এনিমেশন, কালার গ্রেডিং, প্রি-প্রোডাকশন স্টোরিরাইটিং, ইত্যাদিও ভিডিও এডিটিং এর অন্তর্ভুক্ত।
মূলত রেকর্ডের পর একটি ভিডিওতে প্রাণ প্রদান করেন একজন ভিডিও এডিটর। ভিডিও এডিটিং এর সময় ভিডিওতে যেকোনো পরিবর্তন থেকে শুরু করে অডিও বা মিউজিক যুক্ত করা পর্যন্ত, সকল কাজ একজন ভিডিও এডিটর করে থাকেন।
Website Development(ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট) কি?
একটি ওয়েবসাইটের ভীতরের অংশের মাধ্যমে বা এ্যাডমিন প্যানেলের মাধ্যমে ওয়েবসাইটের বাহিরের অংশ তৈরির জন্য বা কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট করার জন্য ওয়েবসাইটের এ্যাডমিন প্যানেলকে ফ্যাংশনাল করার কাজই হচ্ছে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট।
অর্থাৎ একটি ওয়েবসাইট এর যাবতীয় ফাংশনাল কাজ করার জন্য যে কোড করা হয় তাকে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বলে। এ বিষয়টি আমি উদাহরনের মাধ্যমে আরো পরিষ্কার করছি।
গুগল ব্লগারে লগইন করার পর আপনার ব্লগের সেটিংস ও পোস্ট সহ অন্যান্য যে অপশন দেখতে পান সেগুলোই ওয়েব ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে করা হয়।
তাছাড়া আপনারা যারা Magone থিমটি ব্যবহার করছেন, তারা ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন যে, SneeitSpot এর মাধ্যমে ব্লগের ডিজাইনের বিভিন্ন পরিবর্তন করা যায়। এই পরিবর্তন করানোর যে অপশন আমরা দেখতে পাই, সেগুলোই ওয়েব ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে করা হয়।
গ্রাফিক্স ডিজাইনিং(Graphics Designing) কি?
গ্রাফিক্স ডিজাইন হল একটি আর্ট বা শিল্প।এখানে একজন শিল্পী কম্পিউটার সফ্টওয়্যার এর মাধ্যমে কল্পনা, তথ্য এবং গ্রাহকদের ধারণা গুলির সাথে যোগাযোগ করার জন্য, দৃশ্যমান ধারণা তৈরি করে।
গ্রাফিক্স শব্দটি জার্মান শব্দ থেকে এসেছে।এক কথায় চিত্র দ্বারা নকশা তৈরি করাকে গ্রাফিক্স ডিজাইন বলা হয়। এটি এমন একটি জনপ্রিয় এবং সৃজনশীল প্রক্রিয়া যেখানে আপনি নিজের ক্রিয়েটিভিটিকে প্রফেশনে বদলে দিতে পারেন।
নিজের আইডিয়া, কর্ম দক্ষতা এবং ইউনিক কিছু ডিজাইন,সহজ এবং সিক্রেট কিছু টিপস জানা থাকলেই আপনার পেশার মূল্যবোধকে আরো দ্বিগুণ করে দিতে পারবেন স্বল্প পরিশ্রমেই।
প্রতিটি কোম্পানিতে এখন ফটো এডিটিং, লোগো ডিজাইন, প্রোডাক্ট ডিজাইন, ওয়েবসাইটের ইউজার ইন্টারফেস ডিজাইন সহ আরো অনেক গ্রাফিকাল কাজ হয়ে থাকে, যেগুলো তাদের প্রফেশনাল দিক থেকে আরো বেশি প্রক্রিয়াশীল করে তুলছে।
সুতরাং প্রতিটি কর্মক্ষেত্রেই গ্রাফিক ডিজাইনার বিশেষ একটি “রোল মডেল” হিসেবে পরিচিত। সর্বোপরি বর্তমান মার্কেটপ্লেসে, ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মগুলোতে সবচেয়ে চাহিদা বহুল পেশা
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং(Social Media Marketing)
তার আগে জানবো সোশ্যাল মিডিয়া (social media) বলতে কি বুঝায়, সেটা তো আপনি অবশ্যই জানেন। আপনি প্রতদিন কম্পিউটার বা মোবাইলে ব্যবহার করা Facebook, Twitter, Instagram, YouTube এগুলো হলো জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম।
মনে রাখবেন, এই মাধ্যম গুলো ব্যবহার করে অনেক সহজে এবং কম সময়ে পণ্যের প্রচার বা মার্কেটিং করতে পারবেন। এখন, আপনার একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট রয়েছে বা আপনি একটি ব্যবসার মালিক যে নিজের প্রডাক্ট এর Promotion বা marketing করতে চান।
তাহালে সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম গুলোতে পেজ তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মাধ্যমে প্রডাক্ট বা সার্ভিসের মার্কেটিং করতে পারবেন এবং এতে আপনি অনেক সহজে কাস্টমার পেয়ে যাবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital Marketing) কি?
সহজ ভাষায়, ডিজিটাল মার্কেটিং হলো যোগাযোগ মাধ্যমের সকল প্রকার আধুনিক প্রযুক্তি, বিশেষ করে ইন্টারনেটের সুবিধা ব্যবহার করে কোনো পণ্য বা সেবার প্রচারণা চালানো।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেক ধরণ ও প্রকারভেদ রয়েছে এবং তা নির্ভর করে কোন ধরণের প্রচার এর জন্য এটি ব্যবহার করা হচ্ছে। উপরের কথা মতো যে কেবল ব্যবসার প্রসারের জন্যই মার্কেটিং করতে হয় তা কিন্তু না।
এছাড়াও আরো অনেক বিষয়ে ফ্রিল্যান্সিং-এর কাজ রয়েছে। এর মধ্যে থেকে আপনার পছন্দের যে কোনো বিষয়ে (যে বিষয়ে আপনার সবচেয়ে দক্ষতা রয়েছে ) আপনি ফ্রিল্যান্সিং করেত পারেন।
কিভাবে একজন Freelancer হতে পারি ?
ফ্রিল্যান্সিং-এ পারদর্শী হওয়ার জন্য উপরিউক্ত বিষয়গুলোর মধ্যে কোনো এক বা একাধিক বিষয়ে দক্ষতা থাকা চাই তাহলেই কোম্পানি গুলোতে ক্লায়েন্টরা আপনাকে কাজ দেবে। আপনার যদি এইসব বিষয়ে দক্ষতা না থাকে তাহেল আপনি অনলাইনে Google , You Tube থেকে শিখে আপনার পছন্দমতো বিষয়ে পারদর্শী হয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন।
বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সিং কাজ অনলাইনে হয়ে থাকে। তাই ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনার কাছে Computer or Smart Phone থাকলেই আপনি ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং-এর কাজ করতে পারবেন।
কিভাবে Freelancing শুরু করবেন?
ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য সর্ব প্রথম আপনাকে যেকোনো একটি স্কিলে খুব ভালো মানের দক্ষতা অর্জন করতে হবে। যেমন ধরুন আপনি ওয়েব ডিসাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট এর উপর খুব ভালো দক্ষতা অর্জন করলেন।
এবার আপনাকে যেকোনো ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট তৈরি করতে হবে। একাউন্ট তৈরি করার পর আপনাকে যথাসম্ভব চেষ্টা করতে হবে একটি অর্ডার পাওয়ার জন্য।
সত্যি কথা বলতে একজন নতুন ওয়েব ডিজাইনারকে কেউই কাজ দিতে খুব একটা আগ্রহী হয় না। আর তাই আপনার প্রোফাইলে যদি ভালো কিছু রিভিউ থাকে, তাহলে আপনাকে আর কাজ পেতে খুব একটা বেগ পেতে হবে না।
Freelancing মার্কেটে কাজ কিভাবে পাবেন?
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে কাজ পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। একটা বিষয় অবশ্যই মনে রাখবেন, ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে অনেক অনেক ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন। একজন ক্লায়েন্ট কেন আপনাকেই কাজটি দিবে?
তার জন্য আপনাকে অবশ্যই খুবই ভালো মানের যোগাযোগ ব্যবস্থায় ভালো হতে হবে। তাছাড়া আপনাকে যে কাজটির জন্য ক্লায়েন্ট পেমেন্ট করবে সেই কাজটিও আপনাকে অত্যন্ত ভালোভাবে সুসম্পন্ন করতে হবে।
মনে রাখবেন, বায়ারের সাথে যতো ভালো সম্পর্ক তৈরি হবে আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার ততো বেশি সুন্দর হবে। তাই অবশ্যই চেষ্টা করবেন প্রতিটি বায়ারের সাথে সুসম্পর্ক তৈরি করার।
ফ্রিল্যান্সিং করার সেরা ওয়েবসাইটগুলো
অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করার ওয়েবসাইট এর সংখ্যা অসংখ্য। তবে এতোসব ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটের মধ্যে কিছু ওয়েবসাইট অন্যগুলো থেকে ফ্রিল্যান্সার খোঁজার ও ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে অধিক কার্যকর বলে প্রমাণিত। ফ্রিল্যান্সিং করার সেরা ওয়েবসাইটগুলো হলোঃ
Fiverr: ৫ ডলার থেকে শুরু করে বিশাল অংকের ফ্রিল্যান্সিং গিগ ও পাওয়া যায় ফাইভারে। মূলত কনটেন্ট রাইটিং, গ্রাফিক্স বা লোগো ডিজাইন, প্রভৃতি ক্যাটাগরির ফ্রিল্যান্সিং কাজ ফাইভারে বেশ জনপ্রিয়।
ফাইভারে ফ্রিল্যান্সারগণ গিগ পোস্ট করে ও বায়াররা তাদের পছন্দের ফ্রিল্যান্সারকে হায়ার করতে পারেন। ফাইভারে পেমেন্ট হয় কাজভিত্তিক। পেপাল, পেওনিয়ার এবং ব্যাংক ট্র্যান্সফার এর মাধ্যমে ফাইভার থেকে অর্জিত অর্থ তোলা যায়।
আপওয়ার্ক: কাজভিত্তিক ও ঘন্টাভিত্তিক পেমেন্ট – উভয় ধরনের কাজই পাওয়া যায় আপওয়ার্কে। আপওয়ার্কে ফ্রিল্যান্সার যিনি খুঁজছেন, তিনি কাজ পোস্ট করেন। এরপর ফ্রিল্যান্সারগণ পোস্ট করা কাজের জন্য রিকুয়েস্ট পাঠান। এরপর উক্ত বায়ার তার পছন্দের ফ্রিল্যান্সার বেছে নেন। আপওয়ার্ক থেকে টাকা তোলা যাবে পেপাল, পেওনিয়ার এবং ব্যাংক ট্র্যান্সফার এর মাধ্যমে।
ফ্রিল্যান্সার ডট কম: ফ্রিল্যান্সার ডট কম এ পাওয়া যায় কাজভিত্তিক ও ঘন্টাভিত্তিক – উভয় ধরনের কাজই। বিশাল সংখ্যার কাজ ও ফ্রিল্যান্সার নিয়ে গঠিত এই সাইটটি। পেপাল, স্ক্রিল, পেওনিয়ার ও ব্যাংক ট্রান্সফার এর মাধ্যমে তোলা যাবে ফ্রীলান্সার ডট কম এ অর্জিত অর্থ।
পিপল পার পাওয়ার: নামে পিপল পার আওয়ার হলেও ঘন্টাভিত্তিক কাজের পাশাপাশি কাজভিত্তিক পেমেন্ট ও রয়েছে এই সাইট টিতে। টাকা তোলা যাবে পেপাল, স্ক্রিল, পেওনিয়ার ও ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে।
গুরু ডট কম; গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডাটা-এন্ট্রি থেকে শুরু করে ওয়েবসাইট ডিজাইন পর্যন্ত সকল ধরনের ফ্রিল্যান্সিং কাজ পাওয়া যায় গুরু ডট কম ওয়েব সাইট টিতে।
এই সাইটে আপনি আপনার অভিজ্ঞতা ও কাজের উদাহরণ দিবেন। এরপর আপনাকেই খুঁজে নিবে কাজ। পেপাল, পেওনিয়ার সহ ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমেও টাকা তোলা যাবে গুরু ডট কম থেকে।
অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করার জন্য এই মার্কেটপ্লেসগুলি সবচেয়ে পরিচিত ও বিশ্বাসযোগ্য। এই মার্কেট প্লেসগুলির থেকে আপনি সহজেই আপনার অর্জিত টাকা Paypal, Payoneer ,Webmoney ইত্যিদির মাধ্যমে সহজেই উইথড্র করতে পারবেন আবার কিছু ক্ষেত্রে সরকারি আপনার ব্যাঙ্ক-এ ট্রান্সফার ও করতে পারবেন।
একজন সফল Freelancer হবেন কিভাবে?
একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে গেলে আপনাকে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে এবং সেগুলো অনুসরণ করতে হবে। একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে গেলেঃ
- নিজের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার সক্ষমতা কতটুকু তা নিশ্চিত করুন। দক্ষতায় কমতি থাকলে তা শেখার মাধ্যমে পূরণ করুন। একজন নতুন freelancer হিসেবে যে ভুলগুলি এড়িয়ে চলা দরকার সেগুলো সম্পর্কে সচেতন হোন।
- আপনার কমিউনিকেশন স্কিলকে উন্নত করুন। ফ্রিল্যান্সিং ফিল্ডে অসংখ্য ধরনের মানুষের সাথে যোগাযোগের প্রয়োজন পড়ে।
- সেক্ষেত্রে সবার সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রে আপনার করণীয়গুলোকে মাথায় রেখে আপনার কমিনিউকেশন স্কিল ডেভলাপ করুন।
- আপনার কাজ ও কথাবার্তা – উভয় ক্ষেত্রেই আপনার প্রফেশনালিজম অর্থাৎ পেশাদারিত্বকে গুরুত্ব দিন। আপনার পেশাদারিত্ব একই ক্ল্যায়েন্টকে আপনার কাছে বারবার ফিরিয়ে আনবে।
- সময়ে সঠিক ব্যবহার করতে শিখুন। আপনি প্রতিদিন কত ঘন্টা কাজ করতে সক্ষম এবং কাজের ক্ষেত্রে বাধাগুলোকে পর্যালোচনা করে উন্নতির চেষ্টা চালিয়ে যান।
- আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং মাত্র শুরু করে থাকেন, তবে সেক্ষেত্রে ধৈর্য হারা হওয়ার একটি সুযোগ থাকে। ধৈর্য হারাবেন না, চেষ্টা বজায় রাখুন ও নিজের উপর আত্মবিশ্বাস রাখুন।
Freelancing করে কত ইনকাম করা যাবে?
ফ্রিল্যান্সিং করে কত টাকা ইনকাম বা আয় করা যাবে – এটি সম্ভবত সবচেয়ে বেশি জিজ্ঞাসা করা প্রশ্ন। তবে এই প্রশ্নের কোনো নির্দিষ্ট উত্তর নেই।
ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করার ক্ষেত্রে কোনো বাধাধরা লিমিট নেই। আপনি যতো বেশি কাজ পাবেন ও করবেন, ততবেশি আয় করতে পারবেন।
স্টুডেন্টস দের জন্য অনলাইন টাকা উপার্জন
ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) এর অসুবিধা
ফ্রিল্যান্সিং এর কিছু অসুবিধাও রয়েছে। স্বাস্থ্যগত বিষয়গুলোই বেশি গুরুত্বপূর্ণ এক্ষেত্রে। চলুন দেখে নিই এর অসুবিধাগুলোওঃ
- ফ্রিল্যান্সেরদের (Freelancer) দীর্ঘ সময় একই জায়াগায় বসে কাজ করতে হয়। এজন্য কোমর, ঘাড়সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যাথা সহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা হতে পারে।
- কম্পিউটার এর সামনে একটানা অনেকক্ষণ বসে থাকতে হয়। তাই বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ফ্রিল্যান্সারদের চোখের সমস্যা দেখা যায়।
- এক্ষেত্রে সব কাজ বাসায় বসে করতে হয়। এর ফলে একাকীত্বের মাধ্যমে মানুষ অবসাদগ্রস্ত হয়ে যায় যেটি পরবর্তীতে বড় রুপ ধারন করতে পারে।
- প্রায়শই ঘুমের নানা রকম সমস্যায় সম্মুখীন হন ফ্রিল্যান্সাররা। কারন দেখা যায় আমাদের দেশে যখন রাত, ক্লায়েন্টের দেশে তখন দিন।
শেষ কথা
এই ছিল মূলত ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) ও আউটসোর্সিং (Outsourcing) নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা। প্রত্যেকটা জিনিসেরই ভালো মন্দ উভয় দিক থাকে। এক্ষেত্রেও ভালো মন্দ উভয় দিক বিদ্যমান যা আমরা আলোচনা করেছি বিস্তারিতভাবে। এখানে একটু নিয়ম মেনে চললে ফ্রিল্যান্সিং এর অসুবিধাগুলোকে খুব সহজেই এড়িয়ে চলা যায়।
ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য প্রতিযোগিতা বেশি হতে পারে, একটি শক্তিশালী পোর্টফোলিও থাকা খুব দরকার এবং নিজেকে কার্যকরভাবে যোগ্গতা বজায় রাখতে হবে আপনার সার্ভিস রিলেটেড ক্লায়েন্ট পেতে। এবং কীভাবে আপনার রেটিং বাড়াতে হয় একজন ফ্রিল্যান্সার হিসাবে, ও কীভাবে আপনার অর্থ পরিচালনা করতে হয় সে সম্পর্কে একটি পরিষ্কার জ্ঞান থাকাও গুরুত্বপূর্ণ।
আরো পড়ুন