
বন্ধুরা, আমি চিত্রলেখা মাইতি। আজ আমি আপনাদের কাছে তুলে ধরবো ঘরে বসে Content Writing লিখে উপার্জন করার সুবর্ণ সুযোগ ।
কন্টেন্ট রাইটিং ( Content Writing) হলো ফ্রিল্যান্সিং জগতের এমন একটি সেক্টর যেখানে শুধুমাত্র দক্ষতা এবং সময় দিয়ে সহজেই ভালো অংকের টাকা আয় করা সম্ভব।
এই সেক্টরে কাজ করতে হলে তেমন টাকা ইনভেস্ট করার দরকার পড়ে না বললেই চলে। বহু মানুষ শুধুমাত্র এই কন্টেন্ট রাইটিং করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন প্রতিনিয়ত।
Table of Contents :
|
Best Quality Hot Pot QQ Lunch Box 1200ML
আপাতদৃষ্টিতে কন্টেন্ট রাইটিং (Content Writing) করা সোজা মনে হলেও সমস্যা তখনই হয় যখন কেউ সম্পূর্ণ জ্ঞান না নিয়েই এই কাজটিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
সঠিকভাবে না জেনে, সঠিক উপায় অবলম্বন না করলে এক্ষেত্রে আপনি খুব সহজেই অধিকাংশ মানুষের মতো হার মেনে নিতে বাধ্য হবেন।
- এই আর্টিকেল লেখার উদ্দেশ্য হলো আপনাকে একদম সহজ ভাষায় কন্টেন্ট রাইটিং(Content writing) এর সঠিক দিক নির্দেশনা দেয়া। প্রথমেই কন্টেন্ট রাইটিং এর প্রাথমিক ধারণা নিয়ে আলোচনা করা যাক।
কন্টেন্ট রাইটিং (Content Writing) কি?
কন্টেন্ট রাইটিং হল কোনো একটি নির্দিষ্ট বিষয় ঠিক করে তার উপর বিস্তারিত লেখা। যেকোনো বিষয়ের উপর সঠিকভাবে রিসার্চ করে লিখে ওয়েব কন্টেন্ট তৈরি করাই এর মূল উদ্দেশ্য। প্রতিদিন আমরা যেই ব্লগ,আর্টিকেলগুলো ওয়েবসাইট থেকে পড়ি সেগুলো সবই কিন্তু কন্টেন্ট রাইটিং এর অংশ।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি উপায় হল এই কন্টেন্ট রাইটিং। কন্টেন্ট রাইটিং (Content Writing) মূলত অনলাইন পাঠকদের জন্য তৈরি করা হয়। পণ্যের বিবরণ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীক প্রচারণা – সবকিছুতেই ক্রেতা বা পাঠক আকর্ষণের জন্য এ ধরনের লেখা ব্যবহৃত হয়। একজন কন্টেন্ট রাইটারের কাজ হলো এই কন্টেন্টগুলো লিখে দেয়া।
কন্টেন্ট রাইটিং (Content Writing) করে কিভাবে টাকা আয় করা যায়?
কন্টেন্ট রাইটাররা সাধারণ ব্যক্তিগত ক্লায়েন্ট,এজেন্সি বা কোম্পানী, বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস ইত্যাদির মাধ্যমে কাজ করে এবং টাকা আয় করে। এর মধ্যে আবার অনেকে নিজেই নিজের জন্য লিখে পরোক্ষভাবে ব্যবসা বা ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয় করে।
অনেক রাইটার ক্লায়েন্টের সাথে প্রতিটি কন্টেন্ট এর নির্দিষ্ট শব্দসংখ্যার উপর একটি নির্দিষ্ট মূল্য নির্ধারণ করে কাজ করে। যেমন, প্রতি এক হাজার শব্দে পাঁচশো টাকা। ক্লায়েন্ট তার বাজেট অনুযায়ী রেইট রাইটারদেরকে অফার করে।
অনেক ক্লায়েন্ট আবার মোট কন্টেন্ট সংখ্যার উপর নির্ভর করে মাসিক বেতনও দিয়ে থাকে রাইটারদেরকে। এক্ষেত্রে শব্দ সংখ্যার উপর রেইট নির্ধারণের ব্যাপারটি প্রযোজ্য নয়।
একজন কন্টেন্ট রাইটারকে (Content Writing) কি ধরণের কাজ করতে হয়?
রাইটারদেরকে সাধারণত ক্লায়েন্টরা একটি নির্দিষ্ট বিষয় দিয়ে তার উপর কন্টেন্ট লিখতে দেয়। এরপর রাইটারকে সেই বিষয়ের উপর রিসার্চ করে,বিভিন্ন তথ্য জোগাড় করে সম্পূর্ণ বিষয়টিকে গুছিয়ে পাঠকের কাছে লেখার মাধ্যমে তুলে ধরতে হয়।
আপাত দৃষ্টিতে ব্যাপারটি সহজ মনে হলেও ভিতরে কিছু সূক্ষ্ম জানার বিষয় আছে। এখানেই চলে আসে “অন পেইজ এসইও রাইটিং” নামক ব্যাপারটি।
কি এই বেসিক অন পেইজ এসইও?
তখন সেই একই বিষয়ের উপর ইন্টারনেটে আরো অসংখ্য আর্টিকেল আগে থেকেই উপস্থিত থাকে। সেজন্য এখানে সেই পূর্ববর্তী আর্টিকেলগুলোকে টপকিয়ে নিজের লেখাটিকে পাঠকদের সামনে তুলে ধরার হিসাবও কষতে হয় ক্লায়েন্টকে।
এসইওর কাজ হলো আপনার কন্টেন্টকে সার্চ রেজাল্টের একদম উপরের দিকে নিয়ে আসা। এতে করে পাঠকের চোখে আগে আপনার কন্টেন্ট সবার আগে সামনে আসে।
এসইও দুই প্রকার- অন পেইজ এসইও এবং অফপেইজ এসইও। অফপেইজ এসইও নিয়ে কনটেন্ট রাইটারদের তেমন ভাবতে হয় না।
কিন্তু অনপেইজ এসইওর ক্ষেত্রে কিছু জিনিস লেখককে মাথায় রাখতে হয়। যেমন –
- লেখার ভেতর আকর্ষণীয় হেডিং ও সাবহেডিং দেয়া।
- সঠিকভাবে ফর্মেটিং করা।
- যতটা সম্ভব গুছিয়ে লেখাটিকে প্রদর্শন করা। এক্ষেত্রে পাঠককে কিভাবে ধরে রাখা যায় লেখার ভেতর সেটার জন্য কিছু কলা-কৌশল মানতে হয়।
- লেখার ভেতর কি-ওয়ার্ড সঠিকভাবে প্লেস করা।
যে ধরনের লেখাই হোক না কেন, লেখককে অবশ্যই দক্ষ হতে হবে এবং পাঠক এর চাহিদার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। লেখককে যথেষ্ট পরিমাণে পড়াশোনা করতে হবে এবং নির্দিষ্ট বিষয় এর উপর রিসার্চ করতে হবে।
তাছাড়া কন্টেন্ট এর উদ্দেশ্য কি তা আগে থেকে নির্ধারণ করার ক্ষমতা থাকতে হবে। বানান ভুল করা যাবে না এবং ব্যাকরণ ঠিক থাকতে হবে।
রাইটিং অবশ্যই অরিজিনাল হতে হবে। কপি করা বা রচনা চুরি করা যাবে না। বিভিন্ন প্লেগিয়ারিসম টুল ব্যবহার করতে হবে।
লেখককে বা ক্লায়েন্টকে যথাসময়ে লেখা পাবলিশ করার জন্য দিতে হবে। চাহিদা অনুযায়ী যদি বারবার রিভিশন করতে হয়, তাহলে ধৈর্য্য ধরে ক্লায়েন্ট এর চাহিদা মেটাতে হবে।
কন্টেন্ট রাইটিং (Content Writing) করে কি পরিমাণ আয় করা সম্ভব?
কন্টেন্ট রাইটিং এ আয়ের পরিমাণ নির্ভর করে একজন লেখক এর দক্ষতার ওপর। একজন দক্ষ লেখক নিঃসন্দেহে একজন নতুন লেখক থেকে বেশি আয় করেন।
স্বাভাবিক ভাবে শুধু মাত্র কন্টেন্ট রাইটিং থেকে ১০-১২ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। টাকার পরিমাণ দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার সাথে বৃদ্ধি পাবে। যেমনঃ ফাইভার এবং আপওয়ার্ক এর মত মার্কেটপ্লেসগুলোতে কন্টেন্ট রাইটিং করে ভাল আয় করা সম্ভব।
ওজন কমাতে নতুন ট্রেন্ড কেটো keto গ্রিন কফি! জেনে নিন উপকারিতা ও খাওয়ার পদ্ধতি)
কন্টেন্ট রাইটিং (Content Writing) এর চাহিদা কেমন?
বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদার সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে কন্টেন্ট রাইটিং এর চাহিদা বাড়ছে। অনেক কোম্পানি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কন্টেন্ট রাইটার দের ভাল বেতনে নিয়োগ দিচ্ছে।
প্রোডাক্টস সেল এবং প্রমোশন এর জন্য কন্টেন্ট রাইটিং এর চাহিদা বেড়েই চলেছে। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে আর ক্রেতা এবং পাঠক আকর্ষণ এর জন্য রাইটিং এর প্রয়োজন পড়ছে।
কন্টেন্ট রাইটিং (Content Writing) কত প্রকার?
বিভিন্ন ধরনের কন্টেন্ট রাইটিং রয়েছে। যেমনঃ
- ব্লগ রাইটিং
- ইমেইল রাইটিং
- কপিরাইটিং
- টেকনিকাল রাইটিং
- এড এন্ড প্রোমো রাইটিং
- সোশাল মিডিয়া পোস্ট রাইটিং
- স্ক্রিপ্ট রাইটিং
- লং ফরম কন্টেন্ট রাইটিং
- গোস্ট রাইটিং
আপনার কি কন্টেন্ট রাইটিং (Content Writing) করা উচিৎ?
কন্টেন্ট রাইটিং (Content Writing) জগতে প্রবেশের আগে কিছু বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখা উচিৎ। অন্যান্য সব অফিসিয়াল কাজের মতোই এই পেশার মানুষদেরও কিছু গুণাবলী থাকতে হয়।
কন্টেন্ট রাইটার হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করার আগে আপনাকে নিজের অবস্থান নির্ধারণ করতে হবে। এক্ষেত্রে নিজের অবস্থান নির্ধারণ করতে আপনি নিজেকে কিছু প্রশ্ন করতে পারেন। যেমন-
আপনি যেই ভাষায় লিখতে চাচ্ছেন সেই ভাষা সম্পর্কে কি আপনি সঠিক জ্ঞান রাখেন?
ব্যাকরণ,বানান,অর্থ,বাক্যগঠন এসব ব্যাপারে আপনার জ্ঞান স্পষ্ট না হলে আপনার লেখায় প্রচুর ভুল থাকবে। প্রচুর ভুল নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই আপনি কোনো কাজে টিকে থাকতে পারবেন না।
আপনার কি রিসার্চ করার ক্ষমতা আছে?
কন্টেন্ট রাইটিং জগতে রিসার্চ ছাড়া টিকে থাকা অসম্ভব। আর রিসার্চ করার জন্য প্রয়োজন প্রচুর ধৈর্য্য,তথ্য একত্র করার ক্ষমতা,ভুল এবং সঠিকের মধ্যে পার্থক্য করার দক্ষতা ,সঠিক উৎস অনুসরণ করা ইত্যাদি।
আপনার কি লেখালেখি করতে ভালো লাগে?
আপনি যদি লেখালেখি করে স্বস্তি না পান তাহলে এই সেক্টরে না আসাই ভালো। লেখালেখি যেরকম ভালো লাগার ব্যাপার, ঠিক সেরকম অভ্যাসেরও ব্যাপার। ভালো না লাগলে আপনি এখানে অল্পদিনেই হাঁপিয়ে উঠবেন।
আপনার কি ক্লায়েন্ট হেন্ডেল করার মতো দক্ষতা আছে?
আপনার যোগাযোগ ক্ষমতা যদি ভালো না হয় তাহলে আপনার এবং ক্লায়েন্টের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হবে যার প্রভাব পড়বে আপনার কাজের উপর।
বিশাল বড় মার্কেটপ্লেসে আপনাকে হাজার রকমের ক্লায়েন্টের সাথে ডিল করতে হবে। এদের প্রত্যেকেই স্বভাবের দিক থেকে ভিন্ন।
এমনও হতে পারে একটা কাজ আপনার এক বারে হয়ে যাচ্ছে আবার অন্য কাজ দশ-পনেরো বার ঠিক করতে হচ্ছে।
এই সব প্রশ্নের উত্তর যদি আপনার জন্য ইতিবাচক হয়ে থাকে, তবে অবশ্যই আপনার কন্টেন্ট রাইটিং (Content Writing) উচিৎ।
কন্টেন্ট রাইটিং (Content Writing) কীভাবে শুরু করবেন?
কন্টেন্ট রাইটিং(Content Writingz সম্পর্কে যখন আপনার দক্ষতা চলে আসবে তখন টাকা আয়ের জন্য আপনাকে আসল মার্কেটপ্লেসে নামতে হবে। এর পূর্বে আপনার প্রয়োজন পড়বে একটি গোছানো পোর্টফোলিওর।
পোর্টফোলিওর মাধ্যমেই আপনার ক্লায়েন্টরা আপনার সম্পর্কে ধারণা পাবে। আপনার এবং আপনার কাজ সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারণার জন্য পোর্টফোলিওর বিকল্প নেই।
কন্টেন্ট রাইটিং (Content Writing) এর কাজ কীভাবে খুঁজবেন?
কাজ খোঁজার জন্য আপনাকে প্রথমে স্টার্টিং পয়েন্ট নির্ধারণ করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার কাছে তিনটি অপশন আছে।
- আপনি ফাইভার, আপওয়ার্ক এর মত বড় মার্কেটপ্লেসগুলোতে বিড করা শুরু করতে পারেন।
- বিভিন্ন কোম্পানি এবং এজেন্সিতে জব এর জন্য এপ্লাই করতে পারেন।
- বিভিন্ন ফেইসবুক গ্রুপ এর মাধ্যমে লোকাল মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে পারেন।
আপনার কি কন্টেন্ট রাইটিং (Content Writing) কারো কাছ থেকে শেখা উচিৎ?
চেষ্টা করলে ফ্রিতেই আপনি অনলাইনে কন্টেন্ট রাইটিং শিখতে পারবেন। এজন্য প্রয়োজন হবে স্বদিচ্ছা আর ধৈর্য্য।
কিন্তু কয়েনের উল্টো পিঠে চিন্তা করলে, যদি বাস্তবে ফ্রিতে একদম নতুন কেউ কন্টেন্ট রাইটিং শিখতে যায় তবে রিসোর্সের মহাসমুদ্রে ভেসে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নতুনরা কোনো নির্দেশনার অভাবে হালকার উপর ঝাপসা ধারণা নিয়ে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং পরবর্তীতে ধাক্কা খেয়ে হতাশ হয়ে পড়ে।
এক্ষেত্রে কোনো পেইড কোর্সের আন্ডারে থাকলে একটা মহাসমুদ্রের ভেতর আপনি সঠিক গাইডলাইন পাবেন। আপনার জন্য হাতের কাছে সব সিলেবাস আকারে গোছানো থাকবে। কেউ একজন প্রেক্টিক্যালি আপনাকে সব বুঝিয়ে দেবে। বাজারে অনেক কোর্স আছে যেগুলোতে আপনি পারসোনাল সাপোর্ট পাবেন।
সবচেয়ে বড় কথা আপনার আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাবে এবং আপনি চাইলেই ক্লায়েন্টকে বলতে পারবেন যে আপনি কোর্স করেছেন। এতে করে ক্লায়েন্টও আপনার উপর সহজে ভরসা করবে।
এছাড়াও কোর্সগুলোতে অভিজ্ঞরা কাজ খোঁজা থেকে শুরু করে ভুল শোধরানো- সবকিছুতেই সাহায্য করে। ফলে মার্কেটপ্লেসে আপনার হতাশ হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।
তবে যেকোনো কোর্স হুটহাট দেখেই কিনে ফেলা উচিৎ না। এ ব্যাপারে নতুনরা ভীষণ বোকামীর পরিচয় দিয়ে ফেলে।
বিচার বিবেচনা করে, কন্টেন্ট লিস্ট দেখে এরপরই টাকা দিয়ে কোর্স কিনতে হবে আপনাকে। এজন্য আগে ফ্রি রিসোর্সগুলোতে ঘুড়ে বেড়ানো আপনার জন্য অনিবার্য।
নতুনরা কোনো নির্দেশনার অভাবে হালকার উপর ঝাপসা ধারণা নিয়ে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং পরবর্তীতে ধাক্কা খেয়ে হতাশ হয়ে পড়ে।
এক্ষেত্রে কোনো পেইড কোর্সের আন্ডারে থাকলে একটা মহাসমুদ্রের ভেতর আপনি সঠিক গাইডলাইন পাবেন। আপনার জন্য হাতের কাছে সব সিলেবাস আকারে গোছানো থাকবে। কেউ একজন প্রেক্টিক্যালি আপনাকে সব বুঝিয়ে দেবে। বাজারে অনেক কোর্স আছে যেগুলোতে আপনি পারসোনাল সাপোর্ট পাবেন।
সবচেয়ে বড় কথা আপনার আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাবে এবং আপনি চাইলেই ক্লায়েন্টকে বলতে পারবেন যে আপনি কোর্স করেছেন। এতে করে ক্লায়েন্টও আপনার উপর সহজে ভরসা করবে।
এছাড়াও কোর্সগুলোতে অভিজ্ঞরা কাজ খোঁজা থেকে শুরু করে ভুল শোধরানো- সবকিছুতেই সাহায্য করে। ফলে মার্কেটপ্লেসে আপনার হতাশ হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।
তবে যেকোনো কোর্স হুটহাট দেখেই কিনে ফেলা উচিৎ না। এ ব্যাপারে নতুনরা ভীষণ বোকামীর পরিচয় দিয়ে ফেলে।
বিচার বিবেচনা করে, কন্টেন্ট লিস্ট দেখে এরপরই টাকা দিয়ে কোর্স কিনতে হবে আপনাকে। এজন্য আগে ফ্রি রিসোর্সগুলোতে ঘুড়ে বেড়ানো আপনার জন্য অনিবার্য।
বাজারে অসংখ্য পেইড কোর্সের ছড়াছড়ি আছে। এদের মধ্যে প্রচুর কোর্স করে অনেকেই ঠকছেন। তাই কেনার আগে অবশ্যই কোর্সের রিভিউ দেখে কিনতে হবে।
কন্টেন্ট রাইটিং (Content Writing) সেক্টরে কাজ করার ঝুঁকি
এ সেক্টর এ কাজ করার সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হল ক্লায়েন্ট না পাওয়া বা কাজের অনিশ্চিয়তা। দক্ষতার সাথে সাথে কাজ পাওয়াটাও জরুরী।
তবে আপনি যদি যথেষ্ট দক্ষ হন এবং ক্লায়েন্ট খোঁজার জন্য ভালোমতো ট্রেনিং পেয়ে থাকেন তবে এ ক্ষেত্রে তেমন ভয় নেই।
লোকাল মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ জমা দিয়েও টাকা পায়নি-এমন ঘটনা প্রায় প্রতিদিনই ঘটে। এসব ঝুঁকি এড়াতে অবশ্যই ক্লায়েন্ট হিস্ট্রি, প্রোফাইল, প্রফেসনালিজম ইত্যাদির দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
আরও পড়ুন :
- ঘরে বসেই স্বল্প সময়ের অধিক আয় income কিভাবে করবো?
- Through Freelancing, Make Money From Home, is it true? (2024)
- কেন YouTube ইউটিউব থেকে অনলাইনে আয় করা সহজ!
- facebook ফেসবুক রিলস্ কি? রিলস্ থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করবো?
কন্টেন্ট রাইটার (Content Writer) হিসেবে যেই যেই কাজ গুলো করবেন না
প্রথমত ধৈর্য্যহারা হলে চলবে না। প্রতিনিয়ত নিজেকে আপগ্রেড করতে হবে। দক্ষ হয়ে ওঠার জন্য প্রচুর রিসার্চ করতে হবে। ক্লায়েন্ট এর সাথে লেনদেন এর ব্যাপারে নিশ্চিত থাকতে হবে।
কন্টেন্ট রাইটিং এর জন্য কিছু কৌশলঃ
- ব্যাকরণ, শব্দ ও বাক্যের সঠিক প্রয়োগ, শব্দভান্ডার এর ব্যবহার – এগুলোর দিকে খেয়াল রাখুন। …
- লিখতে থাকুন। …
- প্রচুর রিসার্চ বা গবেষণা করুন। …
- পাঠক এর চাহিদার দিকে খেয়াল রাখুন। …
- নিজের একটি চমৎকার পোর্টফলিও তৈরী করুন।
সব শেষে, প্রতিটা কাজেই টিকে থাকতে হলে পরিশ্রমী হতে হয়। পরিশ্রমের মাধ্যমেই আপনার কন্টেন্ট রাইটিং জার্নি সফল হোক এই প্রত্যাশা রইলো।